বিধাননগর, বাগুইআটি, বসিরহাট, দুই ছাত্র খু’নে মমতার পুলিশের উদাসিনতা লজ্জাজনক

198
বিধাননগর, বাগুইআটি, বসিরহাট, দুই ছাত্র খু'নে মমতার পুলিশের উদাসিনতা লজ্জাজনক
বিধাননগর, বাগুইআটি, বসিরহাট, দুই ছাত্র খু'নে মমতার পুলিশের উদাসিনতা লজ্জাজনক

বিধাননগর, বাগুইআটি, বসিরহাট, দুই ছাত্র খু’নে মমতার পুলিশের উদাসিনতা লজ্জাজনক। নিজেদের মধ্যে কোন যোগাযোগই নেই, দুই কিশোরের অপহরণ এবং খু’নে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। এবার চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এল। দুই কিশোরের দেহ উদ্ধারের পরই, বিধাননগর কমিশনারেটকে জানানো হয়েছিল বলে এবার দাবি সামনে এল। সূত্রের খবর, ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই দুই কিশোরের দেহ উদ্ধারের কথা জানানো হয়েছিল, বিধাননগর কমিশনারেটকে।

শুধু বিধাননগর কমিশনারেটই নয়, সমস্ত থানাকে জানানো হয়েছিল বসিরহাট জেলা পুলিশ সূত্রে সামনে এল। যদিও বিধাননগর কমিশনারেটের দাবি, বসিরহাট থানা থেকে তাদের কিছুই জানানো হয়নি। এর থেকেই স্পষ্ট, বিধাননগর কমিশনারেট ও বসিরহাট জেলা পুলিশ সূত্রে যে দাবি করা হচ্ছে, তা পরস্পরবিরোধী, কোন মিলই নেই।

আরও পড়ুনঃ কয়লাপাচার কাণ্ডে সাতসকালে মন্ত্রী মলয় ঘটকের বাড়িতে সিবিআই হানা

বাগুইআটিতে দুই কিশোরের অপহরণ ও খুনের ঘটনায়, পুলিশের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলে সরব মৃতের পরিবার। অভিযোগ, সব তথ্য জানানো হলেও, সক্রিয়তা দেখায়নি পুলিশ। বসিরহাট জেলা হাসপাতালের পুলিশ মর্গে প্রায় ১৩ দিন ধরে দেহ পড়ে থাকা সত্ত্বেও, বাগুইআটি থানার পুলিশ কেন তা জানতে পারল না, উঠছে সেই প্রশ্নও।

আরও পড়ুনঃ “কোনও DA বকেয়া নেই”, আদালতে জানাল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার

২২শে অগাস্ট বাগুইআটি থেকে অপহরণ করা হয়, দুই কিশোরকে। পুলিশে জানান হয় ওইদিনই। ২৪শে অগাস্ট বাগুইহাটি থানায়, অপহরণের মামলা রুজু করে দুই পরিবার। অন্যদিকে, ২৩ তারিখই উত্তর ২৪ পরগনার ন্যাজাট থানার শিরিষতলা থেকে, একটি মৃতদেহ উদ্ধার হয়। পরে বোঝা যায় এটা অতনু দে-র দেহ। ২৫ তারিখ, হাড়োয়া থানা এলাকা থেকে আরেক ছাত্র অভিষেক নস্করের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। এরপর দুটি মৃতদেহই পুলিশ মর্গেই দাবিদারহীন অবস্থায় হয়ে পড়ে থাকে।

এখানেই নিহতদের পরিবারের প্রশ্ন, বসিরহাটের পুলিশ মর্গে ১৩ দিন ধরে দেহ দুটি পড়ে রইল, অথচ বাগুইআটি থানা কেন জানতে পারল না? বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট ও বসিরহাট পুলিশ জেলার মধ্যে, কী করে সমন্বয়ের ঘাটতি থেকে গেল? তাতে পুলিশের ভুমিকা নিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দিচ্ছে, নিহত দুই ছাত্রের পরিবার। তাই পুলিশের উপর নির্ভর না করে, এই ঘটনার সিবিআই তদন্ত চান দুই কিশোরের পরিবার ও প্রতিবেশীরা।

Comments

comments

আপনাদের মতামত জানাতে কমেন্ট করুন