মার্চের শুরুতেই দেশে লোকসভা ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করবে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশন সূত্রে এমনটাই জানা যাচ্ছে। সম্ভবত ভোট হবে এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে মের দ্বিতীয় সপ্তাহ এর মধ্যেই। মে মাসের ১৫ তারিখের মধ্যেই ফল ঘোষণা হয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। এবারও ৭ থেকে ৯ দফায় ভোট হবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
আরও পড়তে পারেনঃ অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে জোড়া ইতিহাস ‘বিরাট’ ভারতের
বছরের শুরু থেকেই গোটা দেশ জুড়ে লোকসভা ভোটের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দল। মিটিং, মিছিল, জনসভা নিয়ে মেতে উঠেছেন রাজনৈতিক নেতারা। জানা গিয়েছে, নির্বাচন কমিশন লোকসভা ভোটের নির্ঘন্ট ঘোষণা করতে পারে মার্চের প্রথম সপ্তাহেই। আগামী ৩ জুন শেষ হচ্ছে বর্তমান লোকসভার মেয়াদ। আপাতত ক-দফায় ভোট হবে, কোন মাসেই বা তা হবে, সেই বিষয়গুলি বিবেচনা করছে কমিশন।
২০১৪ সালে ৫ মার্চ ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করেছিল নির্বাচন কমিশন। ন দফায় হয়েছিল ভোট। প্রথম দফার ভোট ছিল ১২ই এপ্রিল ও শেষ দফার ভোট ছিল ১২ই মে। ফল ঘোষণা হয়েছিল ১৬ই মে। এবারও হয়ত এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে মের দ্বিতীয় সপ্তাহ এর মধ্যেই ভোট গ্রহণ শেষ হবে। মে মাসের ১৫ তারিখের মধ্যেই ফল ঘোষণা হয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। ৭ থেকে ৯ দফায় ভোট হতে পারে।
আরও পড়তে পারেনঃ
বাংলায় ক্ষোভ বাড়িয়ে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের বেতন বাড়াচ্ছে মোদী সরকার
ভোটের আগে মানুষের মুখে হাসি ফোটাবে মোদী সরকারের অন্তর্বর্তী বাজেট
ভারতে ষোড়শ লোকসভা গঠনের জন্য সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ২০১৪ সালের ৭ এপ্রিল থেকে ১২ মে পর্যন্ত। লোকসভার ৫৪৩টি আসনের সাংসদ নির্বাচনের জন্য এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ফল ঘোষিত হয় ১৬ মে। ভারতের সাংবিধানিক বিধি অনুসারে, ৩১ মে পঞ্চদশ লোকসভার মেয়াদ শেষ হয়। তার ১৫ দিন আগেই ভোটের ফল ঘোষণা করে দেয় কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন।
মনে করা হচ্ছে, এবারে ভারতে সপ্তদশ লোকসভা গঠনের জন্য সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে মের দ্বিতীয় সপ্তাহ এর মধ্যেই। মে মাসের ১৫ তারিখের মধ্যেই ফল ঘোষণা হয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। পর্যন্ত। কারন ৩ জুনের মধ্যেই শপথ নিতে হবে নতুন সরকারকে।
আরও পড়ুনঃ
ভারতের কৃষকের মেয়ে আইএমএফের প্রধান অর্থনীতিবিদ
ভারতীয় সেনাবাহিনীতে ‘ভাবনার বিপ্লব’ ভাবনা কস্তুরীর হাত ধরে
তবে এবারের নির্বাচনে নিরাপত্তার বিষয়টি বিশেষভাবে নজরে রেখেছে কমিশন। তাই কোন রাজ্যে কত নিরাপত্তারক্ষী প্রয়োজন, সেটা অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে শুধু লোকসভা নয়, মনে করা হচ্ছে লোকসভা ভোটের পাশাপাশি অন্ধ্রপ্রদেশ, ওডিশা, সিকিম ও অরুণাচল প্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনও একইসঙ্গে সেরে ফেলতে পারে কমিশন। রাজ্যপাল শাসনে থাকা কাশ্মীরের ভোটের বিষয়টিও গুরুত্ব দিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। কারণ, ছমাসের মধ্যে সেখানেও ভোট করাতেই হবে।
২০১৪ লোকসভা ভোটের ঠিক আগে ২০১৩ সালের ৮ ডিসেম্বর চারটি রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি সব কটিতেই জয় লাভ করে বা সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়। রাজস্থানে বিজেপি কংগ্রেসকে পরাজিত করে। দীর্ঘদিন কংগ্রেসের দখলে থাকা দিল্লিতেও বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়। এছাড়া মধ্যপ্রদেশে ও ছত্তিশগড় রাজ্যেও নিজেদের সরকার টিকিয়ে রাখতে সক্ষম হয় তারা। ভারতের সংবাদমাধ্যম দলের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নরেন্দ্র মোদীকেই বিজেপির এই জয়ের কারণ বলে চিহ্নিত করে।
আরও পড়তে পারেনঃ পৃথিবী জুড়ে কমছে শিশু, চরম সমস্যায় বিশ্ব সমাজ
এবার তার ঠিক উল্টো। লোকসভা ভোটের ঠিক আগেই পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলে চরম বিপর্যয় ঘটেছে ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি)। রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ ও ছত্তিশগড়-এই তিন রাজ্যই হাতছাড়া হয়েছে বিজেপির। অন্যদিকে এই রাজ্যগুলোয় সরকার গঠন করেছে কংগ্রেস।
বাকি, তেলেঙ্গানা ও মিজোরামেও সরকার গড়েছে বিজেপি বিরোধী স্থানীয় দুটি দল। তেলেঙ্গানায় চন্দ্রশেখর রাওয়ের দল টিআরএস। ও মিজোরামে সরকার গঠন করেছে মিজো ন্যাশনাল ফ্রন্ট (এমএনএফ)। হিন্দি বলয়ে তিন গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য হলো রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ ও ছত্তিশগড়। তিন রাজ্যেই ক্ষমতায় ছিল বিজেপি। এবার এই তিনটি রাজ্যেই জয় পেয়েছে কংগ্রেস।
আরও পড়ুনঃ দাউদ ইব্রাহিমকে হত্যার পরিকল্পনা করায় ডি কোম্পানির হাতে পাকিস্তানে খুন
ঠিক এইভাবেই ২০১৩র শেষে লোকসভা ভোটের ঠিক আগে কয়েকটি রাজ্যের বিধানসভা ভোটে জিতে, ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসকে হটিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল মোদীর দল। আর এবারে ঠিক উল্টো। ৫ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনে ধুয়েমুছে সাফ হয়ে গেছে বিজেপি। ২০১৪ র মতোই কি এবার চাকা ঘুরে বিজেপিকে হঠিয়ে ক্ষমতায় আসবে রাহুলের কংগ্রেসের নেতৃত্বে জোট সরকার? প্ৰশ্ন কিন্তু উঠছে।
আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে The News বাংলা পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।
আরও পড়তে পারেনঃ
মানুষের হাসপাতালে এত কুকুর বেড়াল কেন? দায় এড়াতে পারে না প্রশাসন
শ্রীজাত হেনস্থা ঘটনায় বাংলার বুদ্ধিজীবিদের মুখোশ খুললেন তসলিমা
বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাবান মার্কিন প্রেসিডেন্টের পদে এক হিন্দু নারী
নতুন বছরের শুরুতেই খারাপ খবর, বড় বড় কোম্পানিতে কর্মী ছাঁটাই
আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে The News বাংলা পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।