মহানায়ক ও গণেশ, তখনও তিনি ‘বহিরাগত গণপতি’ হননি

561
মহানায়ক ও গণেশ, তখনও তিনি 'বহিরাগত গণপতি' হননি
মহানায়ক ও গণেশ, তখনও তিনি 'বহিরাগত গণপতি' হননি

মহানায়ক ও গণেশ, তখনও তিনি ‘বহিরাগত গণপতি’ হননি। গণেশ ঠাকুরের সামনে বসে, সেই বিখ্যাত ‘ভুবনমোহিনী হাসি’ হাসছেন বাঙালির মহানায়ক উত্তমকুমার। অনেক বিশেষজ্ঞ বলেন, এই ছবিটি গণেশ চতুর্থীর দিনে, কলকাতার ময়রা স্ট্রিটের ফ্ল্যাটে নিজের ‘স্বপ্নে পাওয়া’ গণেশ মূর্তির সামনে বসে উত্তমকুমার। উত্তম-সুপ্রিয়ার লক্ষ্মী পুজোর অনেক গল্প থাকলেও, গণেশ পুজোর কাহিনী তেমনটা নেই। এই ছবিটা সেই পুরনো, অনেক গল্প বলে দেয়।

অবশ্য ছবি অনেক কিছুই বলে দেয়। যাঁরা বলেন, গণেশ চতুর্থীতে গণেশ পূজার চল বাংলায় নতুন, এই ছবিটি তাঁদের জন্য। ছবিটি ষাটের দশকের মাঝামাঝি সময়ের। তখন যে বাংলায় গণেশ পুজো হত, ছবিটি তার জ্বলন্ত প্রমাণ। ময়রা স্ট্রিটের বাড়িতেই, উত্তম-সুপ্রিয়া ভক্তিভরে গণেশ পুজো করতেন, প্রসাদ রাঁধতেন, সেখানে গণ্যমান্য ব্যক্তিরা আসতেন, তা অনেকেই বলে গেছেন।

আরও পড়ুন; খেলা হচ্ছে হাইকোর্টে, তৃণমূল আমলের সব প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের তথ্য তলব

বাংলার গণেশ তখনও ‘বহিরাগত গণপতি’ হননি। যারা বলেন, গনেশ পুজো বাংলায় আগে হত না, তাদের জন্য এই ছবিটিই যথেষ্ট। গণেশ পুজোর দিন এই ছবি ভাইরাল হলে, গণপতি আরাধনা করার জন্য, বাঙালির অন্যতম আইকন উত্তমকুমারকেও না ‘গোবলয়ের দালাল’ বলা শুরু হয়। তবে সে যাই হোক, গণেশ যে আমাদের পুরোনো পুজো এবং বহুদশক আগে থেকেই এটা হয়ে আসছে, সেটা প্রমাণ করার জন্য, ধুতি পাঞ্জাবিতে মহানায়কের এই একটি ছবিই যথেষ্ট। সকলকে গণেশ পুজোর শুভেচ্ছা। ওঁ শ্রী গণেশায় নমঃ…

Comments

comments

আপনাদের মতামত জানাতে কমেন্ট করুন