গত রবিবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন ২০১৯ লোকসভা ভোটে তৃণমূল প্রার্থীদের নাম। এদের মধ্যে বাংলা ফিল্মের দুই নায়িকার নাম পাওয়া যায়। একজন নুসরত জাহান ও অন্যজন মিমি চক্রবর্তী। তারপর থেকেই বিভিন্ন ট্রোলের শিকার হয় দুই নায়িকা। মিমি নুসরতকে নিয়ে যা চলছে সোশ্যাল মিডিয়ায় তাতে এবার কড়া নজর দিল নির্বাচন কমিশন। দোষীদের কড়া শাস্তি দেওয়া হবে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
আরও পড়ুনঃ মমতার প্রার্থী তালিকা নিয়ে গোপনে ক্ষোভ বাড়ছে জেলায় জেলায়
প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণা করার পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলড যাদবপুরের মিমি চক্রবর্তী এবং বসিরহাটের তৃণমূল প্রার্থী নুসরত জাহান। মিমির একটি সাহসী ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলড হয়েছে। ট্রোলড হয়েছে নুসরাত জাহানের একটি ফেক ছবি। এ বিষয়ে অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক সঞ্জয় বসু বলেন, “ সোশ্যাল মিডিয়ায় ফেক ছবি সংক্রান্ত সেরকম বিষয় নজরে এলে আমরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেব। অভিযোগ না এলেও স্বতঃপ্রণোদিত ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে”।
আরও পড়ুনঃ পশ্চিমবঙ্গে নজিরবিহীন ৭ দফা ভোটে সুবিধা বিজেপির
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে তৃণমূল প্রার্থী নুসরত জাহানের একটি ফেক অশ্লীল ছবি। যা ইতিমধ্যেই নজরে এসেছে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের কার্যালয়ের। এ বিষয়ে স্বতপ্রণোদিত পদক্ষেপ নেওয়ার পথে কমিশন। অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক সঞ্জয় বসু জানিয়েছেন, এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
আরও পড়ুনঃ ভাটপাড়া কি হতে চলেছে বাংলার প্রথম বিজেপি পরিচালিত পুরসভা
ভোট প্রচারে এবার নজর থাকবে সোশ্যাল মিডিয়াতেও। নির্বাচনে নির্ঘণ্ট ঘোষণার দিন জানিয়েছিলেন দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল আরোরা। সেই কাজ শুরু করে দিয়েছে এ রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের কার্যালয়। কার্যালয়ে তৈরি করা হয়েছে একটি পৃথক মনিটরিং সেল। যারা প্রতি মুহূর্তে নজর রাখছে মিডিয়া এবং সোশ্যাল মাধ্যমে।
আরও পড়ুনঃ অর্জুনের হাত ধরে বারাকপুর লোকসভা ছিনিয়ে নিতে পারে বিজেপি
সূত্রের খবর, তৃণমূল প্রার্থী নুসরত জাহানের যে ফেক অশ্লীল ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে সেটি নজরে পড়েছে মনিটরিং সেলের। শুধু নুসরত নয়, মিমির ছবি নিয়েও চলছে নোংরামি। আর সেদিকেও কড়া নজর দিয়েছে কমিশন।
বাংলা ফিল্মের প্রযোজক শ্রীকান্ত মোহতা ও রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস দুজনেই নুসরত জাহান ও মিমি চক্রবর্তীর নাম প্রস্তাব করেন বলেই তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছিল। আর মমতা নিজেও এই দুই নায়িকাকে বেশ পছন্দই করেন। ফলে এই দুই নায়িকাকেই ভোট যুদ্ধে নামিয়ে রীতিমত চমকে দিয়েছিলেন মমতা।
আরও পড়ুনঃ অর্জুনকে ওপেন চ্যালেঞ্জ অভিষেকের, দীনেশ ত্রিবেদীকে ২ লাখ ভোট জেতাব
মিমি নুসরত দুজনের ক্ষেত্রেই ট্রোলড এর বিষয় সীমা ছাড়িয়েছে। এই নোংরামির প্রতিবাদ করেছেন সমাজের সর্বস্তরের মানুষ। এবার এই নিয়ে কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে নির্বাচন কমিশন। সোশ্যাল মিডিয়ায় সীমা ছাড়লেই দোষীদের কড়া শাস্তি দেওয়া হবে, জানিয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে The News বাংলা পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।