LIVE: ভারপ্রাপ্ত অর্থমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলের বাজেট পেশ। জানুন সরাসরি, কি ঘোষণা হল মোদী সরকারের শেষ বাজেটে। ভোটে জেতার আগেই, ২০২২ এর মধ্যে নতুন ভারত গড়ার লক্ষ্য বলেই জানিয়ে দিলেন ভারপ্রাপ্ত অর্থমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। সরাসরি জানুন বাজেট ঘোষণা।
লোকসভা ভোটের আগে শেষ বাজেট মোদী সরকারের। অরুণ জেটলির অসুস্থতার জন্য লোকসভায় অন্তর্বর্তী বাজেট পেশ করলেন অর্থমন্ত্রকের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। ভোটের আগে শেষ বাজেটে একাধিক জনমোহিনী প্রকল্প ঘোষণা।
বাজেট ঘোষণা সরাসরিঃ কৃষকদের আয় দ্বিগুন করতে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী কৃষক সম্মান যোজনা চালু করা হয়েছে। ছোট কৃষকদের জন্য বার্ষিক ৬ হাজার টাকা করে সাহায্য করা হবে। ২ হেক্টর জমি আছে এমন সব কৃষকরা এই প্রকল্পের আওতায় আসবেন। ২ হেক্টরের কম জমির মালিকদের সাহায্য করতে বছরে ৬০০০ টাকা করে দেবে কেন্দ্র। এই টাকা সরাসরি কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা পড়বে। ১২ কোটি কৃষক এর ফলে উপকৃত হবেন।
সরকারের সাফল্য তুলে ধরতে গোয়েল এদিন দাবি করেন, জিডিপি বৃদ্বির হার বৃদ্ধি হয়েছে। বেড়েছে বিদেশি বিনিয়োগ। উল্টো দিকে কমে গিয়েছে মূদ্রাস্ফীতির হার। এ ছাড়া গোয়েলের দাবি, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় গৃহ নির্মাণের পরিমাণ তিন গুণ বেড়েছে, প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনায় রাস্তা তৈরির পরিমাণও বেড়েছে তিন গুণ।
রেলের বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে, প্রয়োজনে আরও বাড়ানো হবে। যাত্রী নিরাপত্তার নিরিখে এটাই নিরাপদতম বছর। গত পাঁচ বছরে সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদন বেড়েছে ১০ লক্ষ। অপ্রচলিত শক্তির উৎস বাড়াতে আন্তর্জাতিক চুক্তি হয়েছে। ব্রডগেজ লাইনে সমস্ত রক্ষীবিহীন লেভেল ক্রসিং তুলে দেওয়া হয়েছে। ইপিএফ-এর সদস্য হলে মিলবে ৬ লক্ষ টাকার বিমা। সেনা বিভাগের কর্মী-অফিসারদের বেতন বাড়ানোর প্রস্তাব।
ফসলের নুন্যতম সহায়ক মুল্য চালু করছে সরকার। প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার বরাদ্দ বৃদ্ধি। দেশে ২১৯ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ হয়েছে, যা সবচেয়ে বেশি আগে কোনোদিন হয়নি। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় ১.৫ কোটি বাড়ি তৈরি হয়েছে। মুদ্রা প্রকল্পে ১৫ লক্ষ্য কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হবে।
২০২১ এর মধ্যে দেশের সব মানুষের বাড়িতে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া হবে। শিল্প শ্রমিকদের বোনাস বাড়িয়ে দ্বিগুন করা হল। অবসরের আগে মারা গেলে শ্রমিকদের প্রভিডেন্ট ফান্ড দ্বিগুন দেওয়া হবে। শ্রমিকদের নুন্যতম পেনশন ১০০০ টাকা করা হল। শ্রমিকদের প্রভিডেন্ট ফান্ডের পরিমাণ ২.৫ লাখ থেকে ৬ লাখ টাকা পর্যন্ত করা হল। গ্রাচুইটির পরিমাণ ১০ লক্ষ্য টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০ লক্ষ্য টাকা করা হল।
‘প্রধানমন্ত্রী কৌশল বিকাশ যোজনা’য় এক কোটি যুবককে কারিগরি প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। আগামী অর্থবর্ষে ‘প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনা’য় ৮ কোটি গ্যাস কানেকশন দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। সংরক্ষিত ক্ষেত্রের শ্রমিকদের পেনশন ন্যূনতম ৩০০০ টাকা করা হল। মাছ চাষে উৎসাহ বাড়াতে ও সাহায্য করতে তৈরি হবে পৃথক মৎস্য দফতর।
বাজেটে গো-রক্ষায় নয়া প্রক্লপের ঘোষণাও করলেন পীযূষ গোয়েল। গো-প্রজনন এবং রক্ষণাবেক্ষণে এই প্রকল্পের ঘোষণা করা হল। ‘রাষ্ট্রীয় গোকুল যোজনা’ নামে এই প্রকল্পে বরাদ্দ করা হয়েছে ৭৫০ কোটি টাকা। এছাড়া মাছ চাষে উৎসাহ দিতে এবং সাহায্য করতে আলাদা দফতর গঠন করার প্রস্তাবও দেওয়া হল অন্তর্বর্তী বাজেটে।
শ্রমিক পেনশনে ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ। প্রতিরক্ষা খাতে ৩ লক্ষ্য কোটি টাকা দেওয়া হল বাজেটে। এক পদ এক পেনশন প্রকল্পে ৩৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হল। পশুপালনে ৭৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হল। ১২ লক্ষ্য কোটি টাকা প্রত্যক্ষ কর আদায় হয়েছে গত আর্থিক বছরে। আগামী ৫ বছরে ১ লক্ষ্য ডিজিটাল গ্রাম তৈরি হবে।
প্রত্যক্ষ কর ব্যবস্থা ও আয়কর রিটার্ন ব্যবস্থা অনেক সহজ করা হয়েছে। রেল মানচিত্রে প্রথমবার যুক্ত হচ্ছে অরুণাচল প্রদেশ। ১ কোটি যুবককে জীবিকা অর্জনের জন্য কারিগরি প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। জন ধন যোজনায় ৬৪ কোটি নতুন অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। উত্তর-পূর্বের জন্য পরিকাঠামো ক্ষেত্রে বরাদ্দ ২১ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে, বরাদ্দ হয়েছে ৫৮১৬৬ কোটি টাকা।
‘আয়ুষ্মান ভারত’ প্রকল্পে ১০ লক্ষ পরিবার উপকৃত হয়েছে। হরিয়ানায় ২২তম এইমস প্রতিষ্ঠিত হবে। ৩ লক্ষ কোটি টাকার অনাদীয় ঋণ উদ্ধার হয়েছে। ২০১৮-১৯ সালে রাজস্ব ঘাটতি কমে হয়েছে ৩.৪। চাকরি ক্ষেত্রে উচ্চ বর্ণের জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণ নিশ্চিত করেছে সরকার। রাজস্ব ঘাটতি জিডিপি-র ২.৫ শতাংশ হয়েছে। একশো দিনের কাজে ৬০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব বাজেটে।
৫ লাখ টাকা আয় পর্যন্ত কোন ইনকাম ট্যাক্স দিতে হবে না। এলআইসি, সেভিংস সার্টিফিকেট জাতীয় কোন কিছু থাকলে আরও দেড় লাখ মানে ৬.৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ইনকামে ট্যাক্স দিতে হবে না। ভোটের আগে বড় ঘোষণা মোদী সরকারের। ২ কোটি টাকা স্থাবর সম্পত্তির ক্ষেত্রে কর ছাড়। ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত ছাড় পাওয়া যাবে।
২০২০ পর্যন্ত নতুন বাড়ি কেনা বা তৈরি করলে, আয়করে ছাড় পাওয়া যাবে। বাড়ি বিক্রির মাধ্যমে হওয়া আয়ের ক্ষেত্রে ২ বছর পর্যন্ত কর ছাড় পাওয়া যাবে। ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত রোজগারে করছাড়ের প্রস্তাব। এককথায় এক ধাক্কায় দ্বিগুণ হল করছাড়ের উর্ধ্বসীমা। প্রভিডেন্ট ফান্ড ও সেভিংস বিনিয়োগের দৌলতে সাড়ে ৬ লক্ষ টাকা পর্যন্ত কর ছাড় পাবেন মানুষ। মধ্যবিত্তরা।
আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে The News বাংলা পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।