The News বাংলা, কাবুলঃ ভক্তকে বিখ্যাত করে বিপদে ফেলে দিয়েছেন লিওনেল মেসি। হ্যাঁ গল্প হলেও এটাই সত্যি। এমনিতেই পদে পদে ছিল বিপদ। মেসির জন্য বিখ্যাত হবার পর সেই বিপদ আরও বেড়েছে মেসি ভক্ত মুরতাজার।
ফুটবল তারকা লিওনেল মেসির ভক্ত হিসেবে সোশ্যাল মিডিয়ায় শোরগোল ফেলেছিল আফগান বালক মুরতাজা। প্রাণ বাঁচাতে দ্বিতীয়বারের মত আফগানিস্তানে নিজের বাড়ি ছেড়ে পালাতে হয়েছে সাত বছর বয়সী এই বালককে। প্লাস্টিক ব্যাগ দিয়ে মেসির জার্সি বানিয়ে তা পড়ে মুরতাজা আহমাদীর ছবি সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছিলো ২০১৬ সালে।
পরে কাতারে তার স্বপ্নের নায়কের সাথে সাক্ষাতও হয়েছিলো মুরতাজার। যে ঘটনায় রীতিমত তারকা বনে গিয়েছিল ছোটো মুরতাজা নিজেও। কিন্তু এখন তার পরিবারের সদস্যরা বলছেন তালিবানের ভয়ে ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাতে হয়েছে তাদের। আফগানিস্তানের দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলীয় গজনী প্রদেশে বসবাস করছিল মুরতাজার পরিবার।
আরও পড়ুন: সপ্তশৃঙ্গর পর সপ্ত আগ্নেয়গিরি, বিশ্বরেকর্ডের দোরগোড়ায় বাঙালি
কিন্তু পরিস্থিতি এমন হয়েছে যে, তারা এখন পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছে কাবুলে। এর আগে ২০১৬ সালেও তারা পাকিস্তানে স্বল্পমেয়াদে শরণার্থী সুবিধা পেতে আবেদন করেছিল। কিন্তু পরে অর্থ শেষ হয়ে পড়ায় দেশে ফিরে আসে তার পরিবার। আর এবার পরিস্থিতি কেমন হয় সেটা এখনি কিছু বলা যাচ্ছে না।
পলিথিন দিয়ে মেসির জার্সি বানিয়ে রাতারাতি বিশ্ব বিখ্যাত হয়ে গিয়েছিল মুরতাজা আহমাদী। আর্জেন্টাইন তারকা লিওনেল মেসির মহাভক্ত এই মুরতাজা। জার্সি কেনার সামর্থ্য নেই, তাই পলিথিন কেটে জার্সি বানিয়ে তার ওপর মেসির নাম ও জার্সি নাম্বার লিখে তা পরে নিয়েছিল মাত্র পাঁচ বছর বয়সে।
আরও পড়ুন: সৌরভের পর বিরাট ওষুধে স্লেজিং শেষ অস্ট্রেলিয়ার
পরে সেই জার্সি পরা তার ছবি কেউ একজন পোস্ট করে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এরপর সেটি ভাইরাল হয়ে পড়ে আর লোকজনও তাকে ‘ছোটো মেসি’ বলে ডাকতে শুরু করে। আর এ খবর পৌঁছায় লিওনেল মেসি পর্যন্ত। ইউনিসেফের মাধ্যমে তিনি নিজের স্বাক্ষর করা জার্সি পাঠান তাকে।
পরে বার্সা তারকা যখন ২০১৬ সালে কাতারের দোহাতে যান প্রীতি ম্যাচ খেলতে, তখন মুরতাজাকে মেসির সাথে সাক্ষাতের জন্য আমন্ত্রণ করা হয়। সেখানে প্রিয় তারকার সাথে কিছুটা কথা বলার ও হাঁটার সুযোগও পায় এই বালক।
কিন্তু তারপরেই তালিবান হুমকি। মুরতাজার পরিবার বলছে এই বিখ্যাত হওয়ার কারণেই তালিবানদের টার্গেটে পরিণত হয়েছে মুরতাজা। তার মা শাফিকা বলছেন,’ওরা বলছে তোমরা ধনী হয়ে গেছ। মেসির কাছ থেকে যা টাকা পেয়েছ তা আমাদের দাও। নাইলে তোমার ছেলেকে নিয়ে যাব’। তিনি বলছেন বাড়ি থেকে আসার সময় তারা কিছুই সাথে নিতে পারেন নি, এমনকি মেসির কাছ থেকে পাওয়া জার্সিটাও।