হিন্দি ইংরেজি নয়, রাজ্যের আদালতে স্থানিয় ভাষা ব্যবহারে জোর প্রধানমন্ত্রী মোদীর

299
হিন্দি ইংরেজি নয়, রাজ্যের আদালতে স্থানিয় ভাষা ব্যবহারে জোর প্রধানমন্ত্রী মোদীর
হিন্দি ইংরেজি নয়, রাজ্যের আদালতে স্থানিয় ভাষা ব্যবহারে জোর প্রধানমন্ত্রী মোদীর

হিন্দি ইংরেজি নয়, রাজ্যের আদালতে; স্থানিয় ভাষা ব্যবহারে জোর দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দিনকয়েক আগেই অমিত শাহ, দেশে ইংরেজির বিকল্প হিসেবে; হিন্দিকে গ্রহণ করার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছিলেন। অমিত শাহর হিন্দি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে; দেশের সব মহল থেকেই সমালোচনার ঝড় উঠেছিল। এই পরিস্থিতিতে, এবার সম্পূর্ণ ভিন্ন সুর; প্রধানমন্ত্রী মোদীর গলায়। দেশের বিচার ব্যবস্থাকে আরও উন্নত করতে; আঞ্চলিক ভাষা ব্যবহারের উপরেই জোর দিলেন মোদী। শনিবার দিল্লির বিজ্ঞান ভবনে, এক সম্মেলনে এমনটাই বললেন তিনি।

ঠিক কী বলেছেন মোদী? শনিবার দিল্লির বিজ্ঞান ভবনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে; বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং প্রধান বিচারপতিদের সম্মেলন শুরু হয়েছে। যোগ দিয়েছেন, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। সকাল সাড়ে ১০টায় ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সম্মেলনে ভাষণ দেন ভারতের প্রধান বিচারপতি এন ভি রমানা ও কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেণ রিজিজু।

বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও হাইকোর্টের বিচারপতিদের যৌথ সম্মেলনে, মোদী বলেন; “আদালতে আঞ্চলিক ভাষা ব্যবহারে জোর দিতে হবে আমাদের; এর ফলে আমজনতার বিশ্বাস বাড়বে দেশের বিচার-ব্যবস্থার প্রতি। বিচার-ব্যবস্থার সঙ্গে আরও বেশি করে; সংযোগ অনুভব করবেন তাঁরা”।

কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে; হিন্দি আগ্রাসনের অভিযোগ বারবার উঠেছে। সেই বিতর্কই নতুন করে উসকে দিয়েছে; অমিত শাহর সাম্প্রতিক মন্তব্য। বহু ভাষা ও মিশ্র সংস্কৃতির দেশ ভারতে; হিন্দিকে জাতীয় ভাষা করার কথা বলে ক্ষোভের মুখে পড়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও শাসক দল বিজেপির প্রাক্তন সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। ইংরেজির বিকল্প হিসেবে হিন্দিকে গ্রহণ করার; আবেদন জানাতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। এরপরই ব্যপক সমালোচনা শুরু হয় দেশ জুড়ে। দক্ষিণের রাজ্যগুলি, শাহর এহেন হিন্দি আগ্রাসনের প্রতিবাদে সরবও হয়েছিল।

তামিলনাডুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন; কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন; কর্ণাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধারামাইয়ার মত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ত্ব থেকে শুরু করে সুরকার এ আর রহমানের মতে প্রখ্যাত ব্যক্তিরাও, অমিত শাহর হিন্দি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে সমালোচনায় মুখর হয়েছিলেন।

কর্ণাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামী; পদুচেরির মুখ্যমন্ত্রী ভি নারায়ণস্বামীও তীব্র প্রতিবাদ জানান। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও; এর প্রতিবাদ করেছেন। এরপরই শনিবার প্রধানমন্ত্রী মোদীর এহেন মন্তব্য; সেই বিতর্কে রাশ টানার চেষ্টা বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

Comments

comments

আপনাদের মতামত জানাতে কমেন্ট করুন