বিধানসভার অন্দরে নজিরবিহীন ঘটনা। বিধানসভায় হাতাহাতি, কে কার জামা ছিঁড়ল; কে খেল বেশি মার। হাতাহাতিতে জড়ালেন শাসক-বিরোধী দলের বিধায়করা। বীরভূমের রামপুরহাট এর গনহত্যার ঘটনা নিয়ে; বিধানসভায় বিজেপি-তৃণমূল বিধায়কদের হাতাহাতি। নাক ফাটল চুঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদারের। অন্যদিকে মার খেলেন বেশ কিছু বিজেপি বিধায়কও। বিরোধী দলের মূখ্য সচেতক মনোজ টিগ্গার জামা ছিঁড়ে দেওয়া হয়। ওয়েলে নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গেও হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন; বিজেপি বিধায়করা। যার জেরে বিধানসভা থেকে; ৫ বিজেপি বিধায়ককে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
রামপুরহাট হত্যাকাণ্ড নিয়ে বিধানসভায় তুলকালাম; তৃণমূল ও বিজেপি বিধায়কদের হাতাহাতি বেঁধে গেল; ভাঙল বিজেপি বিধায়কের চশমা। ‘চন্দনা বাউড়ি, তাপসী মণ্ডলকেও মেরেছে তৃণমূল’; ‘অধ্যক্ষের সামনেই হামলা চালায় তৃণমূল’; অভিযোগ বিরোধী দলের নেতা শুভেন্দু অধিকারির। শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ; সাদা পোশাকে পুলিশ, নিরাপত্তারক্ষীরা প্রথমে হামলা করে; তারপর তৃণমূল নেতারা কিল-ঘুষি-ধাক্কা মারে বিজেপি বিধায়কদের। এর প্রতিবাদে বিধানসভায় ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ বিজেপি বিধায়কদের।
‘বিধানসভা চলছে, কেন বাইরে সরকারি ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর? রামপুরহাট নিয়ে কেন যাবতীয় সরকারি ঘোষণা বাইরে করা হল? সংসদীয় ব্যবস্থায় এটা করা যায় না; দাবি বিরোধী দলনেতার। ‘প্রতিদিন আপনারা শুধু চিত্কার আর ওয়াকআউট করছেন’; আপনারা হঠাৎ আজ এসব বলছেন কেন? পাল্টা প্রশ্ন করেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরই বিধানসভায় তৃণমূল ও বিজেপি বিধায়কদের হাতাহাতি বেঁধে যায়।
বীরভূমের বগটুই কাণ্ড নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই; রাজ্য-রাজনীতির পারদ চড়ছে। সেই আঁচ এদিন এসে পড়ে বিধানসভাতেও। সদনের অন্দরে বিরোধী দলের ভূমিকার সমালোচনা করেন; অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ভূমিকারও; সমালোচনা করেন তিনি। এরপরেই আরও তেতে ওঠে বিরোধী বেঞ্চ; রে রে করে ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিজেপি বিধায়কেরা। সেক্রেটরিয়েটের কাগজ কেড়ে নিতে গেলে; নিরাপত্তারক্ষীরা বাধা দেন। শুরু হয়ে যায় হাতাহাতি।
এই অবস্থা দেখে চুপ করে বসে থাকেনি ট্রেজারি বেঞ্চও। শাসকদলের বিধায়করাও ওয়েলে নেমে আসেন; শুরু হয়ে যায় বিজেপি-ত্রিনমুল ‘ফাইটিং’। আহত হন দু-পক্ষের বেশ কয়েকজন বিধায়ক। গোটা ঘটনায় দু-পক্ষই একে অপরকে দোষারোপ করেছে। শেষে বিধানসভা থেকে ওয়াক-আউট করে বিজেপি বিধায়কেরা। অন্যদিকে, এই ঘটনায় ৫ বিজেপি বিধায়ককে; বিধানসভার নিয়ম ভাঙা ও অধিবেশনে অশান্তির জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে।