কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে এবার গুরুতর অভিযোগ উঠল। দুবরাজপুরের কানদিঘির ২৮৪/২৫৯ নং বুথের মধ্যেই গুলি চালানোর অভিযোগ উঠল কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে। ভোটকেন্দ্রের ছাদে সেই গুলির চিহ্ন স্পষ্ট দেখতে পাওয়া গেছে। ঘটনার পরপরই ওই ভোটকেন্দ্রে পৌঁছন তৃণমূল প্রার্থী শতাব্দী রায়। কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলি চালানোর ঘটনাকে বিরোধীদের চক্রান্ত বলে জানান তিনি। কেন্দ্রীয় বাহিনী এই কাজের অত্যন্ত নিন্দা করেন তৃণমূল প্রশাসন।
গুলির চিহ্ন দেখতে পাওয়া গেছে ভোটকেন্দ্রের ছাদে। জানা গিয়েছে, বুথে একসঙ্গে কিছু ভোটার ঢুকতে গেলে তাঁদের বাধা দেওয়া হয়। সেইসঙ্গে জমা রাখতে বলা হয় মোবাইল। আর মোবাইল জমা রাখার প্রসঙ্গ থেকেই কথা কাটাকাটি শুরু হয়। তারপরই কেন্দ্রীয় বাহিনীর তরফে বুথের মধ্যেই গুলি চালানো হয় বলে অভিযোগ। এমনকী সাধারণ ভোটারও বুথ লক্ষ্য করে ইট ছোঁড়েন বলে অভিযোগ উঠেছে।
তৃণমূলের ৪০ জন বিধায়ক আমার সঙ্গে প্রতিদিন যোগাযোগ রাখেন, বললেন মোদী
খবর অনুযায়ী বুথের ভিতরে ভিড় হয়ে যাওয়ায় ফলে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা খানিকক্ষণের জন্য বুথের গেট বন্ধ রাখেন। এতেই ভোটাররা রেগে গিয়ে অভিযোগ করতে শুরু করেন। বুথের গেট খুলে দেবার জন্য বাহিনীর সাথে বাকবিতণ্ডাতে জড়িয়ে পড়ে ভোটাররা। একই সাথে সেই সময় ভোটারদের মোবাইল জমা রাখা নিয়েও কেন্দ্রীয় বাহিনীর সাথে ঝামেলা বেঁধে যায় সাধারন ভোটারদের।
জানা যাচ্ছে মোবাইল জমা রাখার সময় জওয়ানদের হাত থেকে কিছু মোবাইল মাটিতে পড়ে যাবার ফলে ভোটারদের সাথে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। তারপরেই কেন্দ্রীয় বাহিনীকে লক্ষ করে ইট পাথর ছুঁড়তে ভোতাররা।এরপরেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা শূন্যে গুলি চালান বলে জানা যাচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ মমতার পাঠানো মাটি ও পাথর মেশান রসগোল্লা খাবেন মোদী, কেন বললেন একথা
সকাল থেকেই বীরভূম জুড়ে ভোটের সন্ত্রাস দেখা গেছে, তাঁর মধ্যে দুবরাজপুরের কানদিঘির ২৮৪/২৫৯ নং বুথের মধ্যেই গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠার ফলে কেন্দ্রীয় বাহিনী একটু চাপে পড়ে গেছে ঘটনার পরপরই ওই ভোটকেন্দ্রে পৌঁছন তৃণমূল প্রার্থী শতাব্দী রায়। তাঁর অভিযোগ, ‘কেন্দ্রীয় বাহিনী সম্পূর্ণভাবে বিজেপির হয়ে কাজ করছে। ভোটারদের আটকে দেওয়া হচ্ছে। বিজেপিকে ভোট দিতে বলা হচ্ছে।
শুধু শতাব্দী রায়ই নয়, এদিন কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান অনুব্রত মণ্ডলও। তিনিও বলেন কেন্দ্রীয় বাহিনী ভোটারদের প্ররোচিত করছে বিজেপিকে ভোট দেবার জন্য। এদিন দুপুরে স্বরূপনগরের জনসভার মঞ্চ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও একই অভিযোগ করেন। তিনিও বলেন কেন্দ্রীয় বাহিনী নিজেদের কাজ না করে মোদীর হয়ে প্রচার করার জন্য বাংলায় এসেছে।
আরও পড়ুনঃ মোবাইলে হুমকি দিয়ে নির্বাচন কমিশনকে হাস্যকর প্রমাণ করলেন অনুব্রত মণ্ডল
যদিও কেন্দ্রীয় বাহিনীর পক্ষ থেকে এখনও গুলি চালানোর কারণ স্পষ্ট করা হয়নি। যদিও গুলি চালানোর পর আতঙ্কিত হয়ে ভোটাররা পালাতে গেলে একজন মহিলা ভোটার আহত হন বলে জানা গিয়েছে। ভোটকেন্দ্রের মধ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী গুলি চালানোর ঘটনাকে মোটেই ছোট করে দেখছে না শাসক দল।