সংখ্যা’লঘুদের ‘তা’ণ্ডব’ সামলাতে ব্যর্থ রাজ্য সরকার, সেনা নামিয়ে ‘ঠাণ্ডা’ করার আর্জি

324
সংখ্যা'লঘুদের আন্দোলন সামলাতে ব্যর্থ রাজ্য সরকার, সেনা নামিয়ে 'ঠাণ্ডা' করার আর্জি
সংখ্যা'লঘুদের আন্দোলন সামলাতে ব্যর্থ রাজ্য সরকার, সেনা নামিয়ে 'ঠাণ্ডা' করার আর্জি

‘সংখ্যা’লঘুদের তা’ণ্ডব সামলাতে ব্যর্থ রাজ্য সরকার’। ভারতীয় সেনা বা আধা-সেনা নামিয়ে রাজ্যকে, ‘ঠাণ্ডা’ করার আর্জি নিয়ে; রাজ্যপালকে চিঠি দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মার মন্তব্যকে কেন্দ্র করে, গত দু-দিন ধরে হাওড়া জেলার বিস্তীর্ণ এলাকায়; অগ্নি’গর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বৃহস্পতিবার চলেছে ১১ ঘণ্টার বিক্ষোভ; পথ অবরোধ। শুক্রবারও হাওড়া জেলার বিভিন্ন জায়গায়; অ’শান্তি চরমে ওঠে। ফের অবরুদ্ধ হয়; ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক। এবার রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে মুখ খুলে, রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কে; চিঠি দিলেন শুভেন্দু অধিকারী।

রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কে চিঠি দিয়ে, বাংলার পরিস্থিতি সামলাতে; ভারতীয় সেনা বা আধা-সেনা নামানোর আর্জি জানালেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক ও রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়ার অভিযোগ তুলে; মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ দাবি করলেন শুভেন্দু। বিজেপি নেতা জানিয়েছেন, “রাজ্যের প্রশাসন সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ; পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে গেছে। প্রতিবাদের নামে বিভিন্ন জায়গায় চলছে বিশৃ’ঙ্খলা”।

একই সঙ্গে বিজেপি পার্টি অফিসে অগ্নি-সংযোগের ঘটনা নিয়ে; সরব হন বিরোধী দলনেতা। এই অবস্থায়, শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন; রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কে। সেই চিঠিতেই তিনি রাজ্যের এই পরিস্থিতি সামলাতে; ভারতীয় সেনা বা আধা সেনা নামানোর অনুরোধ জানিয়েছেন।

আরও পড়ুনঃ জাতীয় সড়ক অবরোধে প্রশাসন চুপ, কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের জনস্বার্থ মামলা

শুভেন্দু বলেন, “সিপিএমের সবসময় নিন্দা করে বলব, রিজয়ানুরের ঘটনার পরে আধঘণ্টার মধ্যে; মিলিটারি নামানো হয়েছিল। ভারতীয় সেনাই; মানুষের জীবন-সম্পত্তি রক্ষা করেছিল সেইসময়। আজ উলুবেড়িয়া নিমদিঘি থেকে পাঁচলা পর্যন্ত; কয়েকশো গাড়ি রাস্তায় দাঁড়িয়ে রয়েছে। গাড়ি ভাঙা হচ্ছে, পোড়ানো হচ্ছে। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা; হাতের বাইরে চলে গিয়েছে। ভারতীয় সেনা বা আধা-সেনা নামিয়ে মানুষের জীবন সম্পত্তি রক্ষা করার; আর্জি জানিয়ে চিঠি পাঠিয়েছি রাজ্যপালকে”।

শুভেন্দু আরও বলেন, “বিজেপি-র জেলা কার্যালয়ে ঢুকে ভাঙ’চুর করা হয়েছে; আগুন ধরানো হয়েছে। এতেই প্রমাণ হচ্ছে নির্বাচন পরবর্তী হিং’সা; আবার ফিরিয়ে আনতে চায়। কারণ বিজেপির কর্মসূচি-গুলিতে; আবারও মানুষজন বেরোতে শুরু করেছেন। এসএসসি থেকে নানা দুর্নীতিতে সরকার নিমজ্জিত; মানুষের দৃষ্টি ঘোরাতেই এই ঘটনা ঘটানো হচ্ছে। এই মুখ্যমন্ত্রী হল; স্লিপিং চিফ মিনিস্টার। দূষণ এবং তুষ্টি’করণ এর সমস্ত সীমারেখা উনি পার করে দিয়েছেন”।

Comments

comments

আপনাদের মতামত জানাতে কমেন্ট করুন