পার্থকে তাড়িয়েও, অনুব্রতকে নিয়ে এখনও কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারল না তৃণমূলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি। মাত্র কয়েকদিন ব্যবধানে গ্রেফতার, তৃণমূলের দুই দাপুটে নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অনুব্রত মণ্ডল। পার্থ গ্রেফতার হবার পরেই, দল থেকে তাঁকে বহিষ্কার করে তৃণমূল নেতৃত্ব। সরিয়ে দেওয়া হয় রাজ্য মন্ত্রিসভা থেকে। তবে অনুব্রতকে নিয়ে এখনও কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি দল ও দলনেত্রি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আর তৃণমূল শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি।
গরু পাচার কাণ্ডে জড়িত সন্দেহে, সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তিনি বরাবরই তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রিয়। গ্রেফতারির পরে কোথায় দাঁড়াবে সেই সম্পর্ক, এই নিয়ে তুমুল চর্চা শুরু হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। তৃণমূলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি কি অবস্থান নেবে দিদির প্রিয় কেষ্টর বিরুদ্ধে, সেই দিকে লক্ষ্য রাজ্যবাসীরও।
আরও পড়ুনঃ চাকরি ও গরু চুরির দায়ে গ্রেফতার পার্থ অনুব্রত, প্রতিবাদে রাস্তায় তৃণমূল
অনুব্রত গ্রেফতারের পর বৃহস্পতিবার বিকেলে সাংবাদিক বৈঠক করে তৃণমূল নেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, “দুর্নীতি হলে জিরো টলারেন্স নীতি নেবে দল। দল অন্যায়ের সঙ্গে আপস করে না। নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলে দিয়েছেন, মানুষের কাছে ক্ষতিকর বা মানুষকে কেউ ঠকিয়েছে বলে মনে হলে দল তাঁকে সমর্থন করে না”। একই সঙ্গে বিজেপি ও কেন্দ্রীয় সরকারকেও, আক্রমণ করেছেন চন্দ্রিমা। তিনি জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির নিরপেক্ষ আচরণ করা উচিত। তবে অনুব্রতকে নিয়ে কি ভাবছে দল? এই বিষয়ে খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিবৃতি দাবী করেছে বিরোধীরা।