কংগ্রেস নির্বাচনী ইস্তাহারকে প্রো জিহাদ ও অ্যান্টি ইন্ডিয়া বলে আক্রমণ কোয়েনা মিত্রের

650
কংগ্রেস নির্বাচনী ইস্তাহারকে প্রো জিহাদ ও অ্যান্টি ইন্ডিয়া বলে আক্রমণ কোয়েনা মিত্রের/The News বাংলা
কংগ্রেস নির্বাচনী ইস্তাহারকে প্রো জিহাদ ও অ্যান্টি ইন্ডিয়া বলে আক্রমণ কোয়েনা মিত্রের/The News বাংলা

কংগ্রেসের নির্বাচনী ইস্তাহারকে প্রো জিহাদ ও অ্যান্টি ইন্ডিয়া বলে তীব্র আক্রমণ কোয়েনা মিত্রের। নিজের টুইটারে পোস্ট করেন এই নায়িকা। আর তারপরেই শুরু হয়ে যায় তীব্র সমালোচনা। পড়ে রাহুল গান্ধীও টুইট করে পাল্টা দেন কোয়েনাকে।

ট্যুইট করে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তীব্র তোপ দাগলেন অভিনেত্রী কোয়েনা মিত্র। ৪ঠা এপ্রিল নিজের করা একটি ট্যুইটে কোয়েনা মিত্র কংগ্রেসের সদ্য প্রকাশিত নির্বাচনী ইস্তাহারকে প্রো জিহাদ, অ্যান্টি জওয়ান ও অ্যান্টি ইন্ডিয়া বলে কটাক্ষ করেন। শুধু তাই নয়, আরও একবার ভারত ভাগ হলে রাহুল গান্ধী দায়ী থাকবেন বলে মন্তব্য করেন তিনি।

চাঁদ তারা খচিত ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লিগের সবুজ পতাকা নিয়ে কংগ্রেসের নির্বাচনী জনসভায় উপস্থিত হচ্ছেন ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লিগের সমর্থকরা। আর এটাকেই হাতিয়ার করলেন কোয়েনা মিত্র। ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লীগের আগের একটি প্রতীকী ছবি পোস্ট করে অভিনেত্রী রাহুলের উদ্দেশ্যে কটাক্ষ করে বলেন, গাজওয়া-ই-হিন্দ প্রতিষ্ঠার জন্য রাহুল চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

কোয়েনা মিত্রের এই টুইটের পর তাঁকে পাল্টা দিলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীও। কি বললেন রাহুল। নিচে দেখুন। এরপর আবার বিজেপি কংগ্রেস কাদা ছোঁড়াছুড়ি শুরু হয়ে যায়। কি বললেন রাহুল, দেখুন।

কংগ্রেস নির্বাচনী ইস্তাহারকে প্রো জিহাদ ও অ্যান্টি ইন্ডিয়া বলে আক্রমণ কোয়েনা মিত্রের/The News বাংলা
কংগ্রেস নির্বাচনী ইস্তাহারকে প্রো জিহাদ ও অ্যান্টি ইন্ডিয়া বলে আক্রমণ কোয়েনা মিত্রের/The News বাংলা

উল্লেখ্য, কেরালার ওয়ানাড থেকে প্রার্থী হয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। সেখানে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে কংগ্রেস জোট করেছে ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লিগ (IUML), স্যোসাল ডেমোক্রেটিক পার্টি অফ ইন্ডিয়ার (SDPI) সাথে। দুটি সংগঠনের বিরুদ্ধেই স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবিরের নামে অস্ত্র প্রশিক্ষণ শিবির চালানোর অভিযোগ এনেছিল এনআইএ (NIA)। এদিকে ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লিগের সাথে জামাত ই ইসলামীর যোগসাজশ প্রমাণিত হয়েছে বহুবার।

ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লিগ (IUML) ও স্যোসাল ডেমোক্রেটিক পার্টি অফ ইন্ডিয়ার (SDPI) সক্রিয় বেশ কিছু সদস্যকে ২০১৪ লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগেই অস্ত্র সমেত গ্রেফতারও করা হয়েছিল। দুই দলেরই ২৪ জন সক্রিয় কর্মী সেবার গ্রেফতার হয়।

এসডিপিআই এর তরফে ২০১৪ সালে স্থানীয় একটি স্কুলে বন্দে মাতরম গাইবার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। হাত জোড় করে প্রনাম করার রীতিরও বিরুদ্ধাচারণ করেছিল তারা। উল্লেখযোগ্যভাবে কিছুদিন আগেই কেরালার সিপিএম সরকার কংগ্রেসের বিরুদ্ধে মুসলিম চরমপন্থী সংগঠন গুলোর সাথে হাত মেলানোর গুরুতর অভিযোগ এনেছিল। আর এবার সেই একই ইস্যুতে সরব হলেন কোয়েনা।

Comments

comments

আপনাদের মতামত জানাতে কমেন্ট করুন