রাজ্যের ডাকে সাড়া দিলেন না শুভেন্দু অধিকারী; যাচ্ছেন না নবান্নে। সিবিআই তদন্তে জর্জরিত তৃণমূল নেতা-মন্ত্রীরা; এরমধ্যেই শুভেন্দুকে নবান্নে ডেকেছিল রাজ্য সরকার। লোকায়ুক্ত, মানবাধিকার কমিশন এবং তথ্য কমিশনের চেয়ারম্যান; এই তিন নিয়োগের বৈঠকে যোগ দিতে; বিধানসভার বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারীকে ফের চিঠি দিয়েছিল নবান্ন। এর আগেও দু-দুবার চিঠি দিয়ে; বিধানসভায় আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুকে। তবে এই প্রথম তাঁকে নবান্নে ডাকা হল।
রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে; নবান্নে আসার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়। পাল্টা তিনি সেই আমন্ত্রণে সাড়া দেওয়ার জন্য; শর্ত দিয়েছিলেন রাজ্য সরকারকে। শুভেন্দু জানালেন, তাঁকে ভুল চিঠি দিয়ে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল; তাতে ভুল শব্দও ব্যবহার করা হয়েছিল। সেই শব্দ আগে প্রত্যাহার করতে হবে সরকারকে; তবে তিনি আমন্ত্রণে সাড়া দেওয়ার কথা ভেবে দেখতে পারেন।
লোকায়ুক্ত-সহ তিনটি বিভাগের কমিশনার পদে নিয়োগের জন্যই; শুভেন্দুর কাছে রাজ্য প্রশাসনের চিঠি গিয়েছিল। এই ধরনের পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে; রাজ্যের প্রধান বিরোধী দলনেতার উপস্থিত থাকাই নিয়ম। তাঁকে ছাড়া এই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হওয়া; একেবারের সম্ভব নয়। কিন্তু শুভেন্দুর দাবি, “তারপরও তাঁর আমন্ত্রণের চিঠিতে রাজ্য সরকার লিখেছে; রাজ্যপালের সুপারিশে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে বিরোধী দলনেতাকে”।
আরও পড়ুনঃ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ থেকে রক্ষাকবচ পেতে হাইকোর্টে পার্থ
তাই শুভেন্দুর অন্যতম শর্ত ছিল, তাঁকে আমন্ত্রণ করার আগে ‘ভুল’; আগে শুধরোতে হবে রাজ্য সরকারকে। আর তা শুধরে ফেলতে হবে; গত বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার মধ্যেই। শুভেন্দু জানিয়েছিলেন, যদি রাজ্য সরকার এই ত্রুটি শুধরে নেয়; তবেই তিনি নবান্নের আমন্ত্রণ রক্ষা করার কথা ভেবে দেখতে পারেন। রাজ্য সরকার সেই শর্ত না মানায়; “নবান্নের বৈঠকে যাবেন না”, ঘোষণা করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।
তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি যোগ দেবার পরে; এই প্রথম শুভেন্দুকে নবান্নে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। ২৩মে সোমবার বিকেল ৪টে এবং সাড়ে ৪টের দুটি বৈঠকে; তাঁকে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়ে চিঠি দিয়েছিলেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব বিপি গোপালিকা। সোমবার টুইট করে, শুভেন্দু অধিকারী পরিস্কার জানিয়ে দিলেন; “রাজ্য সরকার অনড় মনোভাব নেওয়ায়; নবান্নের বৈঠকে যাচ্ছেন না”। ফলে লোকায়ুক্ত, মানবাধিকার কমিশন এবং তথ্য কমিশনের চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ; আবারও ‘বিশ বাঁও জলে’।