কৃষ্ণা দাস, The News বাংলা, শিলিগুড়িঃ দার্জিলিং টয় ট্রেনের সান্ধ্যকালিন সফর চালু করার পর থেকেই মুখ থুবড়ে পড়েছে তার যাত্রা। শুরুর দিনের পর থেকে শুধুমাত্র যাত্রীর অভাবে আর একদিনও চলে নি ট্রেনটি। তাই সান্ধ্যকালিন যাত্রায় এই ‘খেলনা গাড়ির’ যাত্রী সংখ্যা বাড়াতে উদ্যোগী হলো রেলওয়ে ও নর্থবেঙ্গল ট্যুর ও ট্রাভেলস অপারেটারস।
আরও পড়ুনঃ EXCLUSIVE: ভোটের আগে বাংলার বিখ্যাত সাংবাদমাধ্যমের সঙ্গে ‘সরকারি’ সন্ধি মমতার
টয় ট্রেনের নতুন সান্ধ্যকালিন সফরটি যাতে পর্যটক ও স্থানীয়দের কাছে গ্রহনযোগ্যতা পায় সেই বিষয়ে জোর দিতে সব কিছু খতিয়ে দেখতে টয় ট্রেনে সফর করল ট্যুর ও ট্রাভেলস অপারেটারদের একটি প্রতিনিধি দল। এরপর ‘খেলনা গাড়ির’ সান্ধ্যকালিন সফর তাঁদের প্যাকেজের মধ্যে আনতে উৎসাহ প্রকাশ করেন তাঁরা।
আরও পড়ুনঃ শুধু দিনে নয় দার্জিলিংয়ের ঐতিহ্যের টয় ট্রেন এবার সন্ধ্যাবেলাতেও
একদিকে এনজেপি থেকে দার্জিলিংয়ে প্রতিদিন দার্জিলিং হেরিটেজ তকমা পাওয়া ঐতিহ্যের টয় ট্রেন মাঝে মধ্যেই নানা কারনে বন্ধ থাকে। তার ওপর গত রবিবার নতুন আর একটি খেলনা গাড়ি জঙ্গলের মধ্য দিয়ে স্বল্প দুরত্বের একটি সফর চালু করে ডিএইচআর। কিন্তু শুরুতেই অধিক ভাড়ার কারনে যাত্রীর অভাবে খেলনা গাড়ি খেলনা হয়েই থেকে যায়।
আরও পড়ুনঃ কলকাতা হাইকোর্টের অন্দরেই আটকে রইল বিজেপির রথ যাত্রা
রবিবার আনুষ্ঠানিকভাবে গাড়িটির উদ্বোধন হওয়ার পর রেলের আধিকারিকদের নিয়ে শুধুমাত্র ওই দিনটিতেই গাড়িটি শিলিগুড়ি জংশন থেকে মংপু ও মংপু থেকে শিলিগুড়ি জংশন এসে আর চাকা ঘোরে নি। এই সমস্ত দিক বিচার বিবেচনা করে গাড়িটিকে পর্যটকদের প্যাকেজের সাথে নিয়ে আসা যায় কিনা ও ভাড়া ও টিফিনের আর কতটা কি করা যায় তা দেখতে ১৬জনের একটি প্রতিনিধি দল শিলিগুড়ি জংশন থেকে গাড়িতে চেপে মংপু যান।
আরও পড়ুনঃ ৫ দিন বন্ধ ব্যাঙ্ক, উৎসবের সময় চরম সমস্যায় আমজনতা
আর তখনই দ্বিতীয়বার ট্রেনের চাকা ঘোরে। এদিন ট্যুর ও অপারেটারদের মধ্যে এথোয়া, এনজেপি ট্যুর অ্যান্ড ট্রাভেলস অ্যাসোসিয়েশান ও হিমালয়ান হসপিটালিটি টুরিজম ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্কের একটি দল সান্ধ্যকালীন টয় ট্রেন সফরে যান। এথোয়ার পক্ষ থেকে সৌম ঘোষ বলেন, সাধারনত পর্যটকদের শিলিগুড়িতে বিকেলে হংকং মার্কেট ছাড়া দেখার কিছু থাকে না। তাই শিলিগুড়ি থেকে মংপু পর্যন্ত এই সফরে যাওয়াটা প্যাকেজের সাথে রাখা যায় কিনা তা এদিনের সফরের পর রেল কতৃপক্ষের সাথে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
আরও পড়ুনঃ EXCLUSIVE: কলকাতা থেকে পুলিশ ও ব্যবসায়ীদের টাকা যাচ্ছে জঙ্গিদের হাতে
তাছাড়া তিনি এদিন স্বীকার করেন যে পর্যটকদের কাছে না হলেও স্থানীয়দের কাছে ভাড়াটা একটু বেশীই। তাই ছুটির দিনগুলি ছাড়া সপ্তাহের অন্যান্য দিনে যাতে ভাড়াটা ৫০০টাকা থেকে ৬০০টাকায় কমিয়ে আনা যায় সে বিষয়ে কথা বলবেন। পাশাপাশি মংপুতে ট্রেনটি পর্যটকদের ইচ্ছানুসারে যাতে দাঁড়ায় সে বিষয়টিও দেখা হবে। ট্রেন ছাড়র নির্দিষ্ট সময় থাকলেও ফেরার সময়টা নির্দিষ্ট না রাখার পক্ষপাতি তিনি।
এদিকে হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড টুরিজম ডেভেলপমেন্টের জয়েন্ট সেক্রেটারী তাপস সাধন রায় টয় ট্রেন সফর সেরে জানান, ভাড়াটা খুব একটা বেশি বলে মনে হল না। কেননা এই স্বল্প সময়ের সফরে যে সব খাবারগুলো দেওয়া হল তাতে রেলের লাভ তেমন একটা নেই। তবে বেশ কিছু প্রপোজাল রেলকে তাঁরা আগামীতে বৈঠক করে জানাবেন বলে জানান।
আরও পড়ুনঃ নেতাদের গুন্ডা পোষা না গুন্ডাদের নেতা হওয়া, প্রকাশ্যে বন্দুকবাজির কারন কি
সেগুলো হল খাবার পর সেই প্যাকেটগুলো ফেলার জন্য ডাস্টবিনের ব্যবস্থা, বায়ো টয়লেটের ব্যবস্থা করা ও একটা মিউজিক সিস্টেমের ব্যবস্থা। যেখানে টয় ট্রেনের ইতিহাসগুলো ও কোন স্টেশানে এল ও তার বিশেষত্বগুলি কি সে বিষয়ে জানানো। এদিন তিনি সান্ধকালিন এই টয় ট্রেন সফরের ভুয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বলেন আমরা ট্যুর অ্যান্ড ট্রাভেলসের পক্ষ থেকে সব সময় চাই পর্যটকরা পাহাড় ও ডুয়ার্সের পাশাপাশি শিলিগুড়িতেও দুএকটি রাত থাকুক। সেদিক দিয়ে বিচার করেন ঐতিহ্যের এই টয় ট্রেন সফর বেশ উপযোগি।