‘ফোনে আড়ি পাতছে কেন্দ্র’, মমতা ও বিরোধীদের ‘পেগাসাস বিতর্ক’ খারিজ সুপ্রিম কোর্টে

192
'ফোনে আড়ি পাতছে কেন্দ্র', মমতা ও বিরোধীদের 'পেগাসাস বিতর্ক' খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট
'ফোনে আড়ি পাতছে কেন্দ্র', মমতা ও বিরোধীদের 'পেগাসাস বিতর্ক' খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট

‘ফোনে আড়ি পাতছে কেন্দ্র’, মমতা ও বিরোধীদের ‘পেগাসাস বিতর্ক’ খারিজ সুপ্রিম কোর্টে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে রাহুল গান্ধী, মোদী সরকারের বিরুদ্ধে ফোনে আড়ি পাতা নিয়ে সোচ্চার হয়েছিলেন বিরোধীরা। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট সেই পেগাসাস অভিযোগ খারিজ করে দিল। “এমন কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি, যে কেন্দ্র পেগাসাস দিয়ে বিরোধীদের ফোনে আড়ি পাতছে”, পরিস্কার জানিয়ে দিল দেশের শীর্ষ আদালত।

পেগাসাস-কাণ্ডে বিজেপি বিরোধীদের প্রধান দাবি ছিল, ‘মোদী সরকার ইজরায়েল থেকে ফোনে আড়ি পাতার পেগাসাস স্পাইওয়্যার কিনেছে কি না, তা প্রকাশ্যে জানাতে হবে। কেন্দ্র পেগাসাস নিয়ে সংসদে বিবৃতি দিলেও, এই প্রশ্নের উত্তর দেয়নি। এরপর পেগাসাস-কাণ্ডের তদন্তের দাবিতে দায়ের হওয়া, একটি জনস্বার্থ মামলার জেরে সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিয়েছিল কেন্দ্র সরকার। কিন্তু ইজরায়েল থেকে স্পাইওয়্যার কেনা হয়েছিল কি না, তা খোলসা করা হয়নি সেই হফলনামায়। সেই নিয়েই শুরু হয় বিতর্ক।

ইজরায়েলি স্পাইওয়্যার পেগাসাস-কাণ্ডের তদন্তে, একটি বিশেষজ্ঞ দল গঠন করতে চেয়েছিল কেন্দ্র। কিন্তু তা খারিজ করে বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট তৈরি করে সুপ্রিম কোর্ট ৷ সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি আরভি রবীন্দ্রনের নেতৃত্ব গঠিত তিন সদস্যের এই দলে ছিলেন, আইপিএস অলোক জোশী ও টেকনিক্যাল বিশেষজ্ঞ সন্দীপ ওবেরয়। তাদের রিপোর্ট জমা পরে সুপ্রিম কোর্টে।

আরও পড়ুনঃ মানবিক কারণে একবার ফিরিয়ে দেওয়া পা’কিস্তানি, জ’ঙ্গি হয়ে ওড়াতে এল সেনা ক্যাম্প

পাশাপাশি সাইবার সিকিওরিটি বিশেষজ্ঞদের নিয়ে, ৩ সদস্যের আর একটি টেকনিক্যাল কমিটি তৈরি করে দেশের সর্বোচ্চ আদালত। ডঃ নবীন কুমার চৌধুরী, ডঃ প্রবাহরণ পি ও ডঃ অশ্বিন অনিল গুমস্তে-কে নিয়ে তৈরি হয় এই কমিটি। দুটি কমিটির রিপোর্ট পাবার পরেই, রায় জানাল সুপ্রিম কোর্ট।

তৎকালীন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এন ভি রামানার নেতৃত্বে বিচারপতি সূর্য কান্ত ও বিচারপতি হিমা কোহলি-র বেঞ্চ কেন্দ্রের সমালোচনা করে জানায়, আদালত কেন্দ্রকে পেগাসাসে আড়ি পাতার অভিযোগ নিয়ে সব রিপোর্ট জমা দেবার যথেষ্ট সময় দিয়েছিল, কিন্তু কেন্দ্র তা পুরোপুরি না দেওয়ায় এই দুটি কমিটি গড়ে তদন্ত হবে।

এদিন সুপ্রিম কোর্ট সব রিপোর্ট খতিয়ে দেখে জানায়, “২৯টি মোবাইল পরীক্ষা করা হয়েছিল, কিন্তু তাতে পেগাসাসের কোন অস্তিত্ব আছে কিনা তা প্রমাণ হয়নি”।

Comments

comments

আপনাদের মতামত জানাতে কমেন্ট করুন