বিশ্ববিখ্যাত তিরুপতি মন্দিরের পাশে আরও এক তিরুপতি

682
বিশ্ববিখ্যাত তিরুপতি মন্দিরের পাশে আরও এক তিরুপতি/The News বাংলা
বিশ্ববিখ্যাত তিরুপতি মন্দিরের পাশে আরও এক তিরুপতি/The News বাংলা

অন্ধ্রপ্রদেশের জুবিলি হিলসের ৯২ নম্বর রাস্তা জুড়ে “গোবিন্দ গোবিন্দ”, “নমঃ ভেঙ্কটেশ” মন্ত্রোচ্চারণ গত বুধবার থেকে শুরু হয়েছে। উপলক্ষ্য ভগবান ভেঙ্কটেশের মন্দির স্থাপন যা দেখতে অনেকটা ছোট তিরুমালা বেঙ্কটেশ্বর মন্দিরের মত। এই মন্দিরও নির্মাণ করেছে “তিরুমালা তিরুপতি দেবস্থানাম”।

আরও পড়ুনঃ কেন মা কালীর পায়ের নিচে বাবা মহাদেব

তিরুমালা তিরুপতি দেবস্থানামের মন্দির হল ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যের চিত্তুর জেলা অবস্থিত একটি অন্যতম প্রধান বিষ্ণু মন্দির। এই মন্দিরের প্রধান উপাস্য দেবতা হলেন হিন্দু দেবতা বিষ্ণুর অবতার বেঙ্কটেশ্বর। তিরুমালা বেঙ্কটেশ্বর মন্দির তিরুপতি মন্দির, তিরুমালা মন্দির ও তিরুপতি বালাজি মন্দির নামেও পরিচিত।

আরও পড়ুনঃ জেনে নিন সিদ্ধপুরুষ ‘জয় বাবা লোকনাথ’ এর অজানা কাহিনী

হিন্দু বিশ্বাস অনুসারে, কলিযুগের দুঃখ ও যন্ত্রণা থেকে মানব সমাজকে ত্রাণ করতে বিষ্ণু তিরুমালায় ‘বেঙ্কটেশ্বর’ রূপে অবতীর্ণ হয়েছেন। এই জন্য এই মন্দিরটিকে ‘কলিযুগ বৈকুণ্ঠম্‌’ বলা হয় এবং বেঙ্কটেশ্বরকে বলা হয় ‘কলিযুগ প্রত্যক্ষ দৈবতম্‌’ (কলিযুগের প্রত্যক্ষ দেবতা)। বেঙ্কটেশ্বর ‘বালাজি’, ‘গোবিন্দ’ ও ‘শ্রীনিবাস’ নামেও পরিচিত।

এই তিরুপতি মন্দিরের আদলেই তৈরি হল আরও একটা ভেঙ্কটেশের মন্দির। তিরুমালা পুরোহিতরা ছাড়াও বৈদিক পন্ডিত, দর্শনার্থী, পূজারী সহ তিন হাজার পুণ্যার্থী গতকাল এই পবিত্র স্থানের উদ্বোধনে ভিড় করেন। উদ্বোধনের পুণ্যযোগ হিসেবে “মহা কুম্ভঅভিষেকম” এর নির্ঘন্ট ঠিক হয় সকাল ছটা থেকে সাড়ে সাতটার মধ্যে। মন্দিরের উদ্বোধনের সময় “মিনা লগনম” নামক পবিত্র ধর্মীয় লোকাচার অনন্য মাত্রা যোগ করে।

আরও পড়ুনঃ নরকঙ্কালের খুলি সাজিয়ে জাগ্রত মহাশ্মশান কালীর পুজো

মন্দির উদ্বোধনের পরে মন্দিরের চারদিকে এবং ৮.৬ ফুট দীর্ঘ বিষ্ণুর মূর্তিতে পবিত্র জল ছেটানো হয়। “টি.টি.ডি” এর এক্সিকিউটিভ অফিসার হায়দ্রাবাদের মানচিত্রে এমন এক মন্দির স্থাপনের পর বলেন,”টিটিডির সমস্ত সদস্যদের পরিশ্রমের ফলেই এই মহান ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান সম্ভব হয়েছে। আমাদের পুরোহিত 8ই মার্চ “অনুকারাপরম” পরিবেশন করবেন”।

মন্দির খোলা থাকবে বিকেল পাঁচটা থেকে আটটা ও বন্ধ থাকবে দুপুর দুটো থেকে চারটে। এছাড়া নানান ধর্মীয় আচার পালিত হবে মন্দির চত্ত্বরে। চল্লিশ দিন পর থেকে, মন্দির প্রাঙ্গনে ভোর ৫টায়ে “সুপ্রাভাতম”। সকাল ৭টায়ে “থোমালা সেবা” এবং “অভিষেখম” এর মত আচারও পালন করা হবে।

আরও পড়ুনঃ অজানা কাহিনির আড়ালে সিদ্ধপিঠ তারাপীঠের তারা মা

স্পেশাল অফিসার জগন মহানাচারি বলেছেন যে পুণ্যার্থীদের জন্য বিশেষ টিকিটের ব্যবস্থা করা হবে যাতে তাঁদের সুবিধা হয়। মন্দির প্রাঙ্গনেই তৈরি হবে পুরোহিতদের থাকার কোয়ার্টার। দর্শনার্থীদের জন্যও হবে হোটেল। ভারতবাসী পাবে অন্ধ্রপ্রদেশে এক নতুন টুরিস্ট স্পট।

আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে The News বাংলা পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।

Comments

comments

আপনাদের মতামত জানাতে কমেন্ট করুন