পাকিস্তানের নৌবাহিনির সুত্রে খবর কারাচির সমুদ্রে দেখা গেল ভারতের সাবমেরিন। পাকিস্তান মঙ্গলবার জানায় একটি সাবমেরিন তারা সমুদ্রের মধ্যে সনাক্ত করে। এই সাবমেরিনটি ভারতের বলে পাক নৌবাহিনি দাবি করেছে। এবার জলে ভারতের সারজিক্যাল হামলার ভয়ে কাঁপছে পাকিস্তান। যদিও পাকিস্তানের সব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে ভারত।
পাকিস্তানি নৌবাহিনির একজন মুখপাত্র জানান, ভারতের একটি সাবমেরিন পাক জলসীমায় ঢুকে পরে। কিন্তু পাক নৌসেনার তরফ থেকে ভারতের সাবমেরিনকে খুব বেশি পাকিস্তানি এলাকায় প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। তারা বিশেষ দক্ষতার সঙ্গে সাবমেরিনটিকে সনাক্ত করে এবং নিজেরা এগিয়ে গিয়ে ভারতের সাবমেরিনটিকে আক্রমণের ভয় দেখিয়ে ফেরত পাঠিয়ে দেয়।
দেখুন পাকিস্তান নৌ সেনার প্রকাশ করা সেই ভিডিও। হাস্যকর দাবি, পুরনো ভিডিও বলে উড়িয়ে দিয়েছে ভারতের নৌ সেনা কর্তারা। দেখুন সেই ভিডিও।
পাক নৌবাহিনীর সুত্রে এও জানানো হয় যে, একটি ভারতীয় সাবমেরিন পাক জলসীমায় ঢুকে পরে। কিন্তু পাক নৌসেনা ভারতের সাবমেরিন দেখেও তার দিকে লক্ষ করে টর্পেডো ছাড়েনি। বা আক্রমণ করেনি। এটা পাকিস্তানের দিক থেকে ভারতকে পাঠানো এক শান্তি বার্তার প্রতীক।
এই নিয়ে দ্বিতীয় বার ভারতের সাবমেরিন দেখা গেল পাকিস্তানের সমুদ্রে দাবি পাকিস্তানের। প্রথমবার ২০১৬ সালে পাকিস্তানের সমুদ্রে দেখা গেছিল ভারতীয় সাবমেরিন।
যদিও ভারতীয় নৌসেনা এই ঘটনাকে সম্পূর্ণ ভুয়ো বলে দাবি করেছে। তারা জানিয়েছে যে পাকিস্তান যে চিত্র দেখাচ্ছে, তা ২০১৬ সালের। তাও পাক জলসীমায় নয়। পাকিস্তানের দিকে কটাক্ষ করে ভারতীয় নৌবাহিনী এও জানিয়েছে যে, পাকিস্তান এখন সবেতেই ভারতের ভূত দেখছে।
যদিও এই ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যেই আন্তর্জাতিক মহলে হইচই পরে গেছে। দাবি ও পাল্টা দাবিতে সরগরম দুই দেশ। আর এই ঘটনা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলের দারস্থ হচ্ছে পাকিস্তান।
১৯৭১ সালে পাকিস্তান চিরাচরিত দমননীতি চরিতার্থ করতে ভারতের জলসীমায় পাঠিয়ে বসে অত্যাধুনিক ক্ষমতা সম্পন্ন যুদ্ধজাহাজ পিএনএস ঘাজি। পিএনএস ‘ঘাজি’ ছিল একটি পাকিস্তানি সাবমেরিন আসন্ন বিপদ থেকে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানকে রক্ষা করতে আসরে নামে ভারতের প্রথম রণতরী আইএনএস বিক্রান্ত৷ ঘাজিকে শুধু কৌশলে আটকেই দেয়নি ভারতীয় নৌবাহিনী, ধ্বংস করে দিয়েছিল সাবমেরিন ঘাজি সহ পাক বাহিনীকে। এই নিয়ে সম্প্রতি একটি ফিল্মও হয়েছে।
মঙ্গলবারের পাক দাবি ফের সেই ঘটনার কথা মনে পরিয়ে দেয়। তবে পাকিস্তানের এই দাবির কোন সত্যতা নেই বলেই পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে ভারতীয় নৌসেনা।