খাঁচা বন্দী বাঘের যাওয়া আসা ‘ইচ্ছে মত’, প্রশ্নের মুখে কর্তৃপক্ষ

489
খাঁচা বন্দী বাঘের যাওয়া আসা 'ইচ্ছে মত', প্রশ্নের মুখে কর্তৃপক্ষ/The News বাংলা
খাঁচা বন্দী বাঘের যাওয়া আসা 'ইচ্ছে মত', প্রশ্নের মুখে কর্তৃপক্ষ/The News বাংলা

The News বাংলা, শিলিগুড়িঃ এমনিতে সে খাঁচা বন্দী। কিন্তু তার যাওয়া আসা নিজের ইচ্ছে মত। যখন খুশি খাঁচা থেকে বেড়িয়ে যায়, যখন ইচ্ছে আসে। এমনটাই ঘটল শিলিগুড়ির বেঙ্গল সাফারির চিতা শচীনের ক্ষেত্রে। ৮৫ ঘণ্টা পরে নিজে নিজেই নিজের খাঁচায় ফিরে এল চিতাটি। যাবার সময়ও কেউ জানতে পারে নি। কখন ফিরে এল সেটাও টের পেল না কেউই। প্রশ্নের মুখে বন দফতর।

বেয়াদপ হলেও অবশেষে বাধ্য সন্তানের মত নিজের খাঁচায় ফিরে এল শিলিগুড়ি সাফারি পার্কের অন্যতম আকর্ষন চিতা বাঘ শচীন। দীর্ঘ ৮৫ ঘন্টা সাফারি পার্কের ঘন বনাঞ্চলের আনাচে কানাচে ঘুরে শেষমেশ শুক্রবার বিকাল সাড়ে চারটের পর নিজের খাঁচায় ফিরলো শচীন।

খাঁচা বন্দী বাঘের যাওয়া আসা 'ইচ্ছে মত', প্রশ্নের মুখে কর্তৃপক্ষ/The News বাংলা
খাঁচা বন্দী বাঘের যাওয়া আসা ‘ইচ্ছে মত’, প্রশ্নের মুখে কর্তৃপক্ষ/The News বাংলা

গত পয়লা জানুয়ারি ভোরে বেঙ্গল সাফারির এনক্লোজার থেকে গাছ টপকে গভীর জঙ্গলে গা ঢাকা দেয় পার্কের লেপার্ড সাফারির অন্যতম আকর্ষন শচীন। এরপর থেকে সাফারি পার্ক কর্তৃপক্ষ সহ গোটা বনদপ্তরকে নাকানি-চোবানি খাইয়ে পার্কেরই গভীর জঙ্গলেই লুকিয়ে ছিল সে। একপ্রকার অভুক্ত, অসুস্থ, ক্লান্ত হয়েই শুক্রবার ঠিক বাধ্য ছেলের মতই নিজের ঘরে ফিরে এলো সে।

আরও পড়ুনঃ বউ অদল বদল, বিকৃত যৌনাচারে ধর্ষণের অভিযোগ গৃহবধূর

এদিন শচীনের ফিরে আসার পর বেঙ্গল সাফারির ভারপ্রাপ্ত ডিরেক্টর রাজেন্দ্র জাকার জানান, এদিন সাড়ে চারটা নাগাদ নিজের এনক্লোজারে নিজেই ফিরে আসে শচীন। তিনি আরও জানান, চিতা বাঘটির শরীরে বেশ কিছু আঘাত রয়েছে। মাথার ওপর, চোখের নিচে সামান্য আঘাত রয়েছে।

শচীন ফিরে আসার পর তাকে তার প্রয়োজনীয় আহার দেওয়া হয়েছে। সামান্য ক্লান্ত, কিছুটা শান্ত হয়ে রয়েছে আপাতত। রাজেন্দ্র জাকার আরও জানান, ওই দিন লেপার্ড এনক্লোজারের একটি গাছ বেয়ে বৈদ্যুতিক ফেন্সিং টপকে পালায় সে। এরপর থেকে ৪টি কুনকি হাতি, ছটি স্কয়্যাড ও দশটি খাঁচা পেতে পার্কের গোটা তৃণভোজি অঞ্চলে চিরুনি তল্লাশি চালিয়েছে পার্ক কর্তৃপক্ষ।

খাঁচা বন্দী বাঘের যাওয়া আসা 'ইচ্ছে মত', প্রশ্নের মুখে কর্তৃপক্ষ/The News বাংলা
খাঁচা বন্দী বাঘের যাওয়া আসা ‘ইচ্ছে মত’, প্রশ্নের মুখে কর্তৃপক্ষ/The News বাংলা

পাশাপাশি তার ফিরে আসার আশায় তার এনক্লোজারের গেটও খোলা রাখা ছিল এই কদিন। তাকে খুঁজে পেতে কোনরকম ত্রুটি রাখে নি সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও পার্ক কর্তৃপক্ষ। অবশেষে একপ্রকার ক্লান্ত ও অভুক্ত অবস্থাতেই নিজের শেল্টারে ফিরে আসে শচীন। কিন্তু কিভাবে পুনরায় সে নিজের শেল্টারে প্রবেশ করল তা কেউই প্রত্যক্ষ করে নি।

সম্ভবত খোলা গেট দিয়েই প্রবেশ করেছে সে। এছাড়া, যেভাবে পালিয়েছিল ঠিক সেভাবেই ফিরে আসতে পারে বলে অনুমান রাজেন্দ্র জাকারের। তিনি জানান, তাকে আগামীকাল থেকে চিকিৎসা দেওয়া হবে। বাইরে সামান্য কাটা, ছেঁড়া রয়েছে সেগুলি সেরে যাবার পথেই রয়েছে।

আরও পড়ুনঃ

ফের গরু চোর সন্দেহে খুন, এবার ‘গোরক্ষকের’ নাম মুসলিম মিঁয়া

কংগ্রেস ছেড়ে মমতার ‘মহানায়িকা’ এবার মোদীর বক্স অফিসে

ভোরবেলায় শবরীমালা মন্দিরে ঢুকে ইতিহাস সৃষ্টি ‘মা দুর্গার’

দেশপ্রেম বাড়াতে স্কুলের রোল কলে এবার ‘জয় হিন্দ’ ও ‘জয় ভারত’

শীতের বাংলায় বৃষ্টি আনতে আন্দামান থেকে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘পাবুক’

এদিন তিনি আরও জানান, এই মুহূর্তে লেপার্ড সাফারির ফেন্সিং-এর কোন পরিবর্তন করার দরকার নেই। সবটাই সঠিক এবং সিজেডের অনুমোদিত। বিদ্যুৎ সহ সমস্তটাই নিত্যদিনই পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়। সুতরাং একটা বিক্ষিপ্ত ঘটনার জন্য এই মুহূর্তে কোন পরিবর্তন করা হচ্ছে না বলে জানান তিনি। তবে যাবার সময়ও কেউ জানতে পারে নি। কখন ফিরে এল সেটাও টের পেল না কেউই। এই বিষয়ে কিছু বলতে চান নি তিনি।

তবে এই মুহুর্তে শচীন চিতাকে খোলা খাঁচায় ছাড়া হবে কিনা তা নিয়ে দু-চার দিন পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে, শনিবার থেকে সমস্ত রাইড সহ পায়ে হেঁটে বেঙ্গল সাফারিতে ঘোরা সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হচ্ছে। ক্রিকেট মাঠে শুধু শচীনকে দেখার জন্যই মাঠে আসতেন মানুষ। আর চিতা শচীনের পালিয়ে যাবার ঘটনাও এতটাই ভাইরাল হয়েছে যে, শুধু তাকে দেখতেই ভিড় বাড়ছে সাফারি পার্কে।

আরও পড়ুনঃ

EXCLUSIVE: সংখ্যালঘুদের ধর্মে সুড়সুড়ি দিয়ে প্রকাশ্যে ভারতের টাকার কালোবাজারি\

লোকসভার সঙ্গেই জম্মু কাশ্মীরে ভোট করতে প্রস্তুত মোদী সরকার

EXCLUSIVE: নতুন বছরে সুখবর, রাজ্য সরকারি কর্মীরা পাচ্ছেন বকেয়া ডিএ

‘রাম’কে ছেড়ে আসা লক্ষণকে ‘হাতে’ নিয়ে বাংলায় তুলকালাম

আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে The News বাংলা পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।

Comments

comments

আপনাদের মতামত জানাতে কমেন্ট করুন