স্বাধীন ভারতের সুপ্রিম কোর্টে স্থগিত, ব্রিটিশ আমলের রাষ্ট্রদ্রোহ আইন

353
স্বাধীন ভারতের সুপ্রিম কোর্টে স্থগিত, ব্রিটিশ আমলের রাষ্ট্রদ্রোহ আইন
স্বাধীন ভারতের সুপ্রিম কোর্টে স্থগিত, ব্রিটিশ আমলের রাষ্ট্রদ্রোহ আইন

স্বাধীন ভারতের সুপ্রিম কোর্টে স্থগিত; ব্রিটিশ আমলের রাষ্ট্রদ্রোহ আইন। আপাতত স্থগিত রাষ্ট্রদ্রোহ আইন; এখন এই আইনে কোনও মামলা নয়, নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। রাষ্ট্রদ্রোহ আইনের পর্যালোচনার প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত, ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২৪এ ধারায় কোনও মামলা রুজু করা যাবে না; বলে জানাল দেশের শীর্ষ আদালত। ইতিমধ্যেই এই রাষ্ট্রদ্রোহ আইনে যে সমস্ত মামলা রুজু হয়েছে; তার প্রেক্ষিতে কাউকে গ্রেফতার করতে পারবে না কেন্দ্র অথবা রাজ্য সরকার। এছাড়া, রাষ্ট্রদ্রোহ আইনে যাঁরা জেলে বন্দি রয়েছেন; তাঁরাও জামিনের জন্য আবেদন করতে পারবেন, নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট।

আপাতত স্থগিত রাষ্ট্রদ্রোহ আইন। রাষ্ট্রদ্রোহের ক্ষেত্রে ১২৪এ একটি জামিন-অযোগ্য ধারা; এই ধারায় তিন বছর থেকে যাবজ্জীবন সাজার বিধান আছে। কেন্দ্র পুনর্বিবেচনা না করা পর্যন্ত; রাষ্ট্রদ্রোহ আইনে কোনও মামলা নয়, এবার জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। বুধবার অন্তর্বর্তীকালীন এই নির্দেশ জারি করে, সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এন ভি রামান্না বলেছেন; “যতদিন ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২৪এ ধারার পুনর্বিবেচনার প্রক্রিয়া শেষ হচ্ছে; ততদিন এই ধারাটি স্থগিত রাখা ঠিক হবে”।

গত মঙ্গলবার রাষ্ট্রদ্রোহ আইন নিয়ে প্রশ্নের মুখে; সুপ্রিম কোর্টে নতুন করে হলফনামা দেয় কেন্দ্র। তাতে জানানো হয়, রাষ্ট্রদ্রোহ আইন পুনর্বিবেচনা করা হবে। হলফনামায় কেন্দ্র জানায়, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই আইন বিলোপের পক্ষে। স্বাধীনতার ৭৫ বছরে, ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসবের মধ্যেই; এই আইন বিলোপ জরুরি। তাই ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২৪(এ) ধারা পুনরায় পরীক্ষা ও পুনর্বিবেচনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোন্দ্র। সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিয়ে জানিয়েছে কেন্দ্র।

এর আগে সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্র জানিয়েছিল, “রাষ্ট্রদ্রোহ আইন বাতিলে তাদের সায় নেই; তবে প্রয়োগের ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট নির্দেশিকা প্রয়োজন”। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যদের বেঞ্চ বলেছে; “এটা স্পষ্ট যে ১২৪এ ধারা সময়োপযোগী নয়; ঔপনিবেশিক শাসনের লক্ষ্যে সেই ধারা চালু করা হয়েছিল। আমাদের আশা, যখন বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করা হচ্ছে; ততক্ষণ ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২৪এ ধারায় কোনও এফআইআর দায়ের করা, তদন্ত চালু রাখা বা পদক্ষেপ গ্রহণ থেকে বিরত থাকবে কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকার”।

এই প্রসঙ্গে প্রাক্তন আইনমন্ত্রী অশ্বিনী কুমারের মত; “স্বাধীন দেশে রাষ্ট্রদ্রোহ আইন একেবারেই অপ্রয়োজনীয়; ব্রিটিশ জমানার এই আইনের অপব্যবহার নিয়ে আগেই প্রশ্ন উঠেছিল”।

Comments

comments

আপনাদের মতামত জানাতে কমেন্ট করুন