বড় সাফল্য মোদী সরকারের। ব্যাঙ্ক জালিয়াত মেহুল চোকসিকে; দেশে ফিরিয়ে আনছে কেন্দ্রীয় সরকার। ইতিমধ্যেই অ্যান্টিগা সরকার; এই ব্যপারে সবুজ সংকেত দিয়েছে। চোকসিকে দেশে ফিরিয়ে আনলে; সেটা হবে মোদী সরকারের আরও একটা সাফল্য।
দেশ থেকে পালিয়ে অ্যান্টিগায় আশ্রয় নিয়েছে; হীরে ব্যবসায়ী মেহুল চোকসি। মেহুল চোকসি ও নীরব মোদী একসঙ্গে; পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংকের ১৩,০০০ কোটি টাকার ঋণ খেলাপে অভিযুক্ত। চোকসিকে ফেরাতে; এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের পাশাপাশি বিশেষজ্ঞ চিকিত্সক দলও পাঠানোর প্রস্তাব দেয় ইডি বা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট। দেশে ফেরার পর; তার সবরকম চিকিত্সার ব্যবস্থা হবে বলেও আশ্বাস দেওয়া হয়।
এর আগে মেহুল চোকসি; হলফনামা দিয়ে জানায় যে শারীরিক অসুস্থতার কারণে; তাঁর পক্ষে দেশে ফেরার ধকল নেওয়া সম্ভব নয়। তার উত্তরেই চোকসিকে ফেরাতে; এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের পাশাপাশি; বিশেষজ্ঞ চিকিত্সক দলও পাঠানোর প্রস্তাব দেয় ইডি। তারপরেই অ্যান্টিগা সরকার; চোকসিকে ভারতে ফিরিয়ে দেবার ব্যপারে সবুজ সংকেত দিয়েছে।
অ্যান্টিগা সরকার জানিয়েছে; চোকসির প্রত্যর্পণে ভারতের অনুরোধ রাখবে তারা। দেশের বিদেশমন্ত্রী ইপি চেট গ্রিন জানিয়েছেন; “অ্যান্টিগার সঙ্গে ভারতের কোনও প্রত্যর্পণ চুক্তি নেই। তা সত্ত্বেও মন্ত্রিসভার বৈঠকে; চোকসিকে ভারতে ফেরানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে”।
গত নভেম্বরেই অ্যান্টিগুয়ার নাগরিকত্ব; গ্রহণ করে চোকসি। ভাগনে নীরব মোদীর সঙ্গে; সপরিবারে দেশ ছেড়ে পালিয়েছিল সে। পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের থেকে নেওয়া ১৩ হাজার কোটি টাকার; ঋণ অনাদায়ী রেখে। তারপর থেকে মামা, ভাগনের কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না।
আইন বিশেষজ্ঞদের মন্তব্য ছিল; জেনেশুনেই এমন একটি দেশের নাগরিকত্ব নিয়েছে চোকসি; যার সঙ্গে ভারতের বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তি নেই। আরও একটি সুবিধে; অ্যান্টিগার পাসপোর্ট থাকলে বিশ্বের মোট ১৩২টি দেশে যেতে কোনও ভিসা লাগে না। ভারতীয় আইনের হাত এড়াতে তৎপর চোকসি ভেবেছিল; দরকারে সে ওই ১৩২ দেশের যে কোনওটিতে গিয়ে আত্মগোপন করবে।
কিন্তু অ্যান্টিগা সরকার বুঝিয়ে দিল; প্রত্যর্পণ চুক্তি না থাকাটা চোকসিকে দেশে ফেরত পাঠানোর পথে বাধা হবে না। অ্যান্টিগার বিদেশমন্ত্রী গ্রিন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন; “ভারত সরকারের পক্ষ থেকে চোকসিকে ফেরত পাঠানোর অনুরোধ ও সব প্রমাণ পাবার পরেই তাঁরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বিনিয়োগের বিনিময়ে নাগরিকত্ব পাওয়ার যে সুযোগ দেয় অ্যান্টিগা; তার সততা এবং স্বচ্ছতা বজায় রাখতেই এই সিদ্ধান্ত”।