শ্রীলঙ্কার ৩টি গির্জা ও ৩টি হোটেলে বিস্ফোরণে মৃত অসংখ্য মানুষ। সিরিয়াল বিস্ফোরণ শ্রীলঙ্কার কলম্বোতে। এখন পর্যন্ত ১০০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। অনেকদিন পর ফের শ্রীলঙ্কায় সিরিয়াল বিস্ফোরণের মত ঘটনা ঘটল।
৩ টি গির্জায় ৬ টি বিষ্ফোরনে কেঁপে উঠল শ্রীলঙ্কা, মৃত ১০০, আহত ৩০০ জনের বেশি। ৩ টি হোটেলেও বিস্ফোরণ হয়েছে। মৃতের সংখ্যা ২০০ ছাড়াতে পারে বলেই মনে করছে শ্রীলঙ্কা সরকার। এর পিছনে কারা আছে তা দেখতে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত দল গড়েছে সরকার।
ইস্টার সানডে উপলক্ষ্যে বিভিন্ন গির্জায় ভিড় করেছিল কয়েক হাজার মানুষ, তার মধ্যেই একই সাথে উপাসনাস্থল ও হোটেল মিলিয়ে ৬টি জায়গায় বিষ্ফোরনে মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ১০০ জনের। আহত হয়েছে তিন শতাধিক। আহত ও মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ার সম্ভাবনা বলে জানানো হচ্ছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের সূত্রে।
আহতদের মধ্যে ২০০ জনকে ইতিমধ্যেই স্থানীয় হাসপাতাল গুলোতে ভর্তি করা হয়েছে। আরও আহতদের যুদ্ধকালীন তৎপরতার সাথে হাসপাতালে নিয়ে আসা হচ্ছে বলে কলম্বো ন্যাশনাল হসপিটালের এক অফিসার জানিয়েছেন। অসংখ্য মানুষের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যাচ্ছে, কলম্বোর সেন্ট অ্যান্টনি চার্চে প্রাথমিক বিষ্ফোরন হয়। এরপরে কুটুওয়াপিটিয়া ও কাটানায় আরও দুটি বিষ্ফোরন হয়। বিষ্ফোরনের প্রকৃতি এখনো নিশ্চিতভাবে জানানো সম্ভব হয়নি।
আঘাতের লক্ষ্য ছিল চার্চ এবং হোটেল। ৩টি চার্চ এবং ৩টি হোটেলে বিষ্ফোরন ঘটানো হয় এবং বিদেশী নাগরিকরা এই আক্রমনের লক্ষ্য ছিল। বিষ্ফোরন ঘটানো হয়েছে কোচ্চিকড় চার্চ, কুটুয়াপিটিয়া চার্চ, শংগ্রীলা হোটেল, কিংসবারি হোটেল, বাট্টিকালোয়া চার্ এবং চিন্নামন গ্রান্ড হোটেলে।
বিষ্ফোরন দেখে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, উপাসনাস্থল ও বিদেশী নাগরিকদের হত্যা করতেই হামলা চালানো হয়েছে। ইসলামী সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলোর দিকেই মূলত আঙুল উঠে আসছে এই ঘটনায়, যদিও এখনো পর্যন্ত কোনও সন্ত্রাসবাদী সংগঠন এই হামলার দায় স্বীকার করেনি। শ্রীলঙ্কা সরকার এই ঘটনার তদন্তে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
শেষ খবর পাওয়া এই বিস্ফোরণে এখনও পর্যন্ত মৃত ১২০ ছাড়িয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেই মনে করছে দেশের সরকার। সমস্ত হাসপাতালে রোগীর ভিড়। গোটা বিশ্ব এই ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে।