শিক্ষারত্ন পেলেও নিজের পেনশনটা পেলেন না বাংলার শিক্ষক। তিন বছর পেনশন না পেয়ে, নিজেকে শেষ করে দিলেন বাংলার শিক্ষারত্ন। হেয়ার স্কুলের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষকের, ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার। বর্ধমানের মেমারী-তে, নিজের বাড়িতে মিলল ঝুলন্ত দেহ। অবসরের পর ৩ বছরেও পেনশন না পেয়ে অবসাদে ভুগছিলেন, অভিযোগ পরিবারের, অভিযোগ শিক্ষকের স্ত্রীর। ২০১৯-এ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শিক্ষারত্ন সম্মানে, ভূষিত হন শিক্ষক সুনীলকুমার দাস। পেনশনের জন্য অনেকবার বিকাশ ভবনে গিয়েছিলেন, দাবি মৃত শিক্ষকের স্ত্রী-র। কিন্তু বিকাশ ভবনের আধিকারিকদের দয়া হয়নি। পেনশন শুরু করেনি, অবসরপ্রাপ্ত্য শিক্ষক সুনীলকুমার দাসের।
লজ্জার অন্ধকারে ডুবল বাংলার শিক্ষা ব্যবস্থা। ঢাকঢোল পিটিয়ে শিক্ষারত্ন দিলেও, রাজ্য সরকার তিন বছর ধরে দিল না পেনশন। বিকাশ ভবনে ঘুরে ঘুরে, জুতোর শুকতলা ছিঁড়ে গেলেও, পেলেন না নিজের পেনশন। এমনটাই অভিযোগ অবসরপ্রাপ্ত্য শিক্ষক সুনীলকুমার দাসের স্ত্রী ও পরিবারের। তিন বছর পেনশন না পেয়ে, নিজেকে শেষ করে দিলেন বাংলার শিক্ষারত্ন।
আরও পড়ুনঃ ‘উন্নততর বামফ্রন্ট’ আর ‘নতুন তৃণমূল’, দুটোকেই ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছে বাংলার মানুষ
প্রধান শিক্ষক থাকাকালীন ২০১৯ সালের ৫ সেপ্টেম্বর, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় তাঁর হাতে শিক্ষারত্ন পুরস্কার তুলে দেন। সরকারী-বেসরকারী তরফে শিক্ষক হিসাবে, আরও বহু সম্মান তিনি পেয়েছেন। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে, তিনি অবসর নেন। অভিযোগ, অবসরের পর লাগাতার ৩ বছর ধরে বিকাশভবন ও নিজের স্কুলে যাতায়াত করলেও, মেলেনি পেনশন। এরপরই তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন ও আ’ত্মঘা’তী হন।