দুপুরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আসবেন; তাই সকাল থেকেই অঘোষিত এমারজেন্সি বর্ধমান শহরে। নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বারবার বলছেন, পুলিশ-প্রশাসনকে; যে তাঁর জন্য রাস্তা আটকে রাখার দরকার নেই; মানুষের কোন অসুবিধা করার দরকার নেই। কিন্তু কে শোনে কার কথা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা আসবেন তাই সোমবার সপ্তাহের কাজের দিনের শুরুতে; সকাল থেকেই বর্ধমান শহরে অঘোষিত এমারজেন্সি। বন্ধ সব যান চলাচল।
সোমবার থেকে তিনদিনের সফরে পূর্ব বর্ধমান ও পশ্চিম বর্ধমানে যাচ্ছেন; মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই সফরে প্রশাসনিক বৈঠকের পাশাপাশি; রাজনৈতিক কর্মসূচিও রয়েছে তৃণমূল নেত্রীর। সোমবার পূর্ব বর্ধমানের বর্ধমান শহর লাগোয়া গোদা বালির মাঠে; একটি সরকারি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। দুপুর ২টোর সময় অনুষ্ঠান। তবে পূর্ব বর্ধমান পুলিশ-প্রশাসন; সকাল থেকেই বর্ধমান শহরে অঘোষিত এমারজেন্সি জারি করেছেন।
বন্ধ রিকশা, টোটো, বেসরকারি বাস; সহ সবরকম যানবাহন। দু-একটা সরকারি বাস ছাড়া কিছুই চলছে না; সেটাও সকাল দশটার পর থেকে বন্ধ। টোটো, রিকশা চালকদের ধমকে, কোথাও আবার মারধর করে; বন্ধ করা হয়েছে মানুষকে সার্ভিস দেওয়া। বর্ধমান স্টেশন এলাকায় ঢুকতে পারছে না কোন গাড়ি। সকালে বর্ধমান স্টেশনে ট্রেন ধরতে আসতেই; হিমশিম সাধারন মানুষ। পুরুষরা হাঁটছেন, মহিলাদের কারোর বাইকে লিফট নিতে হচ্ছে; বাকিদের হাঁটতে হচ্ছে। পরিবার নিয়ে যারা বেড়িয়েছেন; তাদের অবস্থা আরও খারাপ। সকাল থেকেই চরম ভোগান্তির মধ্যে; বর্ধমান শহরের সাধারন মানুষ।
মুখ্যমন্ত্রী নিজে যেখানে বারবার বারণ করছেন; সেখানে তাঁর জন্যই মানুষকে ভুগতে হচ্ছে কেন? কেন পুলিশ সকাল থেকেই বর্ধমানে অঘোষিত এমারজেন্সি ঘোষণা করে; সব যানবাহন বন্ধ করে দিল? প্রশ্ন সাধারণ মানুষের; যদিও এই কেনর কোন উত্তর নেই। নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রী যা বলছেন; আর রাস্তায় মানুষ যা ভুগছেন, দুটো সম্পূর্ন বিপরীত; বলছেন বর্ধমান শহরের মানুষ।
পুলিশ কর্তারা এই নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ। “এই ব্যাপারে আমি তো কিছুই জানি না”; ফোনে বললেন পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক প্রিয়াংকা সিংলা, আইএএস। মানুষ জানেন মেনেও নিয়েছেন, দিদি আসছেন; তাই দুদিন ভুগতে হবেই। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি জানেন, তাঁর বারবার বলার পরেও; দিনের পর দিন ভুগছে বাংলার মানুষ। দুপুরে মুখ্যমন্ত্রীর অনুষ্ঠান, সকাল থেকেই অঘোষিত এমারজেন্সি বর্ধমানে।