কোচবিহারে ৩৫০ এর বেশি বুথে রিগিং হয়েছে বলে দাবি তুললেন বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিক। এর মধ্যে ১৬৬ টি বুথে পুনরায় নির্বাচনের দাবি তুললেন বিজেপি প্রার্থী। প্রাক্তন তৃণমূল নেতা নিশীথ প্রামাণিক এবার কোচবিহার লোকসভার বিজেপি প্রার্থী। যেখানেই কেন্দ্রীয় বাহিনী নেই, সেখানেই তৃণমূলের রিগিং এর অভিযোগ তুলেছেন তিনি। তবে সব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন তৃণমূল নেতা ও রাজ্যের মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ।
LIVE: সারাদিন কি হচ্ছে বাংলার ভোটে, দেখে নিন প্রথম দফার ভোটের সব ঘটনা
সকালেই খারাপ ইভিএম নিয়ে ভোটে কারচুপির অভিযোগ করেন রাজ্যের মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। আর এরপরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং ফোন করেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রীকে। মমতার সঙ্গে ফোনে কথা বলার পরেই ৫ টি বুথে পুনরায় নির্বাচন চাইলেন রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। হারার ভয়ে মাথা খারাপ হয়ে গেছে তাঁর, দাবি ওঠে বিজেপির তরফ থেকে। এবার ছাপ্পা ভোট ও রিগিং এর অভিযোগ তুলে ১৬৬ টি বুথে পুনরায় ভোট নেওয়ার দাবি তুললেন নিশীথ প্রামাণিক।
আরও পড়ুনঃ শুধু কোচবিহারে ছাপ্পা ও সন্ত্রাস আটকাতে না পেরে লজ্জায় বিবেক দুবে ও নির্বাচন কমিশন
বৃহস্পতিবার ভোট গ্রহণ শুরু হতেই বিতর্কে রাজ্যের এই মন্ত্রী। ফের হুমকি দিলান মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষের। এরপর তিনি নিজের ভোট দিতে বুথে যান। সেখানেও বিতর্কে জড়ালেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে। ভোট দিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে কথা কাটাকাটিতে জড়ালেন রাজ্যের মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। বিএসএফ জওয়ানরাও সীমান্ত ছেড়ে বুথে ঢুকে পড়েছেন বলেই অভিযোগ করেন তিনি। প্রচুর ইভিএম খারাপ বলে অভিযোগ করেন মন্ত্রী। ইভিএম কারচুপি করে, ভোটে চক্রান্তের অভিযোগ তাঁর। এর পরেই ৫টি বুথে পুনরায় নির্বাচন চাইলেন রবীন্দ্রনাথ ঘোষ।
আরও পড়ুনঃ রাজ্যের উপর ভরসা করে ডুবল ভারতের নির্বাচন কমিশন, কেন্দ্রীয় বাহিনী না থাকায় সন্ত্রাস
একই রকম ভাবে ভোট দিতে গিয়ে বহিরাগত কিছু দুষ্কৃতীর মুখোমুখি হন বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিক। এদের সঙ্গে তাঁর বচসা হয়। পরে এই নিয়ে তিনি নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দায়ের করেন। শেষে কোচবিহারে ৩৫০ বুথে রিগিং, ১৬৬ বুথে পুনরায় নির্বাচনের দাবি তুললেন বিজেপি প্রার্থী।
আরও পড়ুনঃ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ভবিষ্যতের ভূতকে ২০ লক্ষ টাকা জরিমানা দেবে মমতা সরকার
কোচবিহার কেন্দ্র নিয়ে বাড়তি নজর ছিল কমিশনের। ৪৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রায় পুরোটাই রয়েছে কোচবিহারে। কোচবিহারে ২০১০টি বুথের মধ্যে ১০৬০টি বুথে রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। বাকি ৯৫০টি বুথে রয়েছে রাজ্যের সশস্ত্রবাহিনী। আর বৃহস্পতিবার ভোটের দিন সারাদিন কোচবিহারে থাকার কথা ছিল বিশেষ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবের। কোচবিহারে থেকেই ভোট মনিটরিং করবেন তিনি, এমনটাই কথা ছিল।
আরও পড়ুনঃ ভোটের ‘দাওয়াই’ দেওয়ার বেনজির হুমকি রাজ্যের মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষের
কিন্তু দেখা গেল ঠিক উল্টো ছবি। বিশেষ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে কলকাতায় ফিরে গেলেন সকালেই। আর যেখানে যেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী নেই সেই সেই বুথেই দেখা গেল চরম সন্ত্রাস। ঠিক পঞ্চায়েত ভোটের মতই তৃণমূলের ফের সন্ত্রাস দেখছে রাজ্য। তাও শুধুমাত্র দুটো লোকসভার ভোটে। কোচবিহারে যেখানে যেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী নেই, সেখানেই তৃণমূল সন্ত্রাস চালিয়েছে বলেই অভিযোগ সাধারণ মানুষ থেকে বিরোধী দলগুলির।
আরও পড়ুনঃ মমতার ফোনের পরই ৫ টি বুথে পুনরায় নির্বাচন চাইলেন রবীন্দ্রনাথ ঘোষ
দেখা যাচ্ছে, যে ৯৫০টি বুথে রয়েছে রাজ্যের সশস্ত্রবাহিনী, সেখানেই রিগিং এর অভিযোগ উঠেছে। এর মধ্যে ৩৫০ বুথে রিগিং হয়েছে বলেই অভিযোগ। এর মধ্যে ১৬৬ টি বুথে পুনরায় নির্বাচনের দাবি তুললেন বিজেপি প্রার্থী। দুই প্রার্থীর কতটা দাবি নির্বাচন কমিশন মানে সেটাই এখন দেখার।
আরও পড়ুনঃ কলকাতা নয় কোচবিহার থেকে ভোট মনিটরিং করবেন বিশেষ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে
আরও পড়ুনঃ আশ্চর্য কাণ্ড, ভোট শুরু হতেই কোচবিহার থেকে কলকাতায় ফিরলেন বিবেক দুবে
আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে The News বাংলা পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।