ভোট না থাকলে মুকুল রায়কে জেলে ভরতেন মমতা, এমনটাই বললেন মুখ্যমন্ত্রী। গা বাঁচাতেই বিজেপিতে গিয়েছে, মুকুলকে গদ্দার বলে তীব্র কটাক্ষ করেন মমতা। বললেন, ভোট চলছে, তাই মুকুলের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিচ্ছেন না।
সোমবার ব্যারাকপুর লোকসভার অন্তর্গত জগদ্দলে একটি নির্বাচনী প্রচারে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রচার মঞ্চ থেকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিজেপির সাথে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের ৪০ জন বিধায়ক যোগাযোগ রেখে চলেছেন৷ ভোট শেষ হলেই সবাইকে চমকে দিয়ে তারা সদলবলে গেরুয়া শিবিরে সামিল হবেন বলে জানান তিনি।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার ভদ্রেশ্বরের এক জনসভা থেকে ‘দলবদলের লিংকম্যান’ মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক সময়ের দলের হেভিওয়েট নেতা মুকুলের নাম না নিয়েই গদ্দার বলে কটাক্ষ করেন তিনি। এদিন মুকুলকে হাওয়ালার দালাল বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ ভোটের মধ্যেই কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা কর্মীদের জন্য সুখবর, প্রচুর বেতন বাড়ছে
এক সময় দলের ছায়াসঙ্গী মুকুলকে মোদীর একনম্বর লোক বলেও উল্লেখ করেন মুখ্যমন্ত্রী। সারদা নারদা কেলেঙ্কারির প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, চাইলেই তিনি মুকুলকে ধরিয়ে দিতে পারতেন, কিন্তু এই মুহূর্তে নির্বাচন চলার কারনে তিনি মুকুলের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিচ্ছেন না বলে জানান।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন যে, গা বাঁচাতেই মুকুল বিজেপিতে যোগ দিয়েছে। এদিকে বিরোধীদের পাল্টা বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রী সব জেনে থাকলে এতদিন চুপ ছিলেন কেন? আর কেনই বা তিনি নিজের দলেই অভিযুক্তদের প্রার্থী করেছেন?
আরও পড়ুনঃ ইয়েতিকে জন্তু বলায় ভারতীয় সেনার উপর ক্ষুব্ধ বিজেপি নেতা
এদিন একই ঘটনার সূত্র ধরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে হর্স ট্রেডিং বা বিধায়ক কেনাবেচার অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, হর্স ট্রেডিংয়ের সাথে সরাসরি যুক্ত থাকার কথা বিজেপি নিজেই স্বীকার করে নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের সূত্র ধরে নির্বাচন কমিশনের কাছে তৃণমূল কংগ্রেস আবেদন জানাতে চলেছে নরেন্দ্র মোদীর প্রার্থীপদ খারিজ করার জন্য।
বিধায়ক কেনাবেচার টাকার উৎস নিয়েও জনসভা থেকে তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন, এই টাকা কোথা থেকে আসছে, তার তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। ঘোড়া কেনাবেচার কথা বলে নিজেই সংবিধানকে বুড়ো আঙুল দেখাচ্ছেন বলে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তোপ দাগেন তিনি।