The News বাংলা, শিলংঃ ‘ভারতকে ‘হিন্দু রাষ্ট্র’ ঘোষণা করা উচিত’। না কোন রাজনীতিবিদ নন, একথা পরিষ্কার জানিয়ে দিলেন এক বিচারপতি। আর আদালত চত্বর থেকে এই দাবি ওঠায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা দেশে। ৫ রাজ্যে সরকার গঠনের ব্যস্ততার মধ্যেই এক বিচারপতির এই ঘোষণায় শোরগোল গোটা দেশে।
আরও পড়ুন: বাংলায় রথের ভবিষ্যৎ, লালবাজারে ‘রথ বৈঠকে’ রাজ্য সরকার ও বিজেপি
ভারতকে ‘হিন্দু রাষ্ট্র’ ঘোষণা করা উচিত। এবার এমনই ‘দাবি’ করলেন মেঘালয় হাইকোর্টের বিচারপতি এস আর সেন। সোমবার নিজের দেওয়া এক রায়ে এমনই কথাই জানালেন বিচারপতি এস আর সেন। স্থায়ী বাসিন্দার শংসাপত্র মামলার এক শুনানিতে আরও চাঞ্চল্যকর ও শোরগোল ফেলে দেওয়া সব পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন তিনি।
মেঘালয় রাজ্য সরকার স্থায়ী বাসিন্দাদের শংসাপত্র দিতে অস্বীকার করায় আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন এক ব্যক্তি। সেই মামলায় রায় দিতে গিয়েই এই ধরনের ‘বিতর্কিত পর্যবেক্ষণ’ বিচারপতি এস আর সেনের।
বিচারপতি এস আর সেন তাঁর রায়ে লিখেছেন, ‘১৯৪৭ সালে ভারতের স্বাধীনতার সময় ধর্মের ভিত্তিতে দেশ ভাগ হয়েছিল। সেই মতো পাকিস্তান নিজেকে ইসলামিক রাষ্ট্র ঘোষণা করেছে। ভারতকেও হিন্দু রাষ্ট্র ঘোষণা করা উচিত।’
আরও পড়ুনঃ ‘বাংলায় রথ যাত্রা হবেই’ মমতাকে হুঁশিয়ারি অমিত শাহের
বিচারপতি এস আর সেন, তাঁর রায়ে আরও জানিয়েছেন, ‘ভারতকে ইসলামিক রাষ্ট্রে পরিণত করার চেষ্টা করা উচিত নয়। আমার মনে হয় এই পরিস্থিতির গুরুত্ব একমাত্র প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীজিই বুঝতে পারেন। ভারতের ইসলামিকরণ রুখতে তাঁর উপযুক্ত পদক্ষেপ করা উচিত। আর বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উচিত তাঁকে সমর্থন করা’।
মেঘালয় হাইকোর্টের বিচারপতি এস আর সেন এর এই পর্যবেক্ষণ স্তম্ভিত করে দিয়েছে গোটা দেশকে। সোমবার মেঘালয় হাইকোর্টেই এই রায়ের পর্যবেক্ষণ হতবাক করে দেয় আইনজীবী ও বিচারপতি মহলকে। একই সঙ্গে অভিন্ন দেওয়ানি বিধির পক্ষে সওয়াল করে বিচারপতি সেন বলেন, ‘ভারতের সমস্ত নাগরিকের জন্য একই আইন হওয়া উচিত। অভিন্ন আইন মানতে যে অস্বীকার করবে তার নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া উচিত সরকারের।’
আরও পড়ুনঃ ৫ টি প্রধান কারনে ৫ রাজ্যে হার মোদীর বিজেপির
এখানেই থেকে থাকেন নি বিচারপতি এস আর সেন। নিজের পর্যবেক্ষণে তিনি ইসলামিক দেশগুলি থেকে আসা হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান উদ্বাস্তুদের নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য মোদী সরকারকে নতুন আইন আনতে অনুরোধ করেছেন। বিচারপতি সেন রায়ে উল্লেখ করেছেন, এ ব্যাপারে খুব তাড়াতাড়ি প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইনমন্ত্রী ও সাংসদদের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।
মেঘালয় হাইকোর্টের বিচারপতি এস আর সেনের এই চাঞ্চল্যকর রায়ে গোটা দেশে আলোচনার বিষয় হিসাবে এখন উঠে এসেছে এটাই। গোটা দেশ জুড়ে শুরু হয়ে গেছে ‘হিন্দু রাষ্ট্র’ বিতর্ক। যদিও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখনও এই নিয়ে কোন মন্তব্য করেন নি।