‘লকডাউনে ভারতের ২০ শতাংশ মানুষ খাবার পায়নি’; অমর্ত্য সেনের প্রতীচী ট্রাস্টের রিপোর্ট সামনে এল। লকডাউনে ২০ শতাংশ ভারতীয় খাদ্য সংকটে ভুগেছেন; এমনই তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে, অমর্ত্য সেনের প্রতীচী ট্রাস্টের রিপোর্টে। অর্থাৎ, দেশে প্রতি ৫ জন মানুষের মধ্যে; ১ জন ব্যক্তি খাদ্য সংকটে ভুগেছেন। বিজেপির তরফ থেকে এই রিপোর্ট উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে তৃণমূলের তরফ থেকে এই রিপোর্ট নিয়ে; এখনও কিছু বলা হয়নি।
২০২০ সালের অগস্ট থেকে নভেম্বর পর্যন্ত; দেশে একটা সমীক্ষা চালিয়েছিল অমর্ত্য সেনের প্রতীচী ট্রাস্ট। ওই সমীক্ষায় আড়াই হাজার মানুষের সঙ্গে; কথা বলা হয়, বলে জানা গেছে। সমীক্ষার সেই রিপোর্টে বলা হয়েছে, “করোনা কালে প্রান্তিক মানুষদের মধ্যে; ৮৭.৮০ শতাংশ মানুষ তাদের কাজ হারিয়েছেন। বাংলা থেকে কাজের খোঁজে, অন্য রাজ্যে যাওয়া পরিযায়ী শ্রমিকদের মধ্যে; ৯৩.২০ শতাংশই কাজ হারিয়েছেন।
আরও পড়ুনঃ বিজেপি লোকসভায় কটা আসন জিতলে, কান ধরে ওঠবস করার চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন ফিরহাদ হাকিম
এই রাজ্যে জব কার্ডধারী-দের মধ্যে; ১০০ দিনের কাজ পেয়েছিলেন মাত্র ৫৫ শতাংশ মানুষ। রিপোর্টে এও বলা হয়েছে, লকডাউনের সময় সর্বাধিক ২৪০ দিন পর্যন্ত খাদ্য সংকট চলেছে। প্রতি ৫ জন মানুষের মধ্যে ১ জন ব্যক্তি অর্থাৎ, ২০ শতাংশ মানুষ খাদ্য সংকটে ভুগেছেন। তবে, সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী সেই সব নিম্ন মধ্যবিত্ত বা মধ্যবিত্তরা; যাঁদের রেশন কার্ড নেই।
আরও পড়ুনঃ ‘নুপূর শর্মা’ নামের আড়ালে পা’ক জ’ঙ্গিদের প্রশ্রয় দিচ্ছে কারা, খুঁজে বের করবে এনআইএ
২০২১ সালে অমর্ত্য সেনের প্রতীচী ট্রাস্টের রিপোর্টে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুটি প্রকল্পের; ঢালাও প্রশংসা করা হয়। তার মধ্যে একটি হল, ‘দিদিকে বলো’ এবং অন্যটি ‘দুয়ারে সরকার’। প্রতীচী ট্রাস্ট তাদের সমীক্ষার রিপোর্টে দাবি করে; ‘দিদিকে বলো’ প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যের বিপুল সংখ্যক মানুষ, যেমন তাঁদের অভাব অভিযোগ সরকারের কাছে তুলে ধরতে পেরেছেন; তেমনই ‘দুয়ারে সরকার’-এর মাধ্যমে প্রায় পৌনে তিন কোটি মানুষ উপকৃত হয়েছেন।
শুধু তাই নয়, এই দুটি প্রকল্পের মাধ্যমে যত অভিযোগ জমা পড়েছিল; তার ৯৫ শতাংশই সমাধান করা হয়েছে। ওই রিপোর্টে আরও দাবি করা হয়ে, ‘দিদিকে বলো’ প্রকল্পের মাধ্যমে; অনলাইনে ১০ লক্ষেরও বেশি অভিযোগ নিয়ে কাজ হয়েছে।