“দলে এখন দুটো শ্রেণি, বাবু ও চাকর”, মমতার বিজয়া সম্মেলনীতে ডাক না পেয়ে ক্ষুব্ধ বিধায়ক

369
"দলে এখন দুটো শ্রেণি, বাবু ও চাকর", মমতার বিজয়া সম্মেলনীতে ডাক না পেয়ে ক্ষুব্ধ বিধায়ক

“দলে এখন দুটো শ্রেণি, বাবু ও চাকর”, মমতার বিজয়া সম্মেলনীতে ডাক না পেয়ে ক্ষুব্ধ তৃণমূল বিধায়ক। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুর্গাপুজোর বিজয়া-সম্মিলনীতে ডাক পাননি, রাজারহাটের ‘দোর্দণ্ডপ্রতাপ’ নেতা তাপস চট্টোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ, তাঁর বিধানসভা এলাকায় আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে, পরপর দুবার তিনি ব্রাত্য রইলেন। দলের বিজয়া সম্মিলনী-তে, তাঁকে ডাকাই হয়নি। ‘অভিমানী’ এই তৃণমূল নেতার আক্ষেপ, “হয়তো আমার কাজের স্ট্যাটাস-টা, ওই অনুষ্ঠানে যাওয়ার মতো নয়”।

তাপসবাবুর আরও কটাক্ষ, “দলে এখন দুটো শ্রেণি হয়েছে, বাবু শ্রেণি ও চাকর শ্রেণি। আমি দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ি। আমি ভাল গাইতে পারি না, ভাল নাচতে পারি না, তাই হয়তো আমার বাড়ির পাশেই, এইসব অনুষ্ঠানে ডাক পাই না। যারা একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে, মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে কটূ কথা বলেছেন, তাঁরা এখন ডাক পান”।

নাম না করে বিজেপি থেকে ঘরে ফেরা, সব্যসাচী দত্ত-কেই তিনি নিশানা করেছেন, বুঝতে পেরেছে রাজনৈতিক মহল। রাজারহাট এলাকার পোড়খাওয়া রাজনীতিবিদ আক্ষেপ করে বলেন, “আমি সারা-বছর কাজ করি। কিন্তু আমার কাজ হয়তো, ঠিক জায়গায় পৌঁছয় না। যেখানে জানার সেখানে জানতে পারে না”। তাঁকে আমন্ত্রণ না করে, সমগ্র নিউটাউন-বাসীকে অপমান করা হয়েছে, দাবি বিধায়কের।

দলের প্রভাবশালি নেতার এই মন্তব্যর পর, বেজায় অস্বস্তিতে তৃণমূল কংগ্রেস। দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা দলীয় মুখপাত্র কুণাল ঘোষ অবশ্য বলেছেন, “তাপসদা মন দিয়ে তৃণমূল করছেন, উনি দক্ষ সংগঠক। ক্ষোভ থাকতেই পারে, আমি এনিয়ে কথা বলব”।

Comments

comments

আপনাদের মতামত জানাতে কমেন্ট করুন