উচ্চ মাধ্যমিক মেধা তালিকায় প্রথম সহ একটি স্কুলেরই ১০ জন পরীক্ষার্থী

206
মেধা তালিকায় জেলার ২২ জন ছাত্র-ছাত্রী, একটি স্কুলেরই ১০ জন
মেধা তালিকায় জেলার ২২ জন ছাত্র-ছাত্রী, একটি স্কুলেরই ১০ জন

মেধা তালিকায় জেলার ২২ জন ছাত্র-ছাত্রী; একটি স্কুলেরই ১০ জন। রাজ্যবাসীর নজর কেড়ে নিল কোচবিহার জেলা। এবারের উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফলে; এখানকার ছাত্র-ছাত্রীদের জয়জয়কার। মেধাতালিকায় জায়গা করে নিল; কোচবিহার জেলার ২২ জন ছাত্র-ছাত্রী। এরমধ্যে শুধু একটি স্কুল থেকেই; ১০ জন মেধা তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে। এনিয়ে উচ্ছ্বসিত জেলার শিক্ষামহল। দিনহাটা সোনীদেবী জৈন হাই স্কুল; এবার কামাল করে দিয়েছে। উচ্চ মাধ্যমিক মেধা তালিকায়; এই স্কুলের ১০ জন ছাত্র-ছাত্রী।

দিনহাটা সোনীদেবী জৈন হাই স্কুলের ছাত্রী অদিশা দেবশর্মা। এবার ৪৯৮ পেয়ে উচ্চ মাধ্যমিকের মেধাতালিকায় প্রথম। স্বাভাবিকভাবেই এই নম্বরে ভীষণ খুশি অধীশা। খুশি স্কুল। এখানেই শেষ নয়। এই স্কুল থেকেই চতুর্থ হয়েছে অনুষ্কা ভট্টাচার্য; যে পেয়েছে ৪৯৫। পঞ্চম স্থান অধিকার করে নিয়েছে, এই স্কুলের দুই জন; অদিতি সাহানা, দিৎসা সূত্রধর, তাদের প্রাপ্ত নাম্বার ৪৯৪।

আরও পড়ুনঃ একই স্কুলের ২২ জন উচ্চ মাধ্যমিকের মেধা তালিকায়, হোম সেন্টারের ফসল

সপ্তম হয়েছে আযুস্কা ভৌমিক; সে পেয়েছে ৪৯২। অষ্টম হয়েছে অনন্যা দেব ও কেকা রায়; তারা পেয়েছে ৪৯১। নবম হয়েছেন মিতালী বর্মণ; প্রাপ্ত নম্বর ৪৯০। মেধা তালিকায় দশম, এইস্কুলের দুজন; প্রেরণা বর্মণ ও রীতম বর্মণ।

একই স্কুলের ১০ জন উচ্চ মাধ্যমিকের মেধা তালিকায়; হোম সেন্টারের ফসল? উঠে গেছে প্রশ্ন। আজ পর্যন্ত কোনদিন যা হয়নি; এবারের উচ্চ-মাধ্যমিক রেজাল্টে সেটাই হয়েছে। প্রথম দশে রয়েছে ২৭২ জন পরীক্ষার্থী। তার চেয়েও বড় কথা; মাত্র একটা স্কুল থেকেই ২২ জন ছাত্র-ছাত্রী জায়গা করে নিয়েছেন; ১-১০ এর মেধাতালিকায়। কি করে সম্ভব? একটা স্কুল থেকে ২২ জন মেধা তালিকায়? সেটাই সম্ভব করেছে, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার জলচকের পিংলা ব্লকের; জলচক নটেশ্বরী নেতাজি বিদ্যায়তন।

আরও পড়ুনঃ বাংলার সামান্য পুলিশ কনস্টেবলের ফ্লাটে কেজি কেজি সোনা, চক্ষু চড়কগাছ গোয়েন্দাদের

একই ঘটনা, দিনহাটা সোনীদেবী জৈন হাইস্কুলের ক্ষেত্রে; প্রথম অদিশা দেবশর্মা সহ; তাদের ১০ জন মেধা তালিকায়। তবে সব বিতর্ক উড়িয়ে দিয়েছেন; স্কুলের প্রধান শিক্ষক। স্কুলের এই নজরকাড়া সাফল্যে; খুশি শিক্ষক-শিক্ষিকা থেকে ছাত্র-ছাত্রীরা। অনলাইন ক্লাসে গুরুত্ব দেওয়ার ফলেই; এই সাফল্য বলে জানিয়েছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক পিন্টু কর্মকার। তবে রাজ্য জুড়ে বিতর্কও উঠেছে।

Comments

comments

আপনাদের মতামত জানাতে কমেন্ট করুন