চিনের গুপ্তচর-গিরি কৌশলকে, ‘নাস্তানাবুদ’ করল ভারতের মহাকাশ বিজ্ঞানীরা

434
চিনের গুপ্তচর-গিরি কৌশলকে, 'নাস্তানাবুদ' করল ভারতের মহাকাশ বিজ্ঞানীরা
চিনের গুপ্তচর-গিরি কৌশলকে, 'নাস্তানাবুদ' করল ভারতের মহাকাশ বিজ্ঞানীরা

চিনের গুপ্তচর-গিরি কৌশলকে, ‘নাস্তানাবুদ’ করল ভারতের মহাকাশ বিজ্ঞানীরা। গত মঙ্গলবার শ্রীলঙ্কার হামবানটোটা বন্দরে এসে পৌঁছায়, চিনের ‘গুপ্তচর’ জাহাজ ইয়ান ওয়্যাং-৫। এই জাহাজ নিয়ে আগেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল, ভারত-আমেরিকা। জাহাজ না পাঠাতে কলম্বোর তরফেও, বেজিংকে অনুরোধ করা হয়। তবু ভ্রুক্ষেপ না করে ভারতের আপত্তি উড়িয়ে, শ্রীলঙ্কার বন্দরে নোঙর করে এই ‘গুপ্তচর’ জাহাজ।

ইয়ান ওয়্যাং-৫ জাহাজ শ্রীলঙ্কা পৌঁছনোর আগে, বেশ কয়েকদিন ধরেই আন্তর্জাতিক মহলে চর্চা চলছে। কী আছে এই জাহাজে, যার কারণে এই জাহাজ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত-আমেরিকা? হামবানটোটা বন্দর শ্রীলঙ্কায় থাকলেও, নিয়ন্ত্রণ বেজিংয়ের হাতে রয়েছে। বন্দরটি ৯৯ বছরের জন্য লিজ নিয়েছে বেজিং, তাছাড়া শ্রীলঙ্কা প্রচুর ঋণ নিয়েছে চিনের কাছে।

‘গুপ্তচর’ জাহাজ ইয়ান ওয়্যাং-৫, যে কোনও উপগ্রহের উপরেও নজরদারি চালাতে পারে। পাশাপাশি আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের হদিস দিতেও সক্ষম এই জাহাজ। বিশেষজ্ঞদের দাবি, সেন্সর-সহ বেশ কিছু উন্নত প্রযুক্তিযুক্ত এই নজরদারি জাহাজ, ভারতের নিরাপত্তায় বড় সমস্যা তৈরি করতে পারে। জাহাজটির ৭৫০ কিলোমিটারের মধ্যে কোনও ক্ষেপণাস্ত্র বিষয়ক গবেষণার তথ্য, সহজেই সংগ্রহ করতে পারে এই জাহাজ।

এর অর্থ, তামিলনাডুর কালপাক্কাম, কুডানকুলাম-সহ ওই এলাকায় থাকা পারমাণবিক গবেষণা কেন্দ্রের উপর, গুপ্তচরবৃত্তি করতে পারে এই জাহাজ।
চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মির ইঞ্জিনিয়ার দল, জাহাজের দায়িত্বে রয়েছে।

ভারত কি করল?

চিনের জাহাজটি ডক করার আগেই ভারতের দুটি মিলিটারি ইন্টেলিজেন্স GSAT 7/7A স্যাটেলাইট (রুক্মিণী আর অ্যাংরি বার্ড), RI SAT আর ভারতের স্পাই স্যাটেলাইট EMISAT শ্রীলঙ্কার ওই বন্দরের ওপর পজিশন নেয়। একটি ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক মেশ ব্লক (অনেকটা তড়িৎ-চুম্বকীয় জাল দিয়ে ঢেকে ফেলা) করে ফেলে পুরো জায়গাটিকে।

এর ফলে জাহাজটি কোন মাইক্রোওয়েভ সিগনাল পাঠিয়ে, তথ্য সংগ্রহ করতে পারেনি। এটি এক-ধরনের জ্যামিং। উল্টে ভারতের EMISAT চিনের জাহাজের ট্রান্সপন্ডার সিস্টেমে ঢুকে, অনেক গোপন অ্যালগরিদম জেনে নেয়। এই কাজে সবচেয়ে বেশি সাহায্য করেছে ‘কৌটিল্য’ নামে ভারতীয় একটি ইলেকট্রনিক স্পাইং সিস্টেম, যেটি ভারত ২০১৯ সালেই স্পেসে পাঠিয়েছিল।

চিনের এই ‘রিসার্চশিপ’ নিয়ে যা “রিসার্চ” করার, সেটা ভারত করেই নিয়েছে। এটি আজ ২২শে আগস্ট দেশে ফিরে যাচ্ছে। শোনা যাচ্ছে, যে চিনা জেনারেলের মাথা থেকে আইডিয়াটা বেরিয়েছিল, তাঁকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

Comments

comments

আপনাদের মতামত জানাতে কমেন্ট করুন