বিজেপি কাউন্সিলর ২৬ জন; অন্যদিকে তৃণমূলের হাতে মাত্র ৮ জন। চেষ্টা করেও ভাটপাড়া পুরসভা আর হাতে রাখতে পারল না মমতার তৃণমূল কংগ্রেস। লোকসভা নির্বাচনের আগে ভাটপাড়া পুরসভায় আস্থা ভোটে; অর্জুন সিংয়ের হার হয়। ভোটের পর ফের ভাটপাড়া পুরসভা অর্জুন এর; চেয়ারম্যান অর্জুনের ভাইপো সৌরভ সিং।
বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরেই; ভাটপাড়া পুরসভায় আস্থা ভোটে হার হয় চেয়ারম্যান অর্জুন সিংয়ের। আর তারপরেই রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে; গোটা ভাটপাড়া এলাকা। তৃণমুল ও বিজেপি কর্মীদের মধ্যে; সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয় গোটা অঞ্চল। এলাকায় নামে বিশাল পুলিশ বাহিনী।
৩৫ আসনের ভাটপাড়া পুরসভায়; ১ জন কাউন্সিলরের মৃত্যু হয়েছে। বাকি ৩৪ জনের মধ্যে ৩৩ জনই ছিল তৃণমূলের। অর্জুন বিজেপিতে যোগ দেবার পর তৃণমূলের দাবি ছিল; তাঁদের হাতে রয়েছে ২২ জন কাউন্সিলর। তারপরেই ভাটপাড়ায় এক সভায়; ১৯ জন কাউন্সিলরকে মঞ্চে হাজির করায় উত্তর ২৪ পরগনা জেলা নেতৃত্ব।
এরপর পুরসভায় আস্থা ভোটে; হেরে যান চেয়ারম্যান অর্জুন সিং। ভাটপাড়া পৌরসভার বোর্ডও ভেঙে যায়। সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণে ব্যর্থ হয়েই; আস্থা ভোটে হেরে যান অর্জুন। ৩৩ জন কাউন্সিলরের ভোটে; ২২/১১ ভোটে হেরে যান অর্জুন। এরফলে পুরপ্রধানের পদ থেকে; সরতে হয় অর্জুন সিংকে।
আস্থা ভোটে অর্জুন সিংয়ের হারের পরই; ভাটপাড়া ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর চালায় দুষ্কৃতীরা। এলাকার বিজেপি কর্মীদের বাড়িতেও ভাঙচুর চলে। গোটা ভাটপাড়ায় উত্তেজনা ছড়ায়। পুরসভায় হেরে গেলেও; বিধানসভায় ছেলেকে জিতিয়ে ও লোকসভায় নিজে জিতে প্রমাণ করে দেন; ব্যারাকপুর ও ভাটপাড়া অঞ্চলে তিনিই সব।
ভাটপাড়ায় ১৮ জন কাউন্সিলরের সমর্থন পেলেই; বোর্ড গঠন করতে পারত বিজেপি। এই মুহূর্তে অর্জুন সিং এর হাতে ২৬ জন কাউন্সিলর। অর্জুন সিং বিজেপিতে যোগদানের পরই; ভাটপাড়া পুরসভা নিয়ে চরম নাটক শুরু হয় রাজনীতির ময়দানে। অর্জুনকে পদচ্যূত করতে; অনাস্থা আনে তৃণমূল। ফলে আটকে যায় পুরসভার বাজেট প্রস্তাব। সরতে হয় অর্জুনকে।
মঙ্গলবার ২৬ জন কাউন্সিলরের সমর্থন পেলেন অর্জুন সিং। লোকসভা ভোটের পর; ভাটপাড়া পুরসভা ফের ছিনিয়ে নিলেন অর্জুন। বুঝিয়ে দিলেন এই তল্লাটে তিনিই শেষ কথা। দীনেশ ত্রিবেদীর জন্য; অর্জুন সিংকে বলি দিয়ে বড় ভুল করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়; মত রাজনৈতিক মহলের।