চুরি গিয়েছে সব নথি। যে সে নথি নয়। রাফায়েল যুদ্ধবিমান সংক্রান্ত সব নথি চুরি হয়ে গিয়েছে। সুপ্রিম কোর্টে চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তি কেন্দ্রীয় সরকারের। দেশের শীর্ষ আদালতে এমনটাই জানিয়েছেন কেন্দ্র সরকারের এটর্নি জেনারেল কেকে বেনুগোপাল। রাফায়েল কাণ্ডে চাঞ্চল্যকর মোড়। ফের বিরোধীদের তোপের মুখে পরতে চলেছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। প্রতিরক্ষা দফতর থেকে কি ভাবে নথি চুরি গেল সেই নিয়েই উঠছে প্রশ্ন।
আরও পড়ুনঃ ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের এফ ১৬ এর অপব্যবহার, মার্কিন রিপোর্ট
বুধবার শীর্ষ আদালতে প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈই এর বেঞ্চে এই মামলা ওঠে। তখনই কেন্দ্র সরকারের এটর্নি জেনারেল কেকে বেনুগোপাল জানান, প্রতিরক্ষা দফতর থেকে চুরি গেছে রাফায়েল যুদ্ধবিমান সংক্রান্ত সব নথি। তদন্ত চলছে তা উদ্ধারের জন্য। এরপরেই হইচই পরে যায় দেশ জুড়ে।
আরও পড়ুনঃ ভোটের আগে ভারতবাসীকে নতুন উপহার মোদীর
যদিও এই চুরির কথা আগেই অনুমান করা গিয়েছিল। ২০১৫-র ২৪ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরকে লেখা প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের একটি গোপন চিঠি ফাঁস হয়ে যায়। যেখানে বলা হয়েছে, প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এবং নেগোসিয়েশন টিমকে অন্ধকারে রেখে রাফায়েল যুদ্ধবিমানের দামের বিষয়ে ফ্রান্সের সঙ্গে সমান্তরাল দরাদরি চালিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুনঃ ভারতের চাপে মাথা নত করল পাকিস্তান
শুধু তাই নয়, ওই চিঠিতে প্রতিরক্ষা সচিব জি মোহন কুমার জানিয়েছিলেন, এই ধরনের পদক্ষেপ থেকে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের সরে আসা উচিত। কারণ, এতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে অগ্রাহ্য করা হয়। সংবাদপত্রে প্রকাশিত এই প্রতিবেদনকে হাতিয়ার করেই ফের রাফায়েল ইস্যু নিয়ে কেন্দ্রকে তোপও দাগেন রাহুল গান্ধী।
আরও পড়ুনঃ মোদীকে হত্যা কর, কংগ্রেস নেতার প্রকাশ্য নির্দেশ
ফাঁস হওয়া গোপন নথিটিকে হাতিয়ার করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ‘চোর’ বলে আক্রমণ করেন তিনি। অভিযোগ করলেন, প্রতিরক্ষা মন্ত্রককে অন্ধকারে রেখে রাফায়েলে যুদ্ধবিমান কেনার জন্য সমান্তরাল দরাদরি চালিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বায়ুসেনার ৩০ হাজার কোটি টাকা চুরি করেছেন মোদী। সেই টাকা তিনি তুলে দিয়েছেন ‘বন্ধু’ অনিল আম্বানির হাতে।
পাশাপাশি, আবারও কংগ্রেস সভাপতি দাবি জানান, রাফায়েল ইস্যুতে সংসদীয় কমিটির তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। তাঁর প্রশ্ন, ‘কেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রককে অন্ধকারে রেখে ফ্রান্সের সঙ্গে সরাসরি দর কষাকষি করেছেন প্রধানমন্ত্রী?’। তিনি অভিযোগ করেন, ‘বায়ুসেনার ৩০ হাজার কোটি টাকা লুঠ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। সেই টাকা তিনি তুলে দিয়েছেন অনিল আম্বানির হাতে’। তাঁর দাবি ছিল, ‘রাফালের বিষয়ে মিথ্যা কথা বলেছেন বর্তমান প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারমণও। এখন বিষয়টি দিনের আলোর মতো পরিষ্কার’।
সেটাই এবার বুধবার শীর্ষ আদালতে প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈই এর বেঞ্চে স্বীকার করে নিল নরেন্দ্র মোদী সরকার। এই ঘোষণায় দেশ জুড়ে ঝড় উঠেছে। প্রতিরক্ষা দফতর থেকে কি ভাবে নথি চুরি গেল সেই নিয়েই উঠছে প্রশ্ন। সবচেয়ে বেশি নিরাপত্তা যেখানে থাকে সেখান থেকে এই ধরণের একটি গুরুত্ত্বপূর্ণ ফাইল কি ভাবে লোপাট হল সেই নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা।