বাবার মুদির দোকানে কাজ করা কেষ্ট, কিভাবে হলেন বীরভূমের ‘বেতাজ বাদশা’। বাংলায় তৃণমূল নেতাদের মধ্যে সর্বদা আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকেন, বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তৃণমূল নেতারই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রিয় নেতা এখন, গরু চুরি কাণ্ডে সিবিআই হেফাজতে। কখনও ‘খেলা হবে’, আবার কখনো ‘ভয়ঙ্কর খেলা হবে’, ইত্যাদি হু’ঙ্কার দেওয়ার মাধ্যমে সর্বদাই খবরের শিরোনামে থাকেন কেষ্ট তথা অনুব্রত মণ্ডল। প্রথম জীবনে তিনি কাজ করতেন, বাবার ছোট্ট মুদির দোকানে।
দোর্দণ্ডপ্রতাপ এই নেতার জীবনে সংগ্রাম কাহিনী শুনলে, যে কোন মানুষের চোখ কপালে উঠবে। রাজনীতিতে প্রবেশের আগে পর্যন্ত, তিনি তাঁর বাবার মুদির দোকানে পর্যন্ত কাজ করতেন। সেই অবস্থা থেকে কিভাবে, আজ তাঁর এই উত্থান। বীরভূমবাসীর কথায়, অষ্টম শ্রেণি পাস করে তিনি বাবার মুদির দোকানে বসে পড়েন কাজ করতে।
আরও পড়ুনঃ গরুতে ফাঁসলেন অনুব্রত, মাথা থেকে হাত তুলে নিল দল ও নেত্রী
প্রথম জীবনে অনুব্রত মণ্ডল কংগ্রেস করলেও, পরবর্তীকালে নিজের এলাকায় সুশোভন নামের এক ব্যক্তি তৃণমূল ছেড়ে চলে গেলে, সেই জায়গায় আসেন কেষ্ট। এরপরই তিনি বীরভূম জেলার, তৃণমূল সভাপতি হিসেবে নিযুক্ত হন। জেলা সভাপতি হিসেবে কাজ করতে করতেই, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্নেহের পাত্র হয়ে ওঠে অনুব্রত। এরপর তাঁকে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। মুদির দোকানের কর্মী হয়ে ওঠেন, বীরভূমের মুকুটহীন রাজা। আর এখন গরু পাচার মামালায় ফেঁসে, সিবিআই হেফাজতে। অনুব্রতের জীবন হার মানাবে, ফিল্মের গল্পকেও।