রাজ্যে ভোটে তৃণমূলের সন্ত্রাস, নির্বাচন কমিশন দফতরে মুকুল রায়ের বিক্ষোভ

504
রাজ্যে ভোটে তৃণমূলের সন্ত্রাস, নির্বাচন কমিশন দফতরে মুকুল রায়ের বিক্ষোভ/The News বাংলা
রাজ্যে ভোটে তৃণমূলের সন্ত্রাস, নির্বাচন কমিশন দফতরে মুকুল রায়ের বিক্ষোভ/The News বাংলা

রাজ্যে ভোটে তৃণমূলের সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে শুক্রবার নির্বাচন কমিশন দফতর ঘেরাও করে তুমুল বিক্ষোভ দেখান মুকুল রায় ও বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। কোচবিহারের ভোটে রাজ্য পুলিশ যেখানে যে বুথে ছিল সেখানেই সন্ত্রাস হয়েছে বলেই দাবি মুকুল রায়ের। সেই নিয়েই আজ রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক বা সিইও দফতরে তুমুল বিক্ষোভ দেখায় মুকুল রায়ের নেতৃত্বে বিজেপি।

মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক বা সিইও র সামনেই বসে পরলেন মুকুল রায় ও বিজেপি নেতারা, দেখুন ছবিঃ

আরও পড়ুনঃ দ্বিতীয় দফা ভোটে আরও ২৫ কোম্পানি সশস্ত্র বাহিনী আসছে বাংলায়

রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটে চরম সন্ত্রাসের পরিস্থিতি দেখেও শিক্ষা নেয় নি ভারতের নির্বাচন কমিশন। আর সেই রাজ্য পুলিশের উপর ভরসা করেই ডুবল ভারতের নির্বাচন কমিশন। কেন্দ্রীয় বাহিনী না থাকায় চরম সন্ত্রাস দেখতে পেল কোচবিহার এর বিভিন্ন এলাকা। যেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী নেই সেখানেই দাপিয়ে বেড়িয়েছে তৃণমূলের গুণ্ডারা। এমন অভিযোগ নিয়েও শুক্রবার নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানান মুকুল রায় সহ বিজেপি নেতারা। তারপরেই রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক বা সিইও দফতরের সামনে তুমুল বিক্ষোভ দেখায় মুকুল রায়ের নেতৃত্বে বিজেপি নেতারা।

আরও পড়ুনঃ সেনার পোশাকে বুথে রাজ্য পুলিশ কর্মী, গাদা বন্দুক নিয়েই ধরা পরে গেলেন

কোচবিহার কেন্দ্র নিয়ে বাড়তি নজর ছিল কমিশনের। ৪৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রায় পুরোটাই ছিল কোচবিহারে। কোচবিহারে ২০১০টি বুথের মধ্যে ১০৬০টি বুথে ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী। বাকি ৯৫০টি বুথে ছিল রাজ্যের সশস্ত্রবাহিনী। আর বৃহস্পতিবার ভোটের দিন সারাদিন কোচবিহারে থাকার কথা ছিল বিশেষ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবের। কোচবিহারে থেকেই ভোট মনিটরিং করবেন তিনি, এমনটাই কথা ছিল।

আরও পড়ুনঃ শুধু কোচবিহারে ছাপ্পা ও সন্ত্রাস আটকাতে না পেরে লজ্জায় বিবেক দুবে ও নির্বাচন কমিশন

কিন্তু দেখা গেল ঠিক উল্টো ছবি। বিশেষ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে কলকাতায় ফিরে গেলেন ভোটের দিন সকালেই। আর যেখানে যেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী নেই সেই সেই বুথেই দেখা গেল চরম সন্ত্রাস। ঠিক পঞ্চায়েত ভোটের মতই তৃণমূলের ফের সন্ত্রাস দেখল রাজ্য। তাও শুধুমাত্র দুটো লোকসভার ভোটে। কোচবিহারে যেখানে যেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী নেই, সেখানেই তৃণমূল সন্ত্রাস চালিয়েছে বলেই অভিযোগ বিজেপির।

আরও পড়ুনঃ ভোটের ‘দাওয়াই’ দেওয়ার বেনজির হুমকি রাজ্যের মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষের

কোচবিহারের শিতলকুচির অনেক বুথেই বিরোধী প্রার্থীর পোলিং এজেন্টকে ঢুকতেই দেওয়া হয় নি বলেই বিজেপির অভিযোগ। শুধুমাত্র তৃণমূল কংগ্রেস এজেন্টদেরই দেখা যায় সেখানে। এমনকি বুথে যেতে বাধা দেওয়া হয় ভোটারদেরও। সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরার সামনেই চলে হুমকি। ভোটের আগে সব বুথেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি ছিল বিজেপির। কিন্তু কোচবিহারে ৯৫০টি বুথে ছিল রাজ্য পুলিশ। আর এই সব বুথ নিয়েই বিজেপি আজ অভিযোগ জানায় নির্বাচন কমিশনে।

আরও পড়ুনঃ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ভবিষ্যতের ভূতকে ২০ লক্ষ টাকা জরিমানা দেবে মমতা সরকার

রাজ্য পুলিশ থাকা অধিকাংশ বুথেই চলছে চরম দাদাগিরি, এমনটাই অভিযোগ করেছেন মুকুল রায়। মাথাভাঙ্গা ও দিনহাটার অধিকাংশ বুথেই ভোটারদের বাধা দেওয়া হয়েছে। অনেক বুথেই বিরোধী এজেন্টদের বসতেই দেওয়া হয় নি বলেই নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছে বিজেপি, বাম ও কংগ্রেস। পুনারায় নির্বাচন নিয়ে শুক্রবার রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক বা সিইও দফতরের যান মুকুল রায় ও বিজেপি নেতারা।

আরও পড়ুনঃ মমতার ফোনের পরই ৫ টি বুথে পুনরায় নির্বাচন চাইলেন রবীন্দ্রনাথ ঘোষ

রাজ্যের উপর ভরসা করে ডুবল ভারতের নির্বাচন কমিশন। রাজ্যের পুলিশের উপর নির্ভর করে ডুবল নির্বাচন কমিশন। কেন্দ্রীয় বাহিনী না থাকায় সন্ত্রাস চলছে অধিকাংশ কেন্দ্রীয় বাহিনী হীন বুথে। এমনটাই ভুরি ভুরি অভিযোগ জমা পরেছে নির্বাচন কমিশন এর কাছে। তবে রাজ্য ও রাজ্য পুলিশের উপর ভরসা করে এইভাবে ডুবতে হবে টা ভাবেনই নি বিশেষ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে ও নির্বাচন কমিশন। আর এই নিয়েই তুমুল বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি।

আরও পড়ুনঃ কলকাতা নয় কোচবিহার থেকে ভোট মনিটরিং করবেন বিশেষ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে
আরও পড়ুনঃ আশ্চর্য কাণ্ড, ভোট শুরু হতেই কোচবিহার থেকে কলকাতায় ফিরলেন বিবেক দুবে

আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে The News বাংলা পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।

Comments

comments

আপনাদের মতামত জানাতে কমেন্ট করুন