EXCLUSIVE: ভোটের আগে বাংলার বিখ্যাত সাংবাদমাধ্যমের সঙ্গে ‘সরকারি’ সন্ধি মমতার

780
EXCLUSIVE: ভোটের আগে বাংলার বিখ্যাত সাংবাদমাধ্যমকে বাঁচাতে এগিয়ে এলেন মমতা/The News বাংলা
EXCLUSIVE: ভোটের আগে বাংলার বিখ্যাত সাংবাদমাধ্যমকে বাঁচাতে এগিয়ে এলেন মমতা/The News বাংলা

The News বাংলা, কলকাতাঃ EXCLUSIVE: টাকা আর ভোট দুটোই বড় বালাই। সামনেই লোকসভা ভোট। বড় হাউসের প্রচারে থাকাটা সরকারের সবসময় দরকার। আবার টাকার জন্য, অর্থনৈতিক কারণে রাতারাতি নীতি পরিবর্তন করে সরকারি বিজ্ঞাপনের টাকাও দরকার। দুইয়ের মেল বন্ধনে ৬বছর পর ফের সরকারি বিজ্ঞাপন পেতে চলেছে বাংলার বিখ্যাত বে-সরকারি সাংবাদমাধ্যম।

আরও পড়ুনঃ কলকাতা হাইকোর্টের অন্দরেই আটকে রইল বিজেপির রথ যাত্রা

২০১২ সালের পর থেকেই বাংলার বিখ্যাত এক সাংবাদমাধ্যমে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের সরকারি বিজ্ঞাপন বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। পুরোটাই ছিল মৌখিক নির্দেশ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর বিরোধিতা করে খবর করার জন্যই সরকারি রোষের মুখে পরে ওই বে-সরকারি সাংবাদমাধ্যমটি। আটকে দেওয়া হয় বিখ্যাত সাংবাদমাধ্যমটির পাওনা প্রায় ২৫ কোটি টাকা।

আরও পড়ুনঃ ৫ দিন বন্ধ ব্যাঙ্ক, উৎসবের সময় চরম সমস্যায় আমজনতা

EXCLUSIVE: ভোটের আগে বাংলার বিখ্যাত সাংবাদমাধ্যমকে বাঁচাতে এগিয়ে এলেন মমতা/The News বাংলা
EXCLUSIVE: ভোটের আগে বাংলার বিখ্যাত সাংবাদমাধ্যমকে বাঁচাতে এগিয়ে এলেন মমতা/The News বাংলা

পাওনা প্রায় ২৫ কোটি টাকার জন্য আদালতের দারস্থও হয় বাংলার এই বিখ্যাত বে-সরকারি সাংবাদমাধ্যমটি। তারপর থেকে টানা ৬ বছর কোন সরকারি বিজ্ঞাপন পায় নি সাংবাদমাধ্যমটি। ইতিমধ্যেই ওই সাংবাদমাধ্যমটির বেশ কিছু প্রকাশন সংস্থা বন্ধ হয়ে গেছে। কাগজ বিক্রিও পড়তির দিকে। সরকারি বিজ্ঞাপন ছাড়া এই অবস্থার মোকাবিলা করা যে একেবারেই অসম্ভব তা বুঝতে পারছিল সাংবাদমাধ্যমটির পরিচালন কর্তৃপক্ষ।

আরও পড়ুনঃ EXCLUSIVE: কলকাতা থেকে পুলিশ ও ব্যবসায়ীদের টাকা যাচ্ছে জঙ্গিদের হাতে

এদিকে কয়েক মাসের মধ্যেই দেশে লোকসভা ভোট। দিল্লি থেকে বিজেপিকে হঠাতে গেলে রাজ্যে যত বেশি সংখ্যক আসন পাবে ততই সুবিধা শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের। আর সেখানে এই মুহূর্তে যত বেশি সম্ভব সরকারি প্রচারের দরকার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের। ফলে দুপক্ষেরই সুবিধায় ‘চার হাত’ আবার এক হতে সময় লাগে নি। বড়দিনের পর থেকেই সাংবাদমাধ্যমটির বিভিন্ন প্রকাশনায় চালু হয়ে যাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর সরকারি বিজ্ঞাপন।

আরও পড়ুনঃ নেতাদের গুন্ডা পোষা না গুন্ডাদের নেতা হওয়া, প্রকাশ্যে বন্দুকবাজির কারন কি

সরকারের ভাবমূর্তি তৈরি করতে সরকারি বিজ্ঞাপন এখন এক বড় হাতিয়ার। বাড়তে বাড়তে বিজ্ঞাপনের বাজেট এখন প্রায় ৩২৫ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে নতুন বিজ্ঞাপন-নীতি ঘোষণা করে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব মলয় দে। তাতে পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, এখন থেকে কোনও দফতরের বিজ্ঞাপন চূড়ান্ত করবে তথ্য ও সংস্কৃতি দফতর। এই দফতরের পূর্ণ মন্ত্রী আবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই।

EXCLUSIVE: ভোটের আগে বাংলার বিখ্যাত সাংবাদমাধ্যমকে বাঁচাতে এগিয়ে এলেন মমতা/The News বাংলা
EXCLUSIVE: ভোটের আগে বাংলার বিখ্যাত সাংবাদমাধ্যমকে বাঁচাতে এগিয়ে এলেন মমতা/The News বাংলা

নবান্নের কর্তাদের ব্যাখ্যা, নিজেদের ভাবমূর্তি আর ব্র্যান্ডিং তৈরিকে যে এই সরকার যথেষ্ট গুরুত্ব দেয়, তা বিজ্ঞাপনের বাজেট থেকেই পরিষ্কার। কিন্তু সেই কাজেই ফাঁক থেকে যাচ্ছে। যেমন, ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের ক্ষেত্রে ইচ্ছে মতো বিজ্ঞাপন দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল আগে। অন্য দফতরগুলির ক্ষেত্রে সেই অভিযোগ না-থাকলেও বিজ্ঞাপনের ধরন একই রকম না হওয়ার অভিযোগ রয়েছে।

আরও পড়ুন: আদিবাসী, দলিত না মুসলমান, বিজেপির গবেষণায় রামভক্ত হনুমানের জাত

আবার, সরকারের বেশির ভাগ দফতরের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট একটি সংস্থাকে দিয়েই বিজ্ঞাপনের নকশা তৈরির অভিযোগ রয়েছে। কোনও কোনও দফতর আবার নিজেদের মন্ত্রী বা শীর্ষ কর্তার পছন্দের কোনও সংস্থাকে দিয়ে কাজ করাত। এখন কোনও দফতরের বিজ্ঞাপন চূড়ান্ত করে তথ্য ও সংস্কৃতি দফতর।

আরও পড়ুনঃ ‘রাজনীতিতে টিকে থাকতে গেলে তেল দিতেই হবে’ বিস্ফোরক তৃণমূল সাংসদ

মমতার নির্দেশে এখন তিনটি নির্দিষ্ট সংস্থাই বিজ্ঞাপন দেবে সাংবাদমাধ্যমে। আর সেই তালিকায় এবার আবার যুক্ত হল বাংলার এই বিখ্যাত সাংবাদমাধ্যমটির নাম। তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের কর্তাদের কাছে ইতিমধ্যেই চলে এসেছে মুখ্যমন্ত্রীর মৌখিক অনুমতি। বিজ্ঞাপন বন্ধ করার নির্দেশও ছিল ‘মৌখিক’, ফের বিজ্ঞাপন চালু করার অনুমতিও এল ‘মৌখিক’।

আরও পড়ুনঃ ‘বজরঙ্গী ভাইজান’ হয়ে ভারত পাকিস্তানকে বাস্তবে মিলিয়ে দিল বাংলা

দীর্ঘ ৬ বছর পর লোকসভা ভোটের ঠিক আগে, আবার ‘সরকারি সন্ধি’ হওয়ায় সাংবাদমাধ্যমটির বিখ্যাত ইংরেজি কাগজটির হাল ফিরবে বলেই মনে করা হচ্ছে। এবার সরকারের পক্ষেই খবর বাড়বে ওই বে-সরকারি সাংবাদমাধ্যমের বিভিন্ন প্রকাশনায়, বলছেন রাজ্যের তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের কর্তারা। এটাও ঠিক, মমতার দৌলতেই কিছুটা হলেও আবার হাল ফিরতে চলেছে একটি সাংবাদমাধ্যমের।

Comments

comments

আপনাদের মতামত জানাতে কমেন্ট করুন