বাংলা বেহাল, বাম জামানাতেও বেআইনি নিয়োগ, দুর্নীতির দায়ে চাকরি গেল ৬১৪ জনের

454
বাংলা বেহাল, বাম জামানাতেও বেআইনি নিয়োগ, দুর্নীতির দায়ে চাকরি গেল ৬১৪ জনের
বাংলা বেহাল, বাম জামানাতেও বেআইনি নিয়োগ, দুর্নীতির দায়ে চাকরি গেল ৬১৪ জনের

বাংলা বেহাল, বাম জামানাতেও বেআইনি নিয়োগ; দুর্নীতির দায়ে চাকরি গেল ৬১৪ জনের। এসএসসিতে নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতি কাণ্ডে; সরগরম গোটা রাজ্য। ইতিমধ্যেই এই মামলায়; চাকরি গিয়েছে বেশ কয়েকজনের। এসএসসি ছাড়াও টেট দূর্নিতি কাণ্ডে চাকরি খোয়াতে হয়েছে; আরও ২৬৯ জন প্রাথমিক শিক্ষক শিক্ষিকাকে। চাকরি নিয়ে যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের বিরুদ্ধে, এই ধরনের নানা অভিযোগ উঠছে; সেই সময় নতুন করে চাকরি খোয়ালেন ৬১৪ জন। আর এদের সবার নিয়োগ হয়েছিল বাম আমলে।

তৃণমূল আমলে এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে, হইচইয়ের মধ্যেই এবার; বাম জমানার সরকারি চাকরিতে নিয়োগ দুর্নীতি প্রকাশ্যে। বেআইনি নিয়োগের অভিযোগে, ৬১৪ জন সরকারি কর্মীকে; বরখাস্ত করার নির্দেশ দিল স্যাট। তাদের এইভাবে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার পরিপ্রেক্ষিতে, একপ্রকার প্রমাণ হল; বাম জামানাতেও চাকরিতে নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতি হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ অগ্নিবীর হতে চান, ফর্ম ফিলাপ করবেন, কোন পদে কী যোগ্যতা জেনে নিন এখনই

সিপিএম আমলে খাদ্য দফতরে ইন্টারভিউয়ের নামে প্রহসন করে; ‘গ্রুপ ডি’ পদে ৬১৪ জনকে নিয়োগ করেছিল। এই মামলায় হাইকোর্টও একটি পর্যবেক্ষণে জানিয়েছিল; এখানে নিয়োগের নামে প্রহসন হয়। কলকাতা হাইকোর্টের ওই পর্যবেক্ষণকে ভিত্তি করেই; স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনাল তথা স্যাট রায় দিয়েছে; ২০১০ সালে নিয়ম ভেঙে যে ৬১৪ জনকে নিয়োগ করা হয়েছিল, তাদের প্রত্যেককেই চাকরি থেকে বরখাস্ত করতে হবে।

আরও পড়ুনঃ মানুষের জন্য নয়, শুধু রাজ্যপালকে বিভিন্ন জায়গা থেকে সরাতেই একের পর এক বিল মমতার

বরখাস্ত করার জন্য, ৮ সপ্তাহের সময়সীমাও; বেঁধে দিয়েছে স্যাট। যে সিলেকশন বোর্ড এই ৬১৪ জনকে বাছাই করেছিল; তার সদস্যদের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করতে বলেছে স্যাট। ২০০৮ সালে ‘গ্রুপ ডি’ পদে নিয়োগের জন্য; রাজ্য খাদ্য দফতর বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল। লক্ষাধিক আবেদন জমা পড়ে; ২০১০ সালে ৬১৪ জনকে নিয়োগ করা হয়। এই নিয়োগের বিরুদ্ধে, প্রথমে হাইকোর্টে; ও পরে ২০১২ সালে স্যাটে মামলা হয়েছিল।

স্যাট মামলাটিকে ফের হাইকোর্টে পাঠায়। ২০১৬ সালে হাইকোর্টে তৎকালীন বিচারপতি নিশীথা মাত্রের বেঞ্চ পর্যবেক্ষণ দেয়; একদিনে ৮০০ জনের ইন্টারভিউ নিয়ে নিয়োগ করা একটা প্রহসন ছাড়া কিছুই নয়। হাইকোর্ট মামলাটি আবার স্যাটে ফেরত পাঠায়। এবার যুগান্তকারী রায় দিল স্যাট।

Comments

comments

আপনাদের মতামত জানাতে কমেন্ট করুন