লোকসভা ভোটে লজ্জাজনক ফল। ২০১৪ সালের ৩৪টি আসন কমে মাত্র ২২। ৪২ এ ৪২ এর দাবি তুলে, মাত্র ২২টি আসন পাওয়ায়; প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার কালীঘাটে মমতার বাড়িতে পর্যালোচনা বৈঠকে বসছে তৃণমূল। মমতার কোপে কারা? উঠে গেছে প্রশ্ন।
শনিবার বিকেল ৪টেয় কালীঘাটে; মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাসভবনে জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছে। ক্ষমতায় আসার পর থেকে যত নির্বাচন হয়েছে; প্রতিটি নির্বাচনের পরের দিনই দলনেত্রী বৈঠক ডাকেন। কিন্তু সব নির্বাচনেই বিপুল সাফল্য পেয়েছে তৃণমূল। ফলে সেই সব বৈঠক কার্যত দলনেত্রীর; পিঠ চাপড়ানোর বৈঠক হত।
কিন্তু এ বার পরিস্থিতি ভিন্ন। নিজেদের আসন কমার পাশাপাশি; বিজেপির বিপুল উত্থান। লোকসভা ভোটের ফলের নিরিখে ১৩৬টি বিধানসভায় হার। বিধানসভার উপনির্বাচনেও; আটটির মধ্যে মাত্র তিনটিতে জয়। বিজেপির জয় চারটিতে; একটিতে কংগ্রেস। সব মিলিয়ে অশনিসঙ্কেত; বলেই মনে করছেন দলের নেতানেত্রীরা।
ভোটের ফল প্রকাশের পরই; তিনি কেবল একটা টুইট করেছিলেন। সেই টুইটে মমতা বলেছিলেন; “হার মানেই পরাজয় নয়”। কিন্তু ওই পর্যন্তই; বাংলায় বিজেপি ১৮টি আসন দখল করার পর; তৃণমূল সুপ্রিমোর; আর কোনও বিবৃতি বা প্রতিক্রিয়া সামনে আসেনি। তবে তৃণমূল সূত্রের খবর, শনিবার বিকেল ৪টেয় কালীঘাটের বাড়িতে অনেক নেতাই মমতার তোপের মুখে পড়তে চলেছেন।
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে; লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের জয়ী ও পরাজিত; সব প্রার্থীকেই বৈঠকে ডাকা হয়েছে। পাশাপাশি বৈঠকে ডাকা হয়েছে; সব জেলা সভাপতিকে। এছাড়াও বৈঠকে থাকবেন; দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতারা। বাংলায় এবার ৪০ শতাংশেরও বেশি ভোট পেয়ে; মমতার আশঙ্কা বাড়িয়ে দিয়েছে পদ্মশিবির।
২০১৪ থেকে ১২টি আসন কম পেয়ে; রীতিমতো মুষড়ে পড়েছে ঘাসফুল শিবির। নেতাদের কৈফিয়ত নিতেই; জরুরি বৈঠক ডাকলেন মমতা। ভোটের লড়াইয়ে তৃণমূলের কৌশল কেন কাজে লাগল না? কোথায় খামিত ছিল? এই সব নিয়েই পর্যালোচনা করা হবে।
পাশাপাশি, যেসব তৃণমূল প্রার্থী হেরে গিয়েছেন; তাঁদের সঙ্গে দলনেত্রী কথা বলতে পারেন। পরাজিত প্রার্থীদের কেন্দ্রে কেন ধাক্কা খেল দলের রণকৌশল; তা সরেজমিনে খতিয়ে দেখবেন মমতা। কেন এত আসনে হারতে হল; সমস্যা কোথায় ছিল; দলনেত্রীর কাছে তার জবাবদিহি করতে হবে সংগঠনের দায়িত্বে থাকা নেতাদের। দলনেত্রীর সামনেই উঠে আসতে পারে জেলায় জেলায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের বিষয়টিও।