দুই দেশের যুদ্ধ শুরু; তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আশঙ্কায় কাঁপছে পৃথিবীর মানুষ। আশঙ্কা সত্যি করেই শুরু হয়ে গেল যুদ্ধ; ইউক্রেনের কিয়েভ সহ একাধিক শহরে আক্রমণ করল রাশিয়া। এড়ানো গেল না দুই দেশের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ। রাষ্ট্রপুঞ্জের হুঁশিয়ারি অগ্রাহ্য করে; ইউক্রেনের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরু করল রাশিয়া। ক্রিমিয়া দিয়ে ইউক্রেনে ঢুকল রুশ সেনা। পাওয়া যাচ্ছে মিসাইলের আওয়াজ; এমনকি মাঝপথ থেকে ফিরতে বাধ্য হল এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান।
আক্রমণ শুরু হবার পরেই; পাওয়া গিয়েছে মিসাইলের আওয়াজ। মার্কিন বিএনও নিউজ একটি ভিডিও ফুটেজ দেখিয়েছে; যাতে পূর্ব ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণে অন্ধকার দিগন্তে আলোর বিশাল ঝলক দেখা গিয়েছে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার কিছুক্ষণ পরেই; ইউক্রেনের কিইভ এবং খারকিভ অঞ্চলে বড় ধরনের বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে।
রাশিয়ার আক্রমণ শুরু হতেই; কৃষ্ণসাগরের আকাশে কালো ধোঁয়া দেখা যাচ্ছে। মুহুর্মুহু বিস্ফোরণে কেঁপে উঠছে কিয়েভ-সহ ইউক্রেনের একাধিক বড় শহর। হামলা চলছে ইউক্রেনের সেনাঘাঁটিতেও। হামলার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন; ইউক্রেনের বিদেশমন্ত্রী দিমাত্রেয় কুলেবা। এর আগে দেশে একটি টেলিভিশন ভাষণে, ভ্লাদিমির পুতিন বলেছিলেন যে; তিনি ইউক্রেনের ডনবাস অঞ্চলে একটি বিশেষ সামরিক অভিযান চালানোর জন্য রাশিয়ান সেনাদের অনুমোদন দিয়েছেন। পুতিন এও বলেছেন যে, ইউক্রেন থেকে আসা হুমকির প্রতিক্রিয়ায় এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তিনি যোগ করেছেন যে; “রাশিয়ার লক্ষ্য তার প্রতিবেশী দেশ দখল করা নয়; নিজের দেশে শান্তি বজায় রাখা”।
কোনওভাবেই যাতে ইউক্রেনে হামলা না করে রাশিয়া; সেজন্য রাষ্ট্রসংঘের তরফে বারবার সতর্ক করা হয়েছিল পুতিনকে। কিন্তু, সেইসবের তোয়াক্কাই করেননি রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন। তিনি বলেছেন, “আমি ইউক্রেনে মিলিটারি অপারেশন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি”। ইউক্রেন সেনাকে অস্ত্র নামিয়ে পিছিয়ে যাওয়ার কথাও বলেছেন তিনি। এদিন সেই যুদ্ধই শুরু হয়ে গেল। সূত্রের খবর, দেশের দুই শহরের সেনাঘাঁটিতে; মিসাইল হামলা হয়েছে। হামলার খবর মিলেছে; বেলগার্দ ওবাস্ত শহর থেকেও। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর; রাশিয়া-ইউক্রেন সীমান্ত পেরিয়ে খারকিভ শহরের দিকে এগোচ্ছে রুশ বাহিনী।
রাশিয়ার এই হামলা নিয়ে মুখ খুলেছেন; ইউক্রেনের বিদেশমন্ত্রী দিমাত্রেয় কুলেবা। বলেছেন, “দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিস্ফোরণের খবর মিলেছে; রাশিয়ার আগ্রাসনের মুখে ইউক্রেন; এই হামলার বিরুদ্ধে যোগ্য জবাব দেবে ইউক্রেন”।