রবিবার ২০১৯ লোকসভা ভোটের প্রার্থী তালিকার নাম ঘোষণা করেছিলেন তৃণমূল নেত্রী, মমতা বন্দোপাধ্যায়। কালীঘাটে সাংবাদিক বৈঠকে ঝাড়গ্রাম লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করার সময় মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন ‘মিসেস বিরবাহা সরেন’।
তারপর একি ঘটল?
বিরবাহা সরেনের বদলে বসলো বিরবাহার হাঁসদার ছবি! একজন শিক্ষিকা, অন্যজন অভিনেত্রী! এই ভুলের কারন অবশ্য অন্য। ঝাড়গ্রাম অঞ্চলে ছাড়াও পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশায় বিরবাহা হাঁসদা সাঁওতালি সিনেমার মহানায়িকা হিসেবে সুপরিচিত। একাধিক সাঁওতালি সিনে পুরস্কার রয়েছে বিরবাহার ঝুলিতে। পেয়েছেন জাতীয় অভিনেত্রীর সম্মানও। দুজনের নাম এক হওয়ায় তার সাথে আসল প্রার্থীকে গুলিয়ে ফেলে কিহু তৃণমূল কর্মী।
আরও পড়ুনঃ বাড়ি ভাংচুর, থানায় এফআইআর, বিজেপির অর্জুনকে শিক্ষা দিতে উদ্যোগী তৃণমূল
কে প্রাথী হবেন তা নিয়ে তৃণমূলের বিভিন্ন মহলে দুই বিরবাহার নাম নিয়ে জল্পনা ছিল। প্রার্থী ঘোষণা শুনে ভুল করে বসেন রাজ্য তৃণমূল আদিবাসী সেলের সভাপতি দেবু টুডু। দেবু তাঁর ফেসবুক পেজ-এ ঝাড়গ্রাম লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী বিরবাহা সরেনকে ভোটে জয়যুক্ত করার আবেদন জানিয়ে পোস্ট করেন। সেখানে বিরবাহা হাঁসদার ছবি দিয়ে দেন দেবু। ওই পোস্ট ঘিরে বিভ্রান্তি দেখা দেয়।
ওই পোস্ট দেখার পরে ঝাড়গ্রামে কয়েকজন তৃণমূল সহ প্রায় ৫০ জন শেয়ার করে ফেলেন। এদিকে অভিনেত্রী বিরবাহা হাঁসদার কাছে একের পর এক ফোন আসতে থাকে। জনপ্রিয় অভিনেত্রী বিরবাহা হাঁসদার সবাই জানতে চায় উনি প্রার্থী কিনা! এদিকে, আসল তৃণমূলের প্রার্থী বিরবাহা সরেন হলেন আদিবাসী সামাজিক সংগঠন ভারত জাকাত মাঝি পারগানা মহলের নেতা রবিন টুডুর স্ত্রী। তিনি পেশায় একজন শিক্ষিকা।
আরও পড়ুনঃ মমতারই পুরোনো অস্ত্রে তাকে ভোটযুদ্ধে চরম সমস্যায় ফেললেন মুকুল
দেবু টুডু ভুলটা বুঝতে পেরেই, সেই পোস্ট ডিলিট করে দেয়। কিন্তু তাতে কি লাভ? পোস্টটি যে দেখে ফেলেছে বহু মানুষ! এই ভুল নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূলের কিছুজন। বিরবাহা হাঁসদাও জানান যে উনি মানহানির মামলা করবেন দেবু এবং তার দলের বিরুদ্ধে। এ প্রসঙ্গে দেবু জানায় যে ভুলটা তার ছেলেরা করে ফেলেছে, এবং ভুলটা সংশোধনও করা হয়েছে। দেবু পোস্টটি সরিয়ে দিয়ে বিরবাহা সরেনের ছবি দিয়ে নতুন করে পোস্ট করেন পরে।
আরও পড়ুনঃ মিমি নুসরত এর চরিত্র নিয়ে কটাক্ষ বিতর্কে জড়ালেন দিলীপ ঘোষ
বিরবাহা সরেনের বাবা পদ্মলোচন সোরেন আদিবাসীদের সর্বভারতীয় সামাজিক সংগঠনের এ রাজ্যের প্রধান ছিলেন। সাঁকরাইলের রোহনী উচ্চমাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা ঝাড়গ্রাম লোকসভা কেন্দ্রে শাসকদলের প্রার্থী। শারীর শিক্ষায় স্নাতকোত্তর তিনি। স্বামী রবিন টুডু আদিবাসীদের সামাজিক সংগঠনের তিন জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা। ভোটে জেতার বিষয়ে রীতিমতো আত্মবিশ্বাসী বীরবাহা সোরেন।
আরও পড়ুনঃ ৪২টি কেন্দ্রে জেতানোর প্রার্থী নেই, অন্য দল থেকে আসা নেতার ভরসায় দিলীপ
আরও পড়ুনঃ পশ্চিমবঙ্গে নজিরবিহীন ৭ দফা ভোটে সুবিধা বিজেপির
আরও পড়ুনঃ বাংলার কোন লোকসভা আসনে কবে ভোট দেখে নিন
তবে, বিশেষ সুত্রে জানা গেছে, বিরবাহা হাঁসদাও দাঁড়াবে নির্বাচনে ঝাড়খন্ড গোষ্ঠীর হয়ে।
আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে The News বাংলা পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।