“তৃণমূল ঝুঁকেগা নেহি”, অসমে পা দিয়েই বিজেপিকে উপড়ে ফেলার ডাক অভিষেকের

225
কামাখ্যা মন্দিরে পুজো, অসমে পা দিয়েই বিজেপিকে উপড়ে ফেলার ডাক অভিষেকের
কামাখ্যা মন্দিরে পুজো, অসমে পা দিয়েই বিজেপিকে উপড়ে ফেলার ডাক অভিষেকের

কামাখ্যা মন্দিরে পুজো; অসমে পা দিয়েই বিজেপিকে উপড়ে ফেলার ডাক অভিষেকের। লক্ষ্য ২০২৪; এবার অভিষেকের নজরে কংগ্রেসি ভোট। “বিজেপিকে হারানোর জন্য যা করা প্রয়োজন তৃণমূল করবে”; অসমবাসীর কাছে একটা সুযোগ চাইলেন তৃণমূল সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

ত্রিপুরার পর এবার তৃণমূলের লক্ষ্য অসম। বুধবার সকালে গুয়াহাটি পৌঁছেই, প্রতিটি কথায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বুঝিয়ে দিলেন; বাংলার পর ঘাসফুল শিবিরের লক্ষ্য এবার অসম। বুধবার কামাখ্যা মন্দিরে পুজো দিয়ে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক; তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন। তারপর অসমে দলীয় কার্যালয়ের উদ্বোধন করেন তিনি। এরপর কর্মিসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে; অভিষেকের গলায় চরম আত্মবিশ্বাসী সুর। জোরের সঙ্গেই বলেন; “উন্নয়নের নিরিখে অসমের বিজেপি সরকারকে ১০ গোল দেব”।

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণা; “আগামী লোকসভা ভোটে অসমে ১৪টি আসনে ১০ আসনে জিততে হবে”। অসমে পা দিয়েই কংগ্রেসের ভোটব্যাংকে নজর; তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। গুয়াহাটির কর্মিসভা থেকে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন তিনি; তাঁর সাফ কথা, “বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই কংগ্রেসকে দিয়ে হবে না; রাস্তায় নেমে লড়াই করতে হবে; সেটা একমাত্র তৃণমূলই পারে”। একইসঙ্গে তাঁর ঘোষণা; “তৃণমূল ঝুঁকেগা নেহি”।

আরও পড়ুনঃ স্বাধীন ভারতের সুপ্রিম কোর্টে স্থগিত, ব্রিটিশ আমলের রাষ্ট্রদ্রোহ আইন

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণা, “আগামী লোকসভা ভোটে অসমে ১৪টি আসনের মধ্যে; ১০টি আসনে জিততে হবে”। তিনি আরও বলেন; “দল কাজ শুরু করে দিয়েছে”। সতীপীঠ কামাখ্যা মন্দিরে, অসমের সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য; প্রার্থনা করেছেন বলে দাবি করেন তিনি। দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে তাঁর বার্তা; “আমরা এখানে শুধু লড়াই করতে আসিনি; জনবিরোধী সরকারকে উৎখাত করতে এসেছি। যতবার যেখানে দরকার পড়বে; ততবার আমি আসব। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে; চোখে চোখ রেখে লড়াই করব। এবছরেই প্রতিটি বুথে কমিটি তৈরি হবে”।

অভিষেক বলেন; “তৃণমূল ঝুঁকেগা নেহি; ইডি-সিবিআই দিয়ে আমাকে আটকানো যাবে না। আমাকে ১০বার দিল্লিতে ডেকে পাঠানো হয়েছে; আমার বাড়িতে অভিযান চালিয়েছে; জেরা করেছে, তবু আমাকে আটকাতে পারেনি। এভাবে কংগ্রেস-সহ অন্যান্য দলকে আটকানো গেলেও; তৃণমূলকে আটকানো যাবে না। ত্রিপুরায় পা দিতেই হামলা হয়েছে; তবু আটকাতে পারেনি। তৃণমূল ঝুঁকেগা নেহি; সীমান্তের পাহারাদার সেনার মতো মানসিকতা নিয়ে আমরা লড়াই করি”।

Comments

comments

আপনাদের মতামত জানাতে কমেন্ট করুন