কামাখ্যা মন্দিরে পুজো; অসমে পা দিয়েই বিজেপিকে উপড়ে ফেলার ডাক অভিষেকের। লক্ষ্য ২০২৪; এবার অভিষেকের নজরে কংগ্রেসি ভোট। “বিজেপিকে হারানোর জন্য যা করা প্রয়োজন তৃণমূল করবে”; অসমবাসীর কাছে একটা সুযোগ চাইলেন তৃণমূল সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
ত্রিপুরার পর এবার তৃণমূলের লক্ষ্য অসম। বুধবার সকালে গুয়াহাটি পৌঁছেই, প্রতিটি কথায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বুঝিয়ে দিলেন; বাংলার পর ঘাসফুল শিবিরের লক্ষ্য এবার অসম। বুধবার কামাখ্যা মন্দিরে পুজো দিয়ে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক; তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন। তারপর অসমে দলীয় কার্যালয়ের উদ্বোধন করেন তিনি। এরপর কর্মিসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে; অভিষেকের গলায় চরম আত্মবিশ্বাসী সুর। জোরের সঙ্গেই বলেন; “উন্নয়নের নিরিখে অসমের বিজেপি সরকারকে ১০ গোল দেব”।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণা; “আগামী লোকসভা ভোটে অসমে ১৪টি আসনে ১০ আসনে জিততে হবে”। অসমে পা দিয়েই কংগ্রেসের ভোটব্যাংকে নজর; তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। গুয়াহাটির কর্মিসভা থেকে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন তিনি; তাঁর সাফ কথা, “বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই কংগ্রেসকে দিয়ে হবে না; রাস্তায় নেমে লড়াই করতে হবে; সেটা একমাত্র তৃণমূলই পারে”। একইসঙ্গে তাঁর ঘোষণা; “তৃণমূল ঝুঁকেগা নেহি”।
আরও পড়ুনঃ স্বাধীন ভারতের সুপ্রিম কোর্টে স্থগিত, ব্রিটিশ আমলের রাষ্ট্রদ্রোহ আইন
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণা, “আগামী লোকসভা ভোটে অসমে ১৪টি আসনের মধ্যে; ১০টি আসনে জিততে হবে”। তিনি আরও বলেন; “দল কাজ শুরু করে দিয়েছে”। সতীপীঠ কামাখ্যা মন্দিরে, অসমের সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য; প্রার্থনা করেছেন বলে দাবি করেন তিনি। দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে তাঁর বার্তা; “আমরা এখানে শুধু লড়াই করতে আসিনি; জনবিরোধী সরকারকে উৎখাত করতে এসেছি। যতবার যেখানে দরকার পড়বে; ততবার আমি আসব। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে; চোখে চোখ রেখে লড়াই করব। এবছরেই প্রতিটি বুথে কমিটি তৈরি হবে”।
অভিষেক বলেন; “তৃণমূল ঝুঁকেগা নেহি; ইডি-সিবিআই দিয়ে আমাকে আটকানো যাবে না। আমাকে ১০বার দিল্লিতে ডেকে পাঠানো হয়েছে; আমার বাড়িতে অভিযান চালিয়েছে; জেরা করেছে, তবু আমাকে আটকাতে পারেনি। এভাবে কংগ্রেস-সহ অন্যান্য দলকে আটকানো গেলেও; তৃণমূলকে আটকানো যাবে না। ত্রিপুরায় পা দিতেই হামলা হয়েছে; তবু আটকাতে পারেনি। তৃণমূল ঝুঁকেগা নেহি; সীমান্তের পাহারাদার সেনার মতো মানসিকতা নিয়ে আমরা লড়াই করি”।