“সংখ্যালঘু মহিলা পুলিশ দিয়ে আমাকে ফাঁসানোর পিসি-ভাইপোর চক্রান্ত ফাঁস”। এমনটাই দাবি করলেন, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন, শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দুকে ফাঁসানোর ব্যাপারে, ‘প্লট’ সাজানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল পুলিশ কর্তাদের। মহিলা পুলিশ অফিসার, তারপরে আবার সংখ্যালঘু, এমন পুলিশ অফিসারকেই পাঠানো হয়েছিল শুভেন্দুকে গায়ে হাত দিয়ে বিরক্ত করতে। যাতে রেগে গিয়ে কোন ভুল করে ফেলেন তিনি। কিন্তু পিসি-ভাইপোর চক্রান্ত তিনি আগেই ধরে ফেলেছিলেন বলেই দাবি করেছেন শুভেন্দু অধিকারী।
বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন, রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা। তাঁর অভিযোগ, নানানভাবে শুভেন্দুকে শায়েস্তা করতেই বিভিন্ন ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ, নবান্ন অভিযানে গতকালের পুলিশের প্ল্যানটা তারই অঙ্গ। ঠিক ছিল শুভেন্দুকে বিদ্যাসাগর সেতুর আগেই আটকাতে হবে। তাঁকে মহিলা পুলিশ দিয়ে ঘিরে রাখা হবে। ‘প্রভোক’ করা হবে যাতে শুভেন্দু উত্তেজিত হয়ে, হাত চালান। উত্তেজিত হয়ে হাত চালালেই, ৩৫৪ ধারায় অভিযুক্ত করে এফআইআর করা হবে।
আরও পড়ুন; “বিচারব্যবস্থার একাংশ বিজেপিকে সাহায্য করছে”, আদালতকেও দাগিয়ে দিলেন অভিষেক
অভিযোগ, পুরো দায়িত্বে রাখা ছিল, এক সংখ্যালঘু মহিলা আইপিএস-কে। সঙ্গে প্রায় ২০ জন মহিলা কনস্টেবল ও সিভিক ভলেন্টিয়ার ছিলেন প্রথম বৃত্তে। তারপরে জেনারেল পুলিশ, পরের বৃত্তে ছিলেন আরও মহিলা পুলিশ। পুরো এলাকা কর্ডন করে ছিল, তিনটি থানার পুলিশ। শুভেন্দু স্পটে এলেই, তাঁকে বৃত্তে বন্দী করবেন মহিলা বাহিনী। ঠিক সেই মাফিক পুরো অপারেশন, অপারেট শুরু করেন ডিসি সাউথ আকাশ মাঘারিয়া। শুভেন্দুর হাত ধরে টানাটানি শুরু করেন, এক মহিলা পুলিশ অফিসার। সেই ছবিও মিডিয়ার ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে।
বুদ্ধিমান শুভেন্দু অধিকারী যে ছকটা ধরে ফেলবেন, সেটা বোঝেনি কলকাতা পুলিশ। পুলিশের পরিকল্পনা সফল হবার আগেই, সেটা নিয়ে চিৎকার করেন শুভেন্দু নিজেই। তখনই তিনি বলেন, “আমার গায়ে হাত দেবেন না। আপনি মহিলা, আমি পুরুষ”। শুভেন্দুকে এইভাবে ফাঁসানোর পরিকল্পনা, ফেল করে কলকাতা পুলিশের। ফাঁসাতে না পেরে শুভেন্দুকে, শেষপর্যন্ত অ্যারেস্ট করা হয়। শুভেন্দুর কথায় সায় দিয়ে, সব বিজেপি নেতাই এখন এই অভিযোগ করছেন। তবে রাজ্য প্রশাসন বা কলকাতা পুলিশের তরফ থেকে, এখনও এই নিয়ে কোন মন্তব্য করা হয়নি। তবে তৃণমূল নেতারা বলেছেন, “মনগড়া গল্প বলছেন, শুভেন্দু অধিকারী”।