‘বিউটি উইথ ব্রেন’ কথাটির একদম সঠিক উদাহরণ ডঃ সীমা রাও। তিনি ভারতের প্রথম মহিলা কমব্যাট ট্রেনার। তিনি কমব্যাট শুটিং ইনস্ট্রাক্টর, স্কুবা ডাইভার, রক ক্লাইম্বার এবং দমকল কর্মীও। ইন্ডিয়ান আর্মি অফিসারদের কম্যান্ডো ট্রেনিং দিচ্ছেন এই নারী।
সীমা রাওকে বলা হয় ভারতের ‘ওয়ান্ডার ওম্যান’। একদিকে, তিনি ভারতীয় এলিট আর্মড ফোর্সেস (পুলিশ, সেনা, প্যারামিলিটারি ও কম্যান্ডো)-এর ২০,০০০-এরও বেশি সেনাকে কমব্যাট ট্রেনিং দিয়েছেন। অন্যদিকে লড়েছেন সুন্দরীদের ‘মিসেস ইন্ডিয়া ওয়ার্ল্ড’ প্রতিযোগিতায়। ৪৯ বছরের সীমা রাও, প্রায় ২০ বছর ধরে এই ভাবে দেশের সেবা করছেন। কিন্তু এটাই কি তিনি করতে চেয়েছিলেন?
আরও পড়ুনঃ পাকিস্তানে দুই হিন্দু নাবালিকাকে শ্লীলতাহানি ও জোরপূর্বক মুসলিম ধর্মান্তর
ডঃ সীমা রাও এর জন্ম হয়েছিল মুম্বাই তে। তার বাবা একজন স্বাধীনতা সংগ্রামী ছিলেন। তার বাবা, প্রফেসর রমাকান্ত সিনারি তাকে ছোট্ট বেলা থেকেই দেশের জন্যে কাজ করার শিক্ষা দিতেন। সব সময় মানুষের সেবা করতে শেখাতেন তাকে। মানুষ সেবা করার জন্যে সীমা রাও প্রথমে ডাক্তারি পড়েন। তারপর, ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্টে এমবিএ করেন। বাবার থেকে দেশের গল্প শুনে বড় হয়ে ওঠা সীমা যাননি নিশ্চিত চাকরি জীবনে। ঠিক করেন, দেশের জন্য কিছু করবেন। তারপরই এক প্রকার নিজের জেদেই শুরু করেন মার্শাল আর্ট এর ট্রেনিং নেওয়া।
আরও পড়ুনঃ ধামাচাপার দেওয়ার চেষ্টা বিফলে, অভিষেকের স্ত্রীর বিরুদ্ধে এফআইআর শুল্ক দফতরের
তিনি মিলিটারি মার্শাল আর্টসে সপ্তম ডিগ্রি ব্ল্যাক বেল্ট হোল্ডার হন এবং এইচএমআই থেকে রক ক্লাইমবিং-এ মেডেলও পান। ব্রুস লি যে Jeet Kune Do বা জিত কুনে দো নামক একটি বিশেষ মার্শাল আর্ট তৈরি করেছিলেন, বর্তমানে, সারা বিশ্বে সেই মার্শাল আর্টের মাত্র ১০ জন মহিলা ট্রেনার আছে। তার মধ্যে একজন ডঃ রাও।
আরও পড়ুনঃ ভারতের কূটনৈতিক চাপে পাকিস্তানকে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবার নির্দেশ আমেরিকার
২০১৯-এ এই ‘ওয়ান্ডার ওম্যান’ ভারতীয় নারীদের জন্য সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মান ‘নারী শক্তি পুরস্কার ২০১৯’-এ সম্মানিত হন। ভারতীয় বায়ুসেনার স্কাই ডাইভিং কোর্স করে ‘প্যারা উইংস’ পুরস্কারও পান। তিনি কমব্যাট টেকনিকের উপর বেশ কিছু বইও লেখেন। তাঁর বইগুলি রাখা আছে ভারতীয় সেনাবাহিনীর লাইব্রেরিগুলিতে।
ভারতের প্রথম মিক্সড মার্শাল আর্টের উপর ছবি Hathapayi-র পরিচালকও তিনি। ছবিটিতে অভিনয় করার পাশাপাশি গানও গেয়েছেন ডঃ রাও। নিজের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে, নিজেকে দেশের সাধারণ নাগরিক বলেন সীমা। বারবার বুঝিয়ে দেন দেশের জন্য কাজ করাটাই তার প্রধান লক্ষ্য।
আরও পড়ুনঃ নরেন্দ্র মোদী সরকারের চাপে লন্ডনে গ্রেফতার ব্যাঙ্ক কেলেঙ্কারির খলনায়ক নীরব মোদী
ওয়ার্ল্ড পিস কংগ্রেস তাকে ওয়ার্ল্ড পিস অ্যাওয়ার্ড দেয় কয়েক বছর আগে। এছাড়াও ফরবস ইন্ডিয়া ২০১৯ এর ওয়ার্ল্ড পাওয়ার ত্রেলব্লেজার লিস্টে ডঃ সীমা রাও এর নাম ছয় নাম্বারে পাওয়া যায়। ভারতীয় সেনাকে কম্যান্ডো ট্রেনিং করান এই মহিলা সত্যি অতুলনীয়।
আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে The News বাংলা পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।