তৃণমূল কি স্বীকার করে নিল, “আমরা সবাই চোর”। তৃণমূল কি স্বীকার করেই নিল, তারা সবাই চোর? এটাই এখন বড় প্রশ্ন। দুদিন আগেই বিশ্বের প্রথম রাজনৈতিক দল হিসাবে প্রেস কনফারেন্স করে, দলের ৬ নেতা-মন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন, পার্থ চোর, কিছু চোর, কিন্তু তৃণমূলের সবাই চোর নয়’। অনুব্রত গ্রেফতার হবার পরে কি, তারা বোকার মত স্বীকার করেই নিল, “আমরা সবাই চোর” ?? দলের কাজ তো তাই বলছে।
পথে নামছে তৃণমূল। দলের দুই হেভিওয়েট নেতা, পার্থ চট্টোপাধ্যায় আর অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে নয় কিন্তু। ইডি সিবিআই এর দ্বিচারিতার প্রতিবাদে, আজ পথে নামছে তৃণমূল। অর্থাৎ ইডি সিবিআই দুরকম কাজ করছে। তৃণমূলের চোরদের ধরছে আর বিজেপির চোরদের ধরছে না। অর্থাৎ ইডি সিবিআই একটা কাজ ঠিক করছে, অন্য কাজ ঠিক করছে না। এমনটাই অভিযোগ তৃণমূলের।
তৃণমূলের অভিযোগের তীর ইডি সিবিআই এর দ্বিচারিতার দিকে। পার্থ অনুব্রত ববি শোভন কুণাল মদনকে ধরছে, অভিষেককে ডাকছে, অন্যদিকে শুভেন্দু, মুকুল, শঙ্কু এদের ডাকছেও না, ধরছে না। সামনে তৃণমূল থাকলেই চোর ধরছে ইডি সিবিআই। সামনে বিজেপি থাকলে ধরছে না, এটাই ইডি সিবিআই এর দ্বিচারিতা।
আরও পড়ুনঃ তৃণমূল নেতা-মন্ত্রীদের পর, সিবিআই ইডির নজরে বাংলার আইপিএস-আইএএস
এখন তৃণমূলের সুরে সুর মিলিয়ে সব অভিযোগ মেনে নিয়ে বলি, হ্যাঁ ইডি সিবিআই দ্বিচারিতা করছে। তারা ঠিকঠাক কাজ করছে না। সব চোরদের ধরা উচিত, দল না দেখেই। একদলের চোর ধরে ঠিক কাজ করছ, অন্যদলের চোর ধরেও ঠিক কাজটা করো, এই দ্বিচারিতা কেন? চোর তো চোরই, যে দলেই থাকুক।
কিন্তু তৃণমূল কি ভুলে গেছে, শুভেন্দু, মুকুল, শঙ্কু এরাও তো প্রথমে তৃণমূলেই ছিল। বিজেপির যাদের বিরুদ্ধে তৃণমূলের প্রধান অভিযোগ, তারা সবাই কিন্তু Made in TMC। চুরি করার সময় তারা তৃণমূলেই ছিল। অর্থাৎ তৃণমূল কিন্তু স্বীকার করে নিল, বর্তমান, প্রাক্তন, আদি, নব্য, সবাই চোর। এখন যেদিকেই থাকুক না কেন। বিষয়টা কি এরকমটাই দাঁড়াচ্ছে না?
আর এটা প্রমাণ করতেই, আজ থেকে দুদিন মাঠে নামবে তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা আর তাদের দিদিমণি। যারা বোঝেইনি ইডি সিবিআই দ্বিচারিতা করছে বললে স্বীকার করে নেওয়া হয়, সব তৃণমূলী চোর।