The News বাংলা, নলহাটি: ফের বেলাগাম বীরভূমের জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অনুব্রত মন্ডল। আবারও ‘পাচন’ মারার হুমকি। এবার সরাসরি হুমকি বিজেপি ও আরএসএস-কে। গ্রামে আরএসএস-এর কেও ঢুকলেই ‘পাচন বাড়ি’ মারার নির্দেশ দিলেন তিনি। আবার বললেন ‘পাচন বাড়ি দিন, পাশে আমি আছি’।
শুনে নিন, বীরভূমের তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতির শনিবারের হুমকি ভাষণ:
শনিবার, নলহাটির লোহাপুর-এ একটি সভায় এই কথা বলেন তিনি। তিনি আরও বলেন, গ্রামে গ্রামে আরএসএস যাচ্ছে, গিয়ে বলবে বিজেপি-কে ভোট দিন। হাতে পাচন রাখুন। পাচনের বাড়ি দিন, উর্বর জমিতে যে ভাবে পাচনের বাড়ি দিই সেভাবে দিন। আমি আছি পাশে৷
বারবার মানুষকে লাঠি ও অন্যান্য অস্ত্র হাতে তুলে নিতে বলছেন অনুব্রত। এই নিয়ে বিতর্কও কম হয় নি। কিন্তু অনুব্রতের পাচনটা কি? বাংলা কথ্য ভাষায় ‘পাচন’ মানে লাঠি। ‘পাচন বাড়ি’ মানে লাঠির মার। সোজা কথায় গ্রামে ঢুকলেই বিজেপি কর্মীদের মারতে উৎসাহ দিলেন কেষ্ট মণ্ডল।
আরও পড়ুনঃ Exclusive: কার ক্ষমতা বেশি? থানার ডিউটি অফিসার বনাম এসডিও-র ঝামেলা ভাইরাল
গত রবিবারও বোলপুরের গীতাঞ্জলি সভাগৃহে জেলা তৃণমূলের বর্ধিত সভায় কর্মীদের একাধিক বার ভয় না পাওয়ার দাওয়াই দেন তিনি। কর্মীদের উদ্দেশ্যে কেষ্ট মন্ডল বলেন, ‘কিসের ভয়, কাউকে ভয় করার দরকার নেই। ব্রিগেড পেরলেই নিজের উর্বর জমিতে পাচন পিটিয়ে চাষ করে যান। কটা পরল দেখার দরকার নেই’। এখানেই শেষ নয়, কেষ্ট মন্ডল আরও বলেন, ‘ভয় পাবে না, কিসের লোকসভার ভয়’?
শনিবার ফের সেই পাচন বা লাঠির বাড়ি দেবার দাওয়াই দিলেন বীরভূমের জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অনুব্রত মন্ডল। অতীতেও গুড়, বাতাসা খাইয়ে বিরোধী আপ্যায়নের কথা শোনা গিয়েছে এই দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতার মুখে। শোনা গিয়েছে ‘চড়াম চড়াম’ করে ঢাক বাজাবার কথা।
আরও পড়ুনঃ থানায় ঢুকে আটক এসডিও, সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ করল পুলিশ
তবে, এবার শীতে তাঁর অভিধানে জায়গা করে নিল পাচনও। আর কে না জানে কেষ্ট মন্ডল এর ‘মারধরের পরামর্শ’ মানেই সেটা ভাইরাল। ‘গুড়-বাতাসা’ আর ‘চড়াম চড়াম ঢাক বাজাবার’ পর বাংলায় তাই এখন চলছে ‘পাচন বাড়ি’।