ঘটনাস্থল আবার সেই পুলওয়ামা। এবার পুলওয়ামায় ৪ লস্কর ই তৈবা জঙ্গিকে খতম করল ভারতীয় সেনা। রতভর লড়াইয়ের পর সোমবার সকালে জঙ্গিদের সঙ্গে সেনার সংঘর্ষে পুলওয়ামা জেলার লসিপোরায় ৪ জঙ্গিকেই গুলি করে মারে সেনা। তাদের কাছ থেকে ২টি একে ৪৭ রাইফেল, একটি এসএলআর ও একটি পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে এখনও ওই এলাকায় তল্লাশি চলছে। গোটা এলাকা ঘিরে রেখেছে সেনা।
জম্মু-কাশ্মীরের অবন্তীপোরা থেকে ৫১ কিলোমিটার দূরে পুলওয়ামার লসিপোরায় রাতভর গুলির লড়াইয়ের পর সোমবার সকালে চার লস্কর জঙ্গিকে খতম করল সেনা। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন ৩ জওয়ানও। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি এই পুলওয়ামার জেলারই অবন্তীপোরায় সেনা কনভয়ে জইশ জঙ্গি হামলায় ৪৯ জওয়ান শহিদ হয়েছিলেন।
সেনা সূত্রে খবর, পুলওয়ামা হামলার পর থেকেই ওই জেলার বিভিন্ন প্রান্তে জঙ্গি দমন অভিযান চালাচ্ছে সেনা। রবিবার রাতেই গোপন সূত্রে খবর আসে লসিপোরায় বেশ কিছু লস্কর জঙ্গি আত্মগোপন করে আছে। রাতেই অভিযানে নামে সেনা। গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে জওয়ানরা। যখন তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছিলেন, সেই সময় তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করে জঙ্গিরা।
রাতভর দুপক্ষের মধ্যে তুমুল গুলির লড়াই চলে। সেই সংঘর্ষেই ৪ জঙ্গি নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন শ্রীনগরের প্রতিরক্ষা বিষয়ক মুখপাত্র কর্নেল রাজেশ কালিয়া। তিনি জানান, “লসিপোরায় কয়েকজন লস্কর জঙ্গি লুকিয়ে রয়েছে, গোপন সূত্রে খবর ছিল সেনার কাছে”। সেই মতো সোমবার ভোরেই আগেই হানা দেয় তারা। সেনাকে দেখেই গুলি চালাতে শুরু করে জঙ্গিরা। পাল্টা গুলি চালায় সেনা। শুরু হয় এলোপাথাড়ি গুলির লড়াই।
সোমবার সকালে দেখা যায়, ৪ লস্কর ই তৈবা জঙ্গিই মারা পরেছে। কাশ্মীরের কোন সেনা ক্যাম্পে বড়সড় হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছিল এই জঙ্গিরা এমনটাই প্রাথমিক ভাবে জানা যাচ্ছে। গোটা এলাকায় এখনও চিরুনি তল্লাশি চালাচ্ছে জম্মু কাশ্মীর পুলিশ ও সেনা।
সেনা সূত্রে জানানো হয়েছে, নিহত জঙ্গিদের কাছে থেকে চারটি রাইফেল এবং প্রচুর গোলাবারুদ উদ্ধার হয়েছে। দুদিন আগে পুলওয়ামাতেই জঙ্গিদের গ্রেনেড হামলায় এক জওয়ান আহত হন। পুলওয়ামা হামলার পর থেকেই গোটা উপত্যকা জুড়ে জঙ্গি দমন অভিযান চালাচ্ছে সেনা। সোপিয়ান, কুপওয়ারা, বদগাম, জম্মু-কাশ্মীরে একের পর এক জায়গায় অভিযান চালিয়ে গত কয়েকদিনে দুই জইশ-সহ ৬ জঙ্গিকে নিকেশ করেছে সেনা।