মুখ্যমন্ত্রীকে শহিদ হয়ে কান্নাকাটি করার সুযোগ দেবো না; বললেন মুকুল। রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করে; মমতা বন্দ্যপাধায়ায় সরকার ফেলে ভোট করাবে না বিজেপি; এটাই সোমবার বুঝিয়ে দিলেন মুকুল রায়।
রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার ক্রমাবনতি নিয়ে; তৃণমূল বিজেপি চাপানউতোর চলছে বহুদিন ধরেই। বিরোধী দলের মিছিল মিটিং বন্ধ করা থেকে শুরু করে; একের পর এক বিজেপি কর্মী খুন, বিনা কারণে প্রতিহিংসা বশত বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া; ইত্যাদি বিভিন্ন কারণে তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসার রাজনীতির অভিযোগ তুলেছে বিজেপি।
আরও পড়ুনঃ সব্যসাচীর হাত ধরে বিধাননগর পুরসভাও কি বিজেপির হতে চলেছে
ভোটের মাসখানেক আগেই; সিবিআইয়ের রাজীব কুমারকে তাঁরই বাড়িতে জেরা করতে যাওয়া নিয়ে; মুখ্যমন্ত্রী ধর্ণায় বসেন। তখন রাজ্যে আইনশৃঙ্খলার অবনতির জেরে; রাষ্ট্রপতি শাসনের প্রসঙ্গ উঠে আসে। এরপর লোকসভা নির্বাচনের সপ্তম দফার আগেই রাজ্যে অমিত শাহের রোডশোতে বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাংচুরকে কেন্দ্র করে আরও একবার আইনশৃঙ্খলার অবনতির প্রসঙ্গ উঠে আসে; যা চূড়ান্ত মাত্রা পায় সন্দেশখালির ঘটনাকে কেন্দ্র করে।
সন্দেশখালির ঘটনায় ক্ষুব্ধ; অনেক সাধারণ মানুষ থেকে রাজনৈতিক কর্মীরা; প্রত্যেকেই চাইছেন রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হোক। এদিকে সোমবারই রাজ্যের রাজ্যপাল কেশরী নাথ ত্রিপাথীর সাথে; প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ হয় দিল্লীতে। রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন সংক্রান্ত কোনও কথা হয় কিনা; সেই বিষয়ে অনেকে উৎসুক ছিলেন।
কিন্তু বিকেলেই সংবাদিক সম্মেলনে মুকুল রায় জানিয়ে দিলেন; এই ধরনের কোনও সম্ভাবনাই নেই। মুকুল রায় জানান; বিজেপি কোনও রাজ্যের সরকার ফেলে দিয়ে ক্ষমতায় আসার পক্ষপাতী নয়। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর সাথে যদি বিধায়কদের সিংহভাগই না থাকেন; সেক্ষেত্রে তো বিজেপিকে দোষ দেওয়া যায় না, জানান তিনি।
এরপরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উদ্দেশ্য করে মুকুল রায় বলেন; মুখ্যমন্ত্রীর এই রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন নিয়ে ভয় পাবার কারণ নেই; তিনি চাইলে নিশ্চিন্তে ঘুমোতে পারেন। এরপরে বিদ্রুপের সুরে মুকুল রায় বলেন; বিজেপি মুখ্যমন্ত্রীকে শহিদ হতে দেবে না।
মুকুল রায় বলেন, সরকার ফেলে দিলে মুখ্যমন্ত্রী কেঁদে কেঁদে সহানুভূতি আদায় করে; রাজ্যকে অশান্ত করে তুলবেন, তা বিজেপি হতে দেবে না বলে জানান তিনি। লোকসভা ভোটের পর আগামী বিধানসভা পর্যন্ত; বিজেপি তৃণমূলের এই লড়াই চলবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।