গাড়ি পোড়ালে যদি মাথায় গুলি করতেন, তাহলে মানুষ ও পুলিশ হত্যায় কি করা উচিত? উঠে গেল প্রশ্ন। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশ্ন তুললেন, বাংলার সাধারণ মানুষ। ‘পুলিশকে যারা লাঠি দিয়ে মেরেছে, গাড়ি পুড়িয়েছে, তিনি থাকলে মাথার মাঝে গুলি করতেন, দাবি করেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় মানুষ প্রশ্ন তুলেছেন, “বিমল গুরুং ও ছত্রধর মাহাতো-কে কি করেছেন”।
২০১৭ অক্টোবর, উত্তরবঙ্গের লেবং সংলগ্ন টুকভার জঙ্গলে বিমল গুরুং-এর লুকিয়ে থাকার খবর পেয়ে, ভোরে অভিযান শুরু করে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ এর একটি দল। জঙ্গলে পুলিশ দেখে পাল্টা গুলি চালায়, গুরুং-এর সঙ্গে থাকা দলবল। ঘটনাস্থলেই গুলি লেগে, মারা যান পুলিশের এসআই অমিতাভ মালিক। ঘটনার পরেই এলাকায় পাঠানো হয় আরও পুলিশ বাহিনী। তল্লাশি উদ্ধার হয় বেশ কয়েকটি একে ৪৭ রাইফেল, বিস্ফোরক। সেই বিমল গুরুং কলকাতায় বসে, পুলিশের নাকের ডগায় বসে সাংবাদিক সম্মেলন করে গেছে। আর এখন তৃণমূলের সহযোগী, রাজ্য সরকার তাঁর বিরুদ্ধে সব মামলাই তুলে নিয়েছে।
আরও পড়ুন; “আমি থাকলে মাথায় গুলি করতাম, পুলিশ সংযম দেখিয়েছে”, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়
অন্যদিকে রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের, সদস্য হয়েছেন ছত্রধর মাহাতোর স্ত্রী নিয়তি মাহাতো। আর তৃণমূলের রাজ্য কমিটিতে জায়গা পেয়েছেন ছত্রধর মাহাতো। তৃণমূলের রাজ্য কমিটির সাধারণ সম্পাদক, হয়েছেন ছত্রধর মাহাতো। লালগড়ে সিপিএম কর্মী প্রবীর মাহাতো খুন ও ঝাড়গ্রামের বাঁশতলায় ভুবনেশ্বর-নয়াদিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেস আটক ও হামলার ঘটনার তিনিই প্রধান অভিযুক্ত।