The News বাংলা, কলকাতাঃ প্রথম থেকেই বিজেপি সহ দক্ষিনপন্থী সংগঠনগুলোর প্রবল বিরোধিতা ছিলো। তা সত্ত্বেও পালিত হয় টিপু সুলতানের জন্মজয়ন্তী অনুষ্ঠান। কিন্তু সেখানে উল্লেখযোগ্য ভাবে অনুপস্থিত স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী ও উপমুখ্যমন্ত্রী। আর তাতেই কর্ণাটকে কংগ্রেস-জেডিএসের অন্তর্কলহের সম্ভাবনার তত্ত্ব তুলে ধরেছেন সমালোচকেরা।
গত ৩ বছর ধরে কর্নাটকে ক্ষমতাসীন কংগ্রেস সরকার ১০ই নভেম্বর দিনটিকে নির্ধারণ টিপুর জন্মজয়ন্তী পালন করে আসছে। বিজেপি সহ দক্ষিনপন্থী নানা সংগঠনের প্রথম থেকেই এই সিদ্ধান্তের প্রবল বিরোধিতা ছিলো।
বর্তমানে জোটে থাকা জেডিএস সেই সময়ে সিদ্ধারামাইয়ার নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে। এদিন টিপু জন্মজয়ন্তী অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামী এবং উপমুখ্যমন্ত্রী জি পরমেশ্বরের অনুপস্থিতি সেই বিরোধিতার সূত্রকেই জোরালো করলো বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ভারতে আরও বড় ‘প্রাণঘাতী’ ভূমিকম্প হওয়ার আশঙ্কা
যদিও মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে, চিকিৎসকদের পরামর্শমতো ১১ই নভেম্বর পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী বিশ্রামে আছেন। মূলত শারিরীক অসুস্থতার কারনেই কুমারস্বামী বেঙ্গালুরুতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করতে পারেন নি।
অন্যদিকে বেঙ্গালুরুতে অন্য আরেকটি অনুষ্ঠান উদ্বোধন করার কথা ছিলো উপমুখ্যমন্ত্রী জি পরমেশ্বরের। তাৎপর্যপূর্ণভাবে তিনিও সেই অনুষ্ঠানে গরহাজির থাকেন। যদিও এক্ষেত্রে তাঁর শহরে না থাকার কারণকেই দায়ী করা হয়েছে।
স্বভাবতই সরকারী অনুষ্ঠানে দুজনের আকস্মিকভাবে অনুপস্থিত থাকা নিয়ে আক্রমণ করতে ছাড়েনি বিরোধী দল বিজেপি সহ সরকারে জোটে থাকা কংগ্রেসও। বিজেপির মতে, পূর্ব থেকেই ঘোষিত সরকারী অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ও উপমুখ্যমন্ত্রীর হঠাৎ অনুপস্থিতি, এটা কর্নাটকবাসীর সাথে প্রতারণা। এতে যেমন তাদের ভন্ডামি ধরা পড়েছে, সাথে জোট সরকারের প্রতি কর্নাটকবাসীর বিশ্বাসযোগ্যতায়ও চিড় ধরেছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনী প্রচারের শেষ লগ্নে মোদী- রাহুল তরজা তুঙ্গে
এদিকে জেডিএসের সাথে জোটে থাকা কংগ্রেসেরই একজন বিধায়ক তনভীর সইত, জেডিএসের এই অবস্থানকে মুসলিম সম্প্রদায়ের সাথে প্রতারনা বলে উল্লেখ করেছেন।
রবিবার টিপুর জন্মজয়ন্তী পালনের অনেক আগে থেকেই জন্মজয়ন্তী পালন ইস্যুতে রাজনৈতিক পরিবেশ বেশ উত্তপ্ত ছিলো। প্রথম থেকেই রাজ্যের একক বৃহত্তম দল বিজেপি অনুষ্ঠান পালন করতে না দেওয়ার হুমকি দিয়ে এসছিলো।
আরও পড়ুন: মোদীর ভারতে সর্দার প্যাটেলের রেকর্ড ভাঙবে ছত্রপতি শিবাজীর মূর্তি
তার জেরে গতকাল প্রশাসনের তরফে বাড়তি সতর্কতার ব্যবস্থা করা হয়। তারই মধ্যে সরকারী অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী- উপমুখ্যমন্ত্রীর অনুপস্থিতি নিয়ে জোটের দুই শরীকের টানাপোড়েন, রাজনীতির পারদকে কয়েক ধাপ চড়িয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে।
কংগ্রেস – জেডিএসের জোটে চিড় ধরলে তা আসন্ন লোকসভা ভোটে বিজেপির সুবিধা করে দেবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। সেটা ‘টিপু সুলতানের হাত’ ধরেই হয় কিনা সেটাই দেখার।