ইঁদুর বাদুরের উপদ্রবে বন্ধ হয়ে গেল হাসপাতালের একটি বিভাগ

406
Image: The News বাংলা
Image: The News বাংলা

The News বাংলা, শিলিগুড়িঃ ইঁদুর বাদুরের উপদ্রবের মধ্যেই হাসপাতালে খুলছে ব্লাড সেপারেশান বিভাগ। শিলিগুড়ি হাসপাতালে একদিকে যেমন একটি বিভাগে ইঁদুর বাদুরের উপদ্রব। অন্য দিকে হাসপাতালে খুলছে ব্লাড সেপারেশান বিভাগ।

ডেঙ্গুর রক্ত পরীক্ষার জন্য আর উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজের ওপর নির্ভর করতে হবে না শিলিগুড়িবাসীকে। জানুয়ারী মাস থেকেই শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালেই চালু হতে চলেছে ব্লাড কমপোনেন্ট সেপারেশান সিস্টেম। সোমবার শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে রোগি কল্যান সমিতির বৈঠক শেষে চেয়ারম্যান রুদ্রনাথ ভট্টাচার্য একথা জানালেন। সেইসঙ্গে তিনি আরও জানান, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের হাত দিয়েই এই ইউনিটের শুভ সূচনা হতে চলেছে।

Image: The News বাংলা
Image: The News বাংলা

গোটা রাজ্যের পাশাপাশি শিলিগুড়িতেও, সম্প্রতিককালে বেশ কয়েক বছর ধরেই মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়েই চলেছে। প্রতি বছরই প্রচুর মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। শিলিগুড়িতে ডেঙ্গু হয়েছে কিনা তা জানতে রক্ত পরীক্ষার জন্য হয় উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ, নয় প্রাইভেটে ল্যাব থেকে টেস্ট করতে হয় রোগীদের।

এদিকে শহর থেকে শহরতলী সর্বত্র ডেঙ্গুর টেস্ট করাতে শয়ে শয়ে মানুষ মেডিকেল কলেজে আসে। এর ফলে একদিকে যেমন রক্ত পরীক্ষার নমুনা পেতে দেরী হয় অন্যদিকে সঠিক সময়ে টেস্ট রিপোর্ট না পেয়ে চিকিৎসাতেও বিলম্ব হয়।

সেই সমস্যা সমাধানে এবার উদ্যোগী হলো রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তর। সোমবার জেলা হাসপাতালে রোগি কল্যান সমিতির বৈঠক শেষে রুদ্রনাথ ভট্টাচার্য জানান,’সামনের বছর জানুয়ারী মাসেই শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে ব্লাড কমপোনেন্ট সেপারেশান সিস্টেম চালু হয়ে যাবে। সমস্ত বিষয়টি স্টেট ব্লাড ট্রান্সপ্লান্ট কাউন্সিলের দায়িত্বে থাকবে’।

এদিকে, নতুন একটি বিভাগ চালু করতে উদ্যোগী হলেও পুরোনো একটি বিভাগ ইঁদুর, বাদুরের উপদ্রবে পুরোপুরি বন্ধ হয়ে পড়ে আছে শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে। অভিযোগ, সেই লজ্জা ঢাকতে বন্ধ হওয়ার তারিখ মুছে আবার বদল করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে বেশ কিছুদিন আগে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে ডিজিটাল এক্সরে মেশিন বসানো হয়। কিন্তু অনেকদিন আগেই ইনটারনাল ডিজিটাল এক্সরে মেশিনের মধ্যে ইঁদুর ঢুকে মেশিনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ কেটে দেয়। সেই থেকে ডিজিটাল এক্সরে মেশিন পরিসেবা বন্ধ হয়ে রয়েছে হাসপাতালে। কয়েকমাস পার হয়ে গেলেও বাইরে বোর্ড লাগানো রয়েছে সাতদিন ধরে পরিষেবা বন্ধ।

রুদ্রবাবু হতাশ কন্ঠে বলেন, ‘কি করব ইঁদুরের উৎপাতের হাত থেকে নিস্তার পাবার পথ পাচ্ছি না’। কিন্তু তিনি জানান, ‘ব্লাড কমপোনেন্ট সেপারেসান সিস্টেমের ঘর তৈরী হয়ে গিয়েছে। সমস্ত যন্ত্রপাতি চলে এসেছে। জানুয়ারী মাসেই পরিষেবা চালু হয়ে যাবে। তবে সেক্ষেত্রে ইঁদুরের উৎপাতে কয়েকদিন পরিষেবা দেওয়ার পরই মুখ থুবড়ে পড়বে নাতো নতুন সিস্টেমটি? সেটাই এখন চিন্তার বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে শহরবাসীর।

Comments

comments

আপনাদের মতামত জানাতে কমেন্ট করুন